প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘনকুয়াশার কবল থেকে বোরো ধানের বীজতলার চারা রক্ষার জন্য এখন যা করা দরকার তা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছেঃ
- প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় বীজতলা সেচের পানি দিয়ে ডুবিয়ে রাখতে হবে এবং পরদিন সকাল বেলায় পানি বের করে দিন। অথবা রাতের বেলা বোরো ধানের বীজতলার উপরে সাদা পলিথিন দিয়ে বা কলার পাতা দিয়ে খুটি বা কঞ্চির সাহায্যে ছাউনির মত করে ঢেকে দিন। পরদিন সকালে রোদ দেখা দিলে পলিথিন বা কলার পাতা ছাউনি সরিয়ে ফেলুন। চারাগাছে সূর্যের রোদ লাগার ব্যবস্থা করতে হবে।
- আপনার বোরো ধানের বীজতলা প্রতিদিন সকালে একবার পরিদর্শন করতে হবে। বীজতলার চারা যদি হলুদ হয়ে যায়, তাহলে প্রতি শতাংশ বীজতলার জন্য ২০০ গ্রাম হারে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করা দরকার এবং তারপরও চারা হলুদ থাকলে প্রতি শতাংশ বীজতলার জন্য ১০০ গ্রাম হারে জিপসাম সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
- বীজতলা পাতাঝলসানো রোগে আক্রামত্ম হলে সকাল বেলায় রশি টানা দিয়ে চারা থেকে কুয়াশার পানি ফেলে দিতে হবে এবং বীজতলায় প্রতি শতাংশের জন্য ৫০ গ্রাম হারে পটাশ সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। এ সময় ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ বন্ধ রাখুন ও সেচের পানি বের করে দিন। পুনরায় এক সপ্তাহ পর সেচ দিন।
- অতিরিক্ত ঠান্ডায় বীজতলায় ছাই ছিটিয়ে তাপমাত্রা ধরে রাখা যায়। কাজেই এ অবস্থায় বীজতলায় ছাই ছিটাতে পারেন।
- বীজতলা থেকে চারা তোলার এক সপ্তাহ আগে অনুমোদিত হারে কীটনাশক ছিটাতে পারেন । এতে বীজতলার চারা পোকামাকড়ের আক্রমন থেকে রক্ষা পাবে।
- আরও বিস্তারিত জানার জন্য আপনার নিকস্থ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগের জন্য কৃষক ভাইদের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
উত্তর সমূহ