চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর একটা লম্বা বিরতিই পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। টানা ছয়টি সিরিজ-টুর্নামেন্ট খেলা মাশরাফি-মুশফিকদের সামনে বিরতিটা দুই মাসের বেশি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যস্ততা শুরু আগস্টের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে।
গত মার্চ থেকে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, এই কয় মাসে বাংলাদেশ ব্যস্ত ছিল শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেট নিয়েই। শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড—তিন সফরে বাংলাদেশ খেলেছে ১১ ওয়ানডে, দুই টি-টোয়েন্টি। রঙিন পোশাক ছেড়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ শুরু করবে সাদা পোশাকের অভিযান। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার জন্য প্রস্তুতি কেমন হবে বাংলাদেশের? ঈদের ছুটির পর ঠিক হবে সবকিছু। আপাতত যে সূচি, আগামী ১০ জুলাই থেকে শুরু হবে খেলোয়াড়দের ফিটনেস ট্রেনিং। তবে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা নেই বাংলাদেশ দলের।
যদিও মুশফিকদের মতো স্টিভ স্মিথরাও এখন ঝাড়া হাত-পা। এই মুহূর্তে তাঁদের ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচিটাও ফাঁকা। বাংলাদেশ সফর দিয়ে শুরু হবে স্মিথদের ক্রিকেট ব্যস্ততা। এরপর দেশের মাঠে অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে শুরু হবে তাঁদের নতুন মৌসুম (২০১৭-১৮)। আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রিসবেন টেস্টের আগে প্রস্তুতি হিসেবে শেফিল্ড শিল্ডের তিনটি ম্যাচ খেলার নির্দেশ দেওয়া আছে খেলোয়াড়দের।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে মুশফিকরা ব্যস্ত ছিলেন জাতীয় লিগে। শেষ পর্যন্ত সফরটা অস্ট্রেলিয়া স্থগিত করায় প্রস্তুতি আর কাজে লাগেনি। এবার অবশ্য অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে জাতীয় লিগ কিংবা বিসিএলের মতো বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট আয়োজনের পরিকল্পনা নেই বিসিবির। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বললেন, আবহাওয়ার কারণে জুলাই-আগস্টে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আয়োজন সম্ভব নয়, ‘এনসিএল-বিসিএল আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই। এই বর্ষা মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আয়োজন করা কঠিনও। তবে আমরা সম্ভাব্য সব প্রস্তুতিই নেব।’ ফিটনেস ট্রেনিং আর নেট অনুশীলনে হয়তো সীমাবদ্ধ থাকবে বাংলাদেশের প্রস্তুতি। আকরামের যুক্তি, ‘আমাদের কাছে এই মুহূর্তে ফিটনেসটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন ফিট থাকলেই হয়। একই সঙ্গে মানসিকভাবে প্রস্তুতি থাকাও জরুরি।’
কিন্তু ম্যাচ খেলার চেয়ে বড় প্রস্তুতি কী হতে পারে? বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান তাই বলছেন, নিজেদের মধ্যে হতে পারে প্রস্তুতি ম্যাচ। তবে সব ঠিক হবে ছুটির পর।
বাংলাদেশ এমনিতেই টেস্ট খেলে কম। সেটিও অনিয়মিত। ২০১৫ সালের জুলাইয়ের পর আরেকটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশকে যেমন অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৫ মাস। ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর আবার তিন মাসের বিরতি। এ বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত টানা চারটি টেস্ট খেলার পর আবার পাঁচ মাসের বিরতি দিয়ে টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
source: prothom alo
উত্তর সমূহ