পেপের চারা উৎপাদন প্রণালী কি?

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, উপজেলা কৃষি অফিসার, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    বীজ তলায় চারা উৎপাদনের বেলায় ১০-১৫ সে.মি উঁচু ১ x ৩ মি. আকারের বীজতলা তৈরী করতে হয়। বীজ তলার মাটির মিশ্রণ হবে এক-তৃতীয়াংশ জৈব সার, এক-তৃতীয়াংশ বালি এবং এক-তৃতীয়াংশ মাটি। এর সাথে ৫০০ গ্রাম টিএসপি সার মিশালে ভাল হয়। এরকম বীজতলায় ১ সে.মি মাটির গভীরে বীজ ফেলার পর ঝরনা দিয়ে পানি দিতে হয়। চারা না গজানো পর্যন্ত বীজতলা ১৫ সে.মি উঁচু করে খড় দিয়ে ঢেকে দেয়া ভাল। ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে চারা বের হয়। বীজ বপনের পর ৫০-৬০ দিনের বয়সের চারা জমিতে রোপণের উপযুক্ত হয়। সাধারণত জুন – জুলাই এবং অক্টোবর – নভেম্বর মাস পেঁপের চারা উৎপাদন সময়। এক হেক্টর জমিতে রোপণের জন্য প্রায় ২০০ গ্রামে বীজের প্রয়োজন হয়। পেঁপের বংশবিস্তার বীজ দ্বারাই হয়। বীজের গায়ে যে পিচ্ছিল পদার্থ ( Aril) থাকে তা অঙ্কুরোদগম রোধ করে। সুতরাং পাকা ফল থেকে বীজ সংগ্রহের পর ছাইয়ের সাথে মিশিয়ে পাটের বস্তার উপর ঘষে পানিতে ধুয়ে নিলে পিচ্ছিল পদার্থ চলে যায়। এর পরপরই বীজ রোপণ করলে দু’সপ্তাহের মধ্যে চারা বের হয়। বীজ পরিষ্কার করার পর ভালভাবে শুকিয়ে নিচ্ছিদ্র পাত্রে (যাতে বাতাস ঢুকতে পারে না) সংরক্ষণ করলে অনেক বছর ধরে বীজ ভাল থাকে। সংরক্ষণ করা বীজের অংকুরোদগম হতে দুই থেকে চার সপ্তাহ সময় নেয়। বীজতলায় বীজ না ফেলে সরাসরি ছোট ছোট পলিব্যাগে ও রোপণ করা হয়। প্রতি পলিব্যাগে ৪-৫ টি বীজ ফেলা হয় এবং বীজ গজানোর পর ৩ টি চারাকে বাড়তে দিতে হয়।