জৈব উৎস বিশেষ করে উদ্ভিদ/উদ্ভিদাংশ থেকে উৎপন্ন বালাইনাশককে জৈব বালাইনাশক বলে। আমাদের দেশ আয়তনে ছোট হলেও উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে খুবই সমৃদ্ধ। আবহমানকাল থেকেই মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় গাছ-গাছালি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এমনকি কৃষি ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণেও গাছ-গাছড়ার ব্যবহার ঐতিহ্য সুদীর্ঘকালের। সবুজ বিপ্লবের হাত ধরে ফসল উৎপাদনে বিপ্লব ঘটলেও রাসায়নিক উপকরণ বিশেষ করে রাসায়নিক বালাইনাশক যথেচ্ছ ব্যবহারে আমরা বর্তমানে এক জটিল পরিবেশ সমস্যার দুষ্টচক্রে বন্দী হয়ে পড়েছি। রাসায়নিক কৃষি উপকরণের এলোপাথাড়ি ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে বাড়ছে দুষণের মাত্রা। জনস্বাস্থ্য হচ্ছে মারাত্বক হুমকির সম্মুখীন। এ অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য সারা পৃথিবীতে এখন জৈব কৃষির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। সে ধারাবাহিকতায় বালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশক ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে। কারণ ,

১.         উদ্ভিজ্জ বালাইনাশক পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না;

২.         জৈব বালাইনাশকের প্রভাবে ক্ষতিকর পোকার বৃদ্ধি ব্যহত হলেও উপকারী পোকামাকড়ের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই;

৩.         মাটির অণুজীব ও কেঁচোর উপর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই;

৪.         মাছ, পাখি ও গবাদি পশুর উপর কোন বিষক্রিয়া নেই;

৫.         জমিতে স্প্রে করার সাথে সাথে ফসল তোলা ও ব্যবহার করা যায়;

৬.         জৈব বালাইনাশকের কোন দীর্ঘ মেয়াদী অবশিষ্টাংশ বিদ্যমান থাকেনা বলে পরিবেশের জন্য নিরাপদ।

জৈব কৃষিতে কীটনাশকরূপে ব্যবহৃত গাছপালা:

ক্রম

গাছের নাম

গাছের কার্যকরী অংশ

০১.

ধতুরা

পাতা, কান্ড, ফুল, বীজ

০২.

ভেন্নার তেল

বীজ

০৩.

তামাক

পাতা

০৪.

পেঁপে

পাতা

০৫.

শিয়াল মুথা

পাতা, কান্ড, ফুল

০৬.

গ্লিরিসিজিয়া

পাতা, কান্ড, ফুল

০৭.

আফ্রিকান ধৈঞ্চা

মূল

০৮.

নিম

পাতা, কান্ড, ফুল, বীজ

০৯.

অড়হর

পাতা, ডাল, ফুল

১০.

তুলসী পাতা

পাতা, ডাল, ফুল

১১.

ক্লোরোডেনড্রাম

পাতা, ডাল, ফুল

১২.

মেক্সিকান গাঁদা

শিকড়, পাতা, ডাল, ফুল

১৩.

মেহগনী

বীজ

১৪.

কচু

পাতা. কান্ড

১৫.

নিশিন্দা

পাতা