অপার সম্ভাবনাময় ফসল মিষ্টি কুমড়া

অপার সম্ভাবনাময় ফসল মিষ্টি কুমড়া



মধুখালী উপজেলাটি গড়াই ও মধুমতি নদী বিধৌত একটি প্রাচীন জনপদ। বর্তমানে এই উপজেলার মোট আবাদী জমির পরিমাণ ১৬৫৫৮.০০ হেক্টর । উপজেলাতে রয়েছে মৌসুম ভিত্তিক ফসলের বৈচিত্রতা । এখানকার প্রধান প্রধান ফসল ধান, পাট, পেঁয়াজ, মরিচ ও সবজি ।

খরিপ-১ মৌসুমে মধুখালী উপজেলায় প্রায় ৩০০০.০০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন মরিচের আবাদ হয় । খরিপ-২ মৌসুমে ঐ মরিচের জমিতে রিলে ফসল হিসাবে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়ে থাকে। বিগত তিন বছর যাবৎ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মধুখালী মাঠ পর্যায়ের সকল সম্প্রসারণ কর্মীগনের মাধ্যমে মরিচ এবং কুমড়া ফসলের আবাদ মৌসুমে উঠান বৈঠক, কৃষক সমাবেশের মাধ্যমে উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনা (এঅচ) অনুসরণ করণের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ।

কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব পেয়েছে নিরাপদ ফসল উৎপাদন । বিগত তিন বছরে খরিপ-২ মৌসুমে রিলে ফসল হিসাবে আবাদকৃত মিষ্টি কুমড়া ফসলে সেক্স ফেরোমন ট্রাপ ব্যবহার ও জৈব বালাই নাশক ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন করা হয়েছে ।

বিগত ২০১৬-২০১৭ মৌসুমে মধুখালী উপজেলায় প্রায় ২৭০০.০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল এবং হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়ার গড় ফলন হয়েছে ২২.০০ মেঃ টন এবং মোট উৎপাদন হয়েছে ৫৯৪০০.০০ মেঃ টন । উৎপাদন মৌসুমে বাজার মূল্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা ।

তারই ধারাবাহিকতায় ২৯৫০.০০ হেক্টর জমিতে রিলে ফসল হিসাবে মিষ্টি কুমড়া আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ।  এবছর সঠিক সময়ে (এঅচ) অনুসরণ করে নিরাপদ ভাবে মিষ্টি কুমড়া ঘরে তোলার অপেক্ষায় কৃষক। যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা অন্য কোন কারণে ফসলের ক্ষতি না হয় তাহলে আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে। উৎপাদিত এসকল মিষ্টি কুমড়ার সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যদি বিদেশে রপ্তানির সুযোগ করা যেত তাহলে কৃষি অর্থনীতিতে মধুখালী উপজেলার কুমড়া চাষীরা সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করতে পারতেন ।