সদর উপজেলার কৃষক ননি বর্মণ (৫৫) বলেন, ধানে গলা পচা রোগের কারণে ফলনের আশা তিনি ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে খুব একটা ক্ষতি হয়নি। গতবার এক বিঘা (৫০ শতক) জমিতে ২৮ থেকে ২৯ মণ ধান পেয়েছিলেন। এবার তা ১৮ মণ হয়েছে। ধান মাড়াইয়ের পর জমি থেকেই ৮৫০ টাকা মণ দরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, উপজেলা কৃষি অফিসার, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    • রোগের নামঃ ধানের খোলপচা রোগ
    • লক্ষণঃ শীষকে আবৃতকারী পাতার খোলে গোলাকার দাগ পড়ে। দাগের কেন্দ্র ধূসর ও কিনারা বাদামী রঙের হয় । দাগগুলো একত্রে মিশে বড় হয়ে সমস্ত খোলেই ছড়িয়ে পড়ে । আক্রমণ বেশি হলে শীষ আবৃত খোলে পচে যায় এবং ছড়া আংশিক বের হয় যাতে কম সংখ্যক পুষ্ট ধান থাকে ।
    • ব্যবস্থাপনাঃ ১। রোগ দেখা দিলে ক্ষেতে পর্যায়ক্রমে পানি দেয়া ও শুকানো। । ২। প্রয়োজনে টেবুকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ফলিকুর ১ মিলি/ লি. বা হেক্সাকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: কনটাফ ১ মিলি/ লি. বা প্রোপিকোনাজল যেমন: টিল্ট ১ মিলি/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করা।
    • সাবধানতাঃ ১। আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
    • করনীয়ঃ ১। রোগ সহনশীল জাত যেমন বিআর১০, বিআর২২, বিআর২৩, ব্রি ধান৩১ ও ব্রি ধান৩২ চাষ করা যেতে পারে। ২। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষ করা। ৩। লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা। ৪। সুষম পরিমানে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহার করা। ৫। ধানের জাত অনুসারে সঠিক দূরত্বে চারা রোপণ করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।