তরমুজের বালােই ব্যবস্থাপনা সর্কে জানতে চাই

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, উপজেলা কৃষি অফিসার, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    তরমুজের পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন পাতার বিটল পোকা প্রথম দিকে পোকাগুলোর সংখ্যা যখন কম থাকে তখন পোকা ডিম ও বাচ্চা ধরে নষ্ট করে ফেলতে হবে। পোকার সংখ্যা বেশি হলে রিপকর্ড ১০ইসি/  রিজেন্ট ৫০ এসসি ০১ মিলি/লিটার মাত্রায় অথবা মিপসিন ৭৫ ডব্লিউপি ২.৫গ্রাম/লিটার বা হেক্লেম ৫ এসজি ১০ গ্রাম/১০লিটার মাত্রায় যেকোন একটি   ৫-৭ দিন পরপর স্প্রে করতে হবে। জাব পোকা এ পোকা গাছের কচি কাণ্ড, ডগা ও পাতার রস শুষে খেয়ে ক্ষতি করে। এ পোকা দমনের জন্য হেমিডর অথবা প্রিমিডর (ইমিডাক্লোপ্রিড) ৭০ ডব্লিউজি ০২গ্রাম/১০লিটার অথবা  নোভাস্টার (বাইফেনথ্রিন+এবামেকটিন) ৫৬ ইসি/টলস্টার ২.৫ ইসি ০২ মিলি/লিটার স্প্রে করতে হবে।   ফল ছিদ্রকারী পোকা স্ত্রী পোকা ফলের খোসার নিচে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে কীড়াগুলো বের হয়ে ফল খেয়ে নষ্ট করে ফেলে এবং ফলগুলো সাধারণত পচে যায়। এ পোকা দমনের জন্য রিপকর্ড/রিজেন্ট/হেক্লেম স্প্রে করতে হবে। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে। কাণ্ড পঁচা রোগ   এ রোগের আক্রমণে তরমুজ গাছের গোড়ার কাছের কাণ্ড পঁচে গাছ মরে যায়। প্রতিকারের জন্য ৪ গ্রাম হেমেনকোজেব অথবা একরোবেট এমজেড+ডিফেন্স ৩৫এসসি ০১মিলি/ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫-৭ দিন পর পর গাছে স্প্রে করতে হবে। অথবা কোগার (এজক্সিস্ট্রবিন+সিপ্রোকোনাজল) ২৮ এসসি ০১মিলি/ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫-৭ দিন পর পর গাছে স্প্রে করতে হবে।   ফিউজেরিয়াম উইল্ট রোগ এ রোগের আক্রমণে গাছ ঢলে পড়ে মারা যায়। পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করা হলে এ রোগের প্রকোপ কম থাকে। রোগাক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।