পানিকচু বারি পানিকচু-৪


  • জাত এর নামঃ

    বারি পানিকচু-৪

  • আঞ্চলিক নামঃ

  • অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ

    বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

  • জীবনকালঃ

    ০ দিন

  • সিরিজ সংখ্যাঃ

  • উৎপাদন ( সেচ সহ ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ৩৫-৪৫ টন কেজি

  • উৎপাদন ( সেচ ছাড়া ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • জাত এর বৈশিষ্টঃ

    1. ১। গাছ খাড়া, কাণ্ড থামাকার এবং সবুজ বর্ণের। পাতা সবুজ ও Peltate আকৃতির।
    2. ২। কাণ্ড মোটা এবং গোলাপী রংয়ের।
    3. ৩। পত্র ফলকের মধ্য ও অন্যান্য শিরা নিম্নপৃষ্ঠে গাঢ় গোলাপী রংয়ের এবং উপরের পৃষ্ঠে গোলাপী রংয়ের।
    4. ৪। বোঁটা এবং বোঁটা ও পত্র ফলকের সংযোগস্থল গোলাপী রংয়ের।
    5. ৫। রাইজোম গোলাপী রংয়ের এবং ফ্লেস হালকা গোলাপী যা অন্য জাত থেকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
    6. ৬। এটি মূলত: রাইজোম উৎপাদিত তবে অল্প পরিসরে লতিও উৎপন্ন করে।
    7. ৭। গলাচুলকানীমু্ক্ত অর্থাৎ এ কচুতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট এর পরিমাণ কম থাকায় গলা চুলকায় না।
    8. ৮। সিদ্ধ করলে সমান ভাবে সিদ্ধ হয়।
    9. ৯। হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৪৫ টন কাণ্ড এবং প্রায় ৫-৮ টন লতি উৎপন্ন হয়।

  • চাষাবাদ পদ্ধতিঃ

    1. ১ । বপনের সময় : আগাম ফসলের জন্য কার্তিক (মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য-নভেম্বর) ও নাবী ফসলের জন্য মধ্য-ফাল্গুন থেকে মধ্য-বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে লাগানো যায়। তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য অগ্রহায়ন - পৌষ মাস (ডিসেম্বর-থেকে মধ্য- জানুয়ারী) চারা রোপনের উপযুক্ত সময়।
    2. ২ । মাড়াইয়ের সময় : লাগানোর ২ মাস পর থেকে ৭ মাস পর্যন্ত লতি হয়ে থাকে।
    3. ৩ । সার ব্যবস্থাপনা : এলাকাভেদে প্রয়োজন হয় প্রয়োগ পদ্ধতিঃ গোবর বা কম্পোস্ট, টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট, বরিক এসিড এবং অর্ধেক এমওপি সার জমি তৈরীর সময় শেষ চাষের আগে প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপনের ১.৫-২ মাস সময়ে অর্ধেক এমওপি এবং ইউরিয়ার এক ষষ্টাংশ ছিটিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়ার বাকী পাঁচ ভাগ সার সমান কিস্তিতে ১৫ দিন পর পর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।