ব্রি ধান ২৮ এর ব্লাস্ট রোগের আগাম করণীয় কাজ সমূহ???

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, উপজেলা কৃষি অফিসার, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    রোগটি প্রতিরোধে ধান কাটার পর নাড়া-খড়কুটো জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা, আক্রান্ত জমি থেকে বীজ সংগ্রহ না করা, শোধিত বীজ ব্যবহার করা, অতিরিক্ত পরিমাণে ইউরিয়া সার ব্যবহার না করা, কয়েক কিস্তিতে ইউরিয়া সার দেয়া, পটাশ সার যথাযথ মাত্রায় ব্যবহার করা, প্রয়োজনে দুই কিস্তিতে পটাস সার দেয়া এবং জমিতে সবসময় পানি ধরে রাখতে হবে। এছাড়া ধানের কুশি অবস্থায় রোগটি দেখা দিলে বিঘাপ্রতি প্রায় পাঁচ কেজি পটাশ সার অতিরিক্ত প্রয়োগ করে সেঁচ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ধানের থোড় আসার পর একবার এবং ফুল আসার পর আবার ছত্রাকনাশক স্প্রে করলেও রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। রোগ প্রতিরোধে ট্রাইসাই কাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন- ট্রপার ৭৫ ডব্লিউপি বা জিল ৭৫ ডব্লিউপি প্রতিলিটার পানিতে ০.৮১ গ্রাম অথবা (টেবুকোনাজল ৫০% + ট্রাইফ্লুক্সিট্রোবিন ২৫%) জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন- নাটিভো ৭৫ ডব্লিউপি ১০ লিটার পানিতে ৭.৫ গ্রাম মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করা। অথবা এ রোগের জন্য অনুমোদিত অন্য যেকোনো ছত্রাকনাশক যেমন ফিলিয়া, স্টেনজা, কারিশমা, নোভা প্রভৃতি অনুমোদিত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে। তবে ধানের নেক ব্লাস্টের জন্য ট্রাইসাই কাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশকের কার্যকারিতা বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।