স্ত্রী ফুলের গর্ভমুন্ডের উপর পুরুষ ফুলের পরাগরেণু পতিত হওয়ায় হচ্ছে পরাগায়ন। পরাগায়ন দুই প্রকার। যথা-
ক) প্রাকৃতিক পরাগায়নঃ প্রাকৃতিক উপায়ে সাধারণত পোকার সাহায্যে।
খ) কৃত্রিম/হাত পরাগায়নঃ হাত দিয়ে পরাগায়ন সম্পন্ন করা হয়। ১টি পুরুষ ফুল দিয়ে ১০-১২ টি স্ত্রী ফুল পরাগায়ন করানো যায়। কুমড়াজাতীয় সবজির ক্ষেত্রে হাত পরাগায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কুমড়াজাতীয় সবজিতে দুই ধরণের গাছ দেখা যায়। ক) ভিন্নবাসী-স্ত্রী ফুল ও পুরুষ ফুল আলাদা গাছে থাকে অর্থাৎ স্ত্রী ও পুরুষ গাছ ভিন্ন। যেমন-পটল, কাকরোল ইত্যাদি। ভাল ফলন পেতে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই হাত পরাগায়ন করতে হবে। খ) সহবাসী-স্ত্রী ফুল ও পুরুষ ফুল একই গাছের ভিন্ন জায়গায় ধরে। যেমনঃ-অন্যান্য কুমড়াজাতীয় সবজি। হাত পরাগায়ন করলে ভাল।
হাত পরাগায়নে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদানঃ
  • ফুল ফোটার সময় জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী হাত পরাগায়ন সম্পন্ন করতে হবে। যেমন- সাদা ফুল (লাউ, চিচিঙ্গা) সাধারণত: বিকালে ফুটে। রঙিন ফুল (চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, করল্লা, ধুন্দল) সাধারণতঃ সকাল ফুটে।
  • পরিপূর্ণভাবে ফোটার আগে করতে হবে।