স্ট্রবেরি বারি স্ট্রবেরি-২


  • জাত এর নামঃ

    বারি স্ট্রবেরি-২

  • আঞ্চলিক নামঃ

  • অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ

    বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

  • জীবনকালঃ

    ০ দিন

  • সিরিজ সংখ্যাঃ

  • উৎপাদন ( সেচ সহ ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ১৫-১৮ টন কেজি

  • উৎপাদন ( সেচ ছাড়া ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • জাত এর বৈশিষ্টঃ

    1. ১। বাংলাদেশে সর্বত্র চাষোপযোগী একটি উচ্চ ফলনশীল জাত।
    2. ২। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত ফল আহরণ করা যায়।
    3. ৩। গাছ প্রতি গড়ে ৩৭ টি ফল ধরে যার মোট গড় ওজন ৭৪১ গ্রাম। হেক্টর প্রতি ফলন ১৫-১৮ টন।
    4. ৪। হৃৎপিন্ডাকৃতির মধ্যম আকারের ফল যার প্রান্ত ভাগ চ্যাপ্টা, গড় ওজন ২০.১০ গ্রাম।
    5. ৫। পাকা ফল আকর্ষণীয় টকটকে লাল বর্ণের। ফলের ত্বক মধ্যম নরম ও ঈষৎ খসখসে।
    6. ৬। ফলের শতভাগ ভক্ষণযোগ্য। স্ট্রবেরীর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সুগন্ধযুক্ত ফলের স্বাদ টক-মিষ্টি (টিএসএস-৮.০%)।
    7. ৭। জাতটি ফল উৎপাদন মৌসুমে অল্প পরিমানে runner উৎপাদন করে বিধায় runner অপসারণ জনিত খরচ কম।

  • চাষাবাদ পদ্ধতিঃ

    1. ১ । বপনের সময় : বাংলাদেশের আবহাওয়ায় আশ্বিন মাস (মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য অক্টোবর) স্ট্রবেরীর চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চারা রোপণ করা চলে।
    2. ২ । মাড়াইয়ের সময় : ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে রোপণকৃত বারি স্ট্রবেরী-২ এর ফল সংগ্রহ পৌষ মাসে শুরু হয়ে চৈত্র মাস পর্যন্ত চলে।
    3. ৩ । সার ব্যবস্থাপনা : গুণগত মানসম্পন্ন উচ্চফলন পেতে হলে স্ট্রবেরীর জমিতে নিয়মিত পরিমিত মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে। হেক্টর প্রতি ৩০ টনপঁচা গোবর,২৫০ কেজিইউরিয়া, ২০০ কেজিটিএসপি, ২২০ কেজিএমওপি এবং ১৫০ কেজিজিপসাম সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। শেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ গোবর, টিএসপি, জিপসাম ও অর্ধেক পরিমাণ এমওপি সার জমিতে ছিটিয়ে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া ও অবশিষ্ট এমপি সার চারা রোপণের ১৫ দিন পর থেকে ১৫-২০ দিন পরপর ৪-৫ কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।