নারিকেলের উৎপাদন প্রযুক্তি


মাটি


          নারিকেলো গাছের জন্য নিকাশযুক্ত দোআঁশ থেকে পলি দোআঁশ মাটি উত্তম।


রোপণের সময়


          মধ্য-জ্যৈষ্ঠ থেকে মধ্য-আশ্বিন মাস।


রোপণের দূরত্ব


৮*৮মি।


গর্তের পরিমাণ


১*১*১ মি।


সারের পরিমাণ


নিম্নরূপ হারে গর্তে সার প্রয়োগ করতে হবে।


সারের নাম

সারের পরিমাণ/গাছ

টিএসপি

২৫০ গ্রাম

এমপি

৪০০ গ্রাম

পচা গোবর

১০  কেজি


সার প্রয়োগ


নিম্নরূপ হারে সার প্রয়োগ করতে হবে।


চারার বয়স

সারের পরিমাণ

সারের নাম ও আনুপাতিক হার

১ বছর

৭৫০ গ্রাম

ইউরিয়াঃ টি্এসপিঃ এমপি

২ বছর

১০০০ গ্রাম

                  

৩ বছর

১২৫০

 

৪-১০ বছর

১৫০০ গ্রাম

 


প্রতি বছর ১০ কেজি গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে।


 


ফলন্ত গাছেল জন্য সারের পরিমাণ


সারের নাম

সারের পরিমাণ/গাছ

ইউরিয়া

১.৫০ কেজি

টিএসপি

১ কেজি

এমপি

১.৭০ কেজি

জিপসাম

৫০০ গ্রাম

জিংক সালফেট

২০০ গ্রাম


সার প্রয়োগ পদ্ধতি


          দুই কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। ১ম কিস্তির সার মধ্য -বৈশাখ থেকে মধ্য-জ্যৈষ্ঠ মাসে এবং ২য় কিস্তির সার মধ্য-ভাদ্র থেকে মধ্য-আশ্বিন মাসে প্রয়োগ করতে হবে। গোড়া থেকে অন্তত ১.৭৫ মি দূরে সার প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগের পর হালকাভাবে কুপিয়ে জাবড়া প্রয়োগ করা উত্তম। অম্লমাটিতে প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর এক কেজি চুন প্রয়োগ করা উচিৎ। গাছে পটাশিয়াম এবং বোরনের অভাব হলে ফল ঝরে পড়ে। গাছ লাগানোর ২য় বছর হতে সারের মাত্রা ১ম বছরে উল্লেখিত মাত্রার শতকরা ২৫ভাগ এবং তা পরবর্তী বছর শতকরা ১০ ভাগ বৃদ্ধি করে ফল না ধরা পর্যন্ত প্রয়োগ করতে হবে।


হেক্টরপ্রতি চারা সংখ্যা


১৫৬টি।


পানি সেচ


          শুষ্ক মৌসুমে ১৫ দিন অন্তর অন্তর ২ বার সেচ প্রয়োগ উত্তম। তবে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন দরকার।


ফল সংগ্রহ


          কচি অবস্থায় ফলের রং সবুজ হয়। পরিপক্ক অবস্থায় নারিকেলের রং খয়েরী হয়। তখন নারিকেলের গায়ে চুলের মত চিকন দাগ পড়ে।