নতুন ধান ব্রি-৮১

নতুন ধান ব্রি-৮১

নতুন উদ্ভাবিত ধানের বাণিজ্যিক গুণাগুণ যাচাইসাপেক্ষ হলেও বিজ্ঞানীদের কথায় আমরা ভরসা রাখতে চাই। তাঁদের মতে, ব্রি বহু বছর পরে এমন একটি নতুন জাতের ধান উৎপাদন করেছে, যার ফলনও হবে ব্যাপক, আবার তা এতটাই উৎকৃষ্টমানের হবে, যা রপ্তানিযোগ্য হতে পারে। ধানটি কৃষকেরা খরচ না বাড়িয়ে বেশি ফলাতে পারবেন। আবার চাল হবে চিকন ও লম্বা। তাই কৃষকেরা স্থানীয় বাজারেও দাম পাবেন বেশি।

আমরা বাজারে যে নাজিরশাইল জাতের চাল দেখতে পাই, নতুন ধানটি হবে তেমন ধাঁচের। বর্তমানে ব্রি উদ্ভাবিত ২৮ ও ২৯ জাতের ফলন সবচেয়ে বেশি। দেশে ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়। এর মধ্যে শতকরা ৬৭ ভাগের আবাদ চলে এই দুই জাতের বীজ দিয়ে। কৃষিবিদেরা ধারণা করছেন যে ব্রি ধান-৮১-এর দিকে কৃষকেরা দ্রুত ঝুঁকে পড়বেন। আর তখন ব্রি-২৮-এর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ব্রি-২৮-এর চাল কিছুটা মোটা। আর সে কারণে এর দামও অপেক্ষাকৃত কম।

ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানীদের যে দলটি নতুন ধান উদ্ভাবন করেছেন, তাঁরা আরও দাবি করেছেন, শুধু যে এর ফলন বেশি, প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী ও উন্নতমানের হবে তা-ই নয়, এতে আমিষও থাকবে বেশি।প্রতি ১ কেজি ব্রি-২৮-এর চালে ৭ থেকে ৮ মিলিগ্রাম আমিষ থাকে। অন্যদিকে নতুন ধান ব্রি-৮১ থেকে প্রতি কেজি চালে আমিষ মিলবে ১০ মিলিগ্রামের বেশি।

নতুন ধানের খবর কৃষকদের ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেওয়া এবং বীজ সুলভে ও সময়মতো তাঁদের কাছে পৌঁছানোই হবে এখন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বিএডিসি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই দায়িত্ব পালন করে থাকে। আমরা আশা করব, তারা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে ব্রি-৮১-এর বাজারজাতকরণ সার্থক করে তুলবে