বানানা আম সম্পর্কে জানতে চাই?

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, উপজেলা কৃষি অফিসার, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    থাইল্যান্ডভিত্তিক এই আম স্বাদে ও গন্ধে বেশ মনকাড়া। দেখতে কলার মতো লম্বা, পাকার সময় দুধে আলতা মেশানোর মতো হলুদ থেকে গোলাপি রঙের, আঠি চোকা পাতলা, রয়েছে প্রকৃত আমের স্বাদ। মিষ্টতা ১৯ /২০ টিএসএস এবং ৮৩% ই ভক্ষণযোগ্য। প্রচলিত জাতের চেয়ে এ আমে ফলন দ্বিগুণের বেশি। ব্যানানা ম্যাংগো বা কলা আম স্বাদে, গন্ধে যেমন অনন্য, তেমনি এর চাষের পদ্ধতিও সহজ। সাধারণত জুন মাসের পর থেকে দেশের বাজারে ভালো জাতের আমের প্রাপ্যতা যখন কমে আসে, তখন বাজারে আসে এই আম।

  2. Papia Rahman Moury, মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার, রাজশাহী

    হঠাৎ দেখলে মনে হবে আম গাছে কলা ধরেছে। কিন্তু একটু পরখ করলে বোঝা যাবে আসলে কলা নয়, আম গাছে আমই ঝুলছে। তবে কলার মতো দেখতে হওয়ায় এ জাতটির নামকরণ করা হয়েছে 'বানানা ম্যাংগো'। সাধারণ জাতের সঙ্গে এ আমের শুধু চেহারার অমিল নয়, অমিল রয়েছে ফলন, স্বাদ, গন্ধ ও গুণাগুণের দিক থেকেও। যে কারণে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে চাষ হওয়া নতুন জাতের এ আম নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। প্রতিদিনই মানুষ হর্টিকালচার সেন্টারে আসছেন এ আম দেখতে ও চারা সংগ্রহ করতে। মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালে থাইল্যান্ড থেকে তিনি এ আমের ডাল এনে স্থানীয় জাতের আম গাছের সঙ্গে তিনটি কলম (গ্রাফটিং) করেন। কলম থেকে লাগানো তিনটি গাছের প্রতিটিতেই প্রথম বছর গড়ে শতাধিক করে আম ধরে। পরের বছর আরও বেশি আম ধরে। এ বছর তিনটি গাছেই প্রচুর আম ধরেছে। আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত জাতের চেয়ে এ আমে ফলন দ্বিগুণের বেশি। কলার মতো দেখতে এ আম পাকলে দেশি পাকা সাগর কলার মতো রঙ ও চেহারা ধারণ করে। অত্যন্ত মিষ্টি এ আমের বৈশিষ্ট্য এর আঁটি খুব ছোট ও খোসা পাতলা। যে কারণে পাকা আম প্রায় মাসাধিককাল ঘরে রাখা যায়। প্রচলিত জাতের আমের চেয়ে ফলন দ্বিগুণ হওয়ায় এর বাণিজ্যিক গুরুত্বও অনেক বেশি।