২। কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে এ ফুলের চাহিদা ব্যাপক তবে পট প্লান্ট হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে ।
৩। ফুলের পাঁপড়ির বাইরের রং ক্রিম সাদা এবং ভিতরের রং লালচে বাদামী।
৪। স্পাইক প্রায় ৭০-৮০ সেমি. পর্যন্ত লম্বা হয়।
৫। স্পাইক প্রতি ফ্লোরেটের সংখ্যা ২৫-৩০টি ।
৬। ফুলের সজীবতা প্রায় ২০-২৫ দিন।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । স্থান নির্বাচন
: আধো আলোছায়া যুক্ত স্থান এ ফুল চাষের জন্য উত্তম। প্রয়োজনে ৩০-৪০% সূর্যালোক কাট করে (প্রবেশে বাধা দেয়) এমন সেড নেট ব্যবহার করলে ভাল হয়। পাশাপাশি উপযুক্ত বায়ু চলাচল ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।
২ । বপনের সময়
: বর্ষা মৌসুমের পূর্বে অর্থাৎ এপ্রিল-মে মাসে প্রস্ত্ততকৃত বেডে ৫০-৪০ সেমি. দূরত্বে লাগাতে হয়।
৩ । মাড়াইয়ের সময়
: মার্চ-মে। লাগানোর ১২ মাস পর পার্শ্বকুশি হতে এবং টিস্যু কালচারের চারা হতে ১৮ মাসের মধ্যে ফুল পাওয়া যায়। স্পাইকের নিচের দিক থেকে ৩-৪টি ফ্লোরেটের বর্ণ দেখা দিলে ফুল সংগ্রহের উপযুক্ত সময় বলে ধরে নেয়া হয়।
৪ । সার ব্যবস্থাপনা
: শেষ চাষের সময় প্রতি হেক্টর জমিতে ৩ টন গোবর/কম্পোষ্ট, ৩ টন কোকোব্লক, ১৭৫ কেজি টিএসপি এবং ১৫০ কেজি এমপি সার মাটিতে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ২১০ কেজি ইউরিয়াকে সমান তিন ভাগ করে ২ ভাগ গাছ রোপনের ৩০-৪৫ দিন এবং ৬০-৭৫ দিন পরে এবং শেষ ভাগ স্পাইক আসার পূর্বে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।