পুষ্টি মূল্য
মুখী কচুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘এ’ এবং লৌহ থাকে।

ব্যবহার
মুখী কচু একটি সুস্বাদু সবজি । এ সবজি খরিফ মৌসুমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই এর চাষ হয়। মুখী কচু বাংলাদেশের গুড়া কচু, কুড়ি কচু, ছড়া কচু, দুলি কচু, বিন্নি কচু, ইত্যাদি নামে ও পরিচিত।

উপযুক্ত জমি ও মাটি
দোআঁশ মাটি মুখী কচুর জন্য উত্তম।

জাত পরিচিতি

ক্রম  

 জাতের নাম  বৈশিষ্ট্য  ফলন (টন/হেক্টর)
১.বিলাসী         বিলাসী গুনে উৎকৃষ্ট ও উচ্চ ফলনশীল। জীবনকাল ২১০-২৮০ দিন। এর গাছ সবুজ, খাড়া, মাঝারি লম্বা। এর মূখী খুব মসৃণ, ডিম্বাকৃতির হয়। সিদ্ধ মুখী নরম ও সুস্বাদু। সিদ্ধ করলে মুখী সমান ভাবে সিদ্ধ হয় ও গলে যায়। ৩০-৪০

চারা তৈরি
মুখীর ছড়া বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। রোপণের জন্য মুখীর ছড়া প্রতি শতকে ২ কেজি (১৫-২০ গ্রাম ওজনের) পরিমাণ দরকার হয়।

চারা রোপণ
মধ্য-মাঘ থেকে মধ্য-ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারি)। মধ্য-চৈত্র থেকে মধ্য-বৈশাখ (এপ্রিল-মে)। উর্বর মাটির জন্য লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ৭৫ সেমি এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৪৫ সেমি। অনুর্বর মাটির বেলায় লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ৬০ সে.মি এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৪০ সে.মি রাখতে হয়।

সার ব্যবস্থাপনা

সারের নাম   

 সারের পরিমাণ ( প্রতি শতকে)
গোবর   ৫০ কেজি
ইউরিয়া   ৬০০ গ্রাম
টিএসপি   ৫০০ গ্রাম
এমপি   ৭০০ গ্রাম

গোবর, টিএসপি এবং এমওপি রোপণের সময় এবং ইউরিয়া ৪০-৪৫ দিন পর প্রয়োগ করতে হয়।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা
রোপনের ৪০-৪৫ দিন পর এবং ৯০-১০০ দিন পর আগাছা বাছাই সহ অন্যান্য পরিচর্যা করতে হবে।

ফসল সংগ্রহ
মুখী কচুর গাছ হলদে হয়ে শুকিয়ে গেলে এ কচু তুলতে হয়। রোপণের পর থেকে ৬-৭ মাস সময় লাগে।