২। কাট-ফ্লাওয়ার হিসেবে এ ফুলের চাহিদা বেশী, তবে পট প্লান্ট হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
৩। ফুলের রং গাঢ় লাল এবং ৯.৫-১০ সেমি. ব্যাস বিশিষ্ট।
৪। প্রতি গাছে বছরে ২০-২৫ টি ফুল উৎপাদিত হয় ।
৫। স্পাইক ২৫-৩০ সেমি. পর্যন্ত লম্বা হয় ।
৬। ফুলের সজীবতা ৮-৯ দিন থাকে।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বপনের সময়
: জারবেরা সারা বছর চাষ করা যায় তবে অক্টোবর-নভেম্বর মাস সাকার বা চারা লাগানোর সর্বোত্তম সময়।
২ । মাড়াইয়ের সময়
: সাকার বা চারা লাগানোর ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ফুল আসে। জারবেরা ফুলের বাহিরের রে ফ্লোরেট (Ray floret) যখন সম্পূর্ণ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় এবং দু’ সারি ডিস্ক ফ্লোরেট (Disc floret) পূর্নতা পায় তখন ফুল তোলা হয়। জারবেরা ফুল না কেটে ফুল দন্ডের গোড়া ধরে আস্তে করে ঘুরিয়ে গাছ থেকে ফুল সংগ্রহ করা উচিত, না হলে কাটা স্থানে পচন ধরে গাছের মারাত্মক হতে পারে।
৩ । সার ব্যবস্থাপনা
: বেড তৈরী হলে চারা লাগানোর কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে বেডের প্রতি ১০ বর্গ মিটারের জন্য ৬০ কেজি পঁচা জৈব সার, ১.৫ কেজি ইউরিয়া অথবা ১ কেজি এমোনিয়াম সালফেট, ২.৫ কেজি ট্রিপল সুপার ফসফেট, ৫০০ গ্রাম মিউরেট অব পটাশ ও ৫০০ গ্রাম ম্যাগনেশিয়াম সালফেট প্রয়োগ করে ভালভাবে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। জারবেরার বেড তৈরীর সময় সারের যে বেসাল ডোজ দেয়া হয় তার পাশাপাশি নিম্নলিখিত মাত্রায় পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে। চারা রোপনের প্রথম ২-৩ সপ্তাহ গাছে কোন সার প্রয়োগ করা যাবে না। জারবেরা বেডের প্রতি ১০ বর্গ মিটার জমিতে গাছের চারপাশে ২৫০ গ্রাম ক্যালসিয়াম এমোনিয়াম নাইট্রেট এবং ১৫০ গ্রাম মিউরেট অব পটাশ প্রতি ১৫ দিন অন্তর প্রয়োগ করতে হবে। ১২ সপ্তাহ পর থেকে গাছে ফুল আসা শুরু হলে এনপিকে (NPK) (১৫:৮:৩৫) প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম মিশিয়ে ২-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিন জমিতে প্রয়োগ করলে ভাল মানের বেশী ফুল পাওয়া যায়।