:কলার ফোস্কা বা এনথ্রাকনোজ (Anthracnose) রোগটি কোলেটোট্রিকাস মুসি (Colletotrichum musae)
নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। আর্দ্র আবহাওয়ায় রোগের দ্রুত
বিস্তার ঘটে। আক্রান্ত অংশই আসলে পূনঃআক্রমণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
অনুকুল আবহাওয়ায় ছত্রাকের বীজকণা বাতাসের মাধ্যমে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
রোগের লক্ষণ: ●কাঁচা এবং পাকা উভয় ফলেই আক্রমণ ঘটে থাকে, তবে পাকা ফলই বেশী সংবেদনশীল। ●কাঁচা ফলে আক্রমণ ঘটলেও জীবানু সুপ্তাবস্থায় থাকে। কাঁচা কলার গায়ে রোগের কোন লক্ষণ খুব একটা প্রকাশ পায় না। ●কলা পাকা শুরু হলে বা কলার মিষ্টতা বাড়া শুরু হলে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে।●প্রথমে কলার গায়ে ছোট ছোট গোলাকার বাদামী দাগ দেখা দেয়। ●দাগ ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং কিছু দাগ একত্রিত হয়ে বড় কালো দাগে রূপান্তরিত হয়। ●কলার আক্রান্ত অংশ খোসার স্তর হতে কিছুটা বসে যায়। ●পাকা কলাতে দাগ তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। ●ফল কালো রংয়ের হয়, কিছুটা কুঁচকে যায় ও পঁচে যায়।●এ রোগে আক্রান্ত কলার স্বাদ কমে যায়।রোগের প্রতিকার:●কলা সংগ্রহের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ফলের গায়ে ক্ষত না হয়।●কলা সংগ্রহের পর পরই গরম পানিতে ট্রিটমেন্ট (৫৫ সেঃ তাপমাত্রার পানিতে ৫ মিনিটি) করলে কলা সুস্থ থাকে।●সংগৃহীত কলা ঠান্ডা বা শীতল স্থানে রাখলে রোগের বৃদ্ধির হার কম হবে।●পরিবহনের সময় কলা এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে কলার গায়ে বেশী চাপ বা আঁচড় না পড়ে।●কলায় নিয়মিতভাবে ছত্রাকনাশক (বোর্দো মিক্সচার- ১%, বেনলেট ০.১%) স্প্রে করে কলা রোগমুক্ত রাখা যায়।●রোগের
প্রাদুভাবের সংগে সংগে প্রোপিকোনাজোল গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-টিল্ট ২৫০
ইসি) প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ৩-৪ বার
গাছে ফলের কাঁদিতে স্প্রে করতে হবে।
উত্তর সমূহ
:কলার ফোস্কা বা এনথ্রাকনোজ (Anthracnose) রোগটি কোলেটোট্রিকাস মুসি (Colletotrichum musae) নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। আর্দ্র আবহাওয়ায় রোগের দ্রুত বিস্তার ঘটে। আক্রান্ত অংশই আসলে পূনঃআক্রমণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। অনুকুল আবহাওয়ায় ছত্রাকের বীজকণা বাতাসের মাধ্যমে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। রোগের লক্ষণ: ●কাঁচা এবং পাকা উভয় ফলেই আক্রমণ ঘটে থাকে, তবে পাকা ফলই বেশী সংবেদনশীল। ●কাঁচা ফলে আক্রমণ ঘটলেও জীবানু সুপ্তাবস্থায় থাকে। কাঁচা কলার গায়ে রোগের কোন লক্ষণ খুব একটা প্রকাশ পায় না। ●কলা পাকা শুরু হলে বা কলার মিষ্টতা বাড়া শুরু হলে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে।●প্রথমে কলার গায়ে ছোট ছোট গোলাকার বাদামী দাগ দেখা দেয়। ●দাগ ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং কিছু দাগ একত্রিত হয়ে বড় কালো দাগে রূপান্তরিত হয়। ●কলার আক্রান্ত অংশ খোসার স্তর হতে কিছুটা বসে যায়। ●পাকা কলাতে দাগ তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। ●ফল কালো রংয়ের হয়, কিছুটা কুঁচকে যায় ও পঁচে যায়।●এ রোগে আক্রান্ত কলার স্বাদ কমে যায়।রোগের প্রতিকার:●কলা সংগ্রহের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ফলের গায়ে ক্ষত না হয়।●কলা সংগ্রহের পর পরই গরম পানিতে ট্রিটমেন্ট (৫৫ সেঃ তাপমাত্রার পানিতে ৫ মিনিটি) করলে কলা সুস্থ থাকে।●সংগৃহীত কলা ঠান্ডা বা শীতল স্থানে রাখলে রোগের বৃদ্ধির হার কম হবে।●পরিবহনের সময় কলা এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে কলার গায়ে বেশী চাপ বা আঁচড় না পড়ে।●কলায় নিয়মিতভাবে ছত্রাকনাশক (বোর্দো মিক্সচার- ১%, বেনলেট ০.১%) স্প্রে করে কলা রোগমুক্ত রাখা যায়।●রোগের প্রাদুভাবের সংগে সংগে প্রোপিকোনাজোল গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-টিল্ট ২৫০ ইসি) প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ৩-৪ বার গাছে ফলের কাঁদিতে স্প্রে করতে হবে।