একটি আদর্শ টব তৈরির কৌশল ও নিয়ম-কানুন

একটি আদর্শ টব তৈরির কৌশল ও নিয়ম-কানুন

ছাদে বাগান বা কোনো ফুল, ফলের গাছ লাগানোর অন্যতম প্রধান উপকরণ হলো টব। এই টবের ওপরই গাছটি বেড়ে ওঠবে, ফুল, ফলে বাগানীর মন ভরিয়ে তুলবে।

তাই টবটি যেন একেবারে যুগপোযোগী ও যথার্থ হয় সেদিকে প্রথম নজর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে টব ব্যবস্থাপনা যত ভালো হবে গাছটিও তত ভালোভাবে বেড়ে ওঠবে। পাঠক আসুন জেনে নেয়া যাক একটি আদর্শ টবের গুণবালী ও কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবে।


টবের টিপস: ফুল কিংবা ফল গাছ যাই হোক না কেন, টব ব্যবহার করার সময় লক্ষ রাখতে হবে, গাছের আকার কত বড় হবে। সেই মতো টবের আকার নির্ধারণ করতে হবে।


পানি গড়িয়ে যাওয়ার জন্য টবের নিচে ছিদ্র থাকতে হবে। ছিদ্রের ওপর নারকেলের ছোবড়া বা ইটের টুকরো দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। টবে ব্যবহারের আগে টবে ব্যবহার করা ছোবড়া বা ইটের টুকরো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। গরম পানিতে ধুয়ে নিতে পারলে ভালো। যে গাছের চারা লাগানো হবে তা সাধারণ পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এর ফলে রোগের সংক্রমণ অনেক কমে যায়।


চারা কেনার সময় অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের চারা সংগ্রহ করা দরকার। গাছ বড় হলে প্রয়োজনে বড় টবে সাবধানে চারা স্থানান্তর করে নেওয়া যায়। তবে টব ভেঙে চারা গাছ বের করা যাবে না। মনে রাখতে হবে, চারা গাছটি যেন কোনোভাবেই আঘাত না পায়।

টবের সার-মাটি: টবের গাছের খাদ্যপুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য মাটিতে দরকারি সার মেশাতে হবে। মাটি, গোবর সার, কম্পোস্ট, পচা পাতা, পরিমাণমতো রাসায়নিক সার মেশাতে হবে। শুকনো দূর্বা ঘাস টবের মাটির মাঝামাঝি দিয়ে তার ওপরে মাটি দিয়ে চারা গাছ লাগানো ভালো।