১। মৌরি গাছ উচ্চতায় ১০০-১৩০ সেন্টি মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
২। প্রতি গাছে গড় শাখা-প্রশাখা ৬-৭ টি, আম্বেল ২৫-৩০ টি, প্রতি আম্বেলে আম্বেললেটের সংখ্যা প্রায় ২০-২৫ টি এবং প্রতি আম্বেললেটে বীজের সংখ্যা প্রায় ১০-১৫ টি।
৩। প্রতি ১০০০ বীজের গড় ওজন ৫-৬ গ্রাম।
৪। ফলের আকার আয়তাকার ও গাঢ় সবুজ।
৫। ফলন ১.৫৬-১.৭৫ টন/হে.
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বপনের সময়
: মধ্য আশ্বিন থেকে মধ্য কার্তিক (মধ্য অক্টোবর-মধ্য নভেম্বর) মাস বীজ ফসলের জন্য উত্তম। সাথী ফসল হিসাবে মরিচ, শাক-সব্জি, আখ, আলু, ডাল, মসলা জাতীয় অন্য ফসলের জমিতে মৌরির চাষ করা যায়। অতিরিক্ত সূর্যালোকে বীজ বপন করলে অঙ্কুরোদগমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। মৌরি বীজের জন্য বিলম্বে বীজ বপনে এর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয় এবং বিভিন্ন রোগবালাই এর আক্রমণ বেড়ে যায় ও বীজের মান খারাপ হয়ে যায়।
২ । মাড়াইয়ের সময়
: বপনের ১৪০-১৫০ দিন পর মৌরি পাকে। পাকলে বীজগুলো হালকা হলদে হয়ে পাতা শুকিয়ে যায়। সাধারনত খুব ভোরে অর্থাৎ সূর্যের আলোর প্রখরতা বৃদ্ধির পূর্বে গাছ উঠাতে হবে। মৌরির বীজ হালকা সবুজ অবস্থায় থাকতেই গাছ থেকে বীজসহ তুলতে হবে। এভাবে ২-৩ ধাপে বীজ সংগ্রহ করতে হবে নতুবা বীজের মান ভাল হয় না বীজ কালো হয়ে নষ্ট হযে যায়। মৌরি বীজ সাধারনত রৌদ্রাজ্জল দিনে সংগ্রহ করতে হবে। বীজ সংগ্রহের পর এক জায়গায় গাদা করে রাখা যাবে না কারন গাদা করে রাখলে বীজ কালচে হয়ে যায়। বীজ রোদে শুকিয়ে ঝাড়াই-মাড়াই করে পৃথক করা হয়। বীজে আর্দ্রতার পরিমান ৮-১০% রেখে শুকিয়ে ভালোভাবে সংরক্ষন করতে হবে।
৩ । সার ব্যবস্থাপনা
: জমি তৈরীর সময় গোবর, এমওপি, টিএসপি, জিপসাম, জিংক ও বোরণ সার প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া ২ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। চারা গজানোর ২৫ দিন পর ১ম কিস্তি এবং ফুল ফোটার পর পর বাকি সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।