আদমদীঘি,দুপচাচিয়া,কাহালু,বগুড়াতে  বোরো মৌসুমে ৯৫% জমিতে জিরা শাইল ধানের  আবাদ হয়ে থাকে ,বাজারে এই ধানের মুল্য ও ফলন প্রচলিত ব্রী জাতের ধানের চেয়ে বেশী হয় ফলে কৃষকগণ ব্রী জাতের ধান চাষে আগ্রহী নয়, অথচ বিভিন্ন প্রকল্পর সহযোগিতায় যখন প্রদর্শনী করা হয় তখন বি এডি সি এর মাধ্যমে  ব্রী জাতের ধান বীজ সরবরাহ করা হয় যা অত্র এলাকার কৃষকের জন্য লাভজনক নয় বিধায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য  অর্জনে ব্যহত হয় । এ ক্ষেত্রে স্থানীয় চাহিদাকে  গুরুত্ব দেয়া জরুরী বলে মনে করি ।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, উপজেলা কৃষি অফিসার, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    জিরা শাইল ধান মূলত ভারতীয় জাতের। কৃষক ও চাল ব্যবসায়ী চালকল মালিক ও ভোক্তাদের চাহিদার কারণে এ ধানের চাষ বিস্তার লাভ করেছে। ভারত থেকে এ ধানের বীজ প্রথমে বাংলাদেশে আসে। যেহেতু এটি দেশী জাত নয় এর বীজ প্রাপ্তি বিষয়ে জটিলতা রয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ি নিন্মমানের বীজ প্যাকেটজাত করে জিরাশাইল বলে বিক্রি করে কৃষকদের প্রতারিত করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউন অনুরূপ জাত উদ্ভাবনের উদ্যোগ নিতে পারে। সেই সাথে ব্রি উদ্ভাবিত আধুনিক জাত সমুহ ( উচ্চফলনশীল ও প্রিমিয়াম কোয়ালিটি যুক্ত) সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।