মালটা বারি মাল্টা-১


  • জাত এর নামঃ

    বারি মাল্টা-১

  • আঞ্চলিক নামঃ

    মাল্টা

  • অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ

    বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

  • জীবনকালঃ

    ০ দিন

  • সিরিজ সংখ্যাঃ

  • উৎপাদন ( সেচ সহ ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • উৎপাদন ( সেচ ছাড়া ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • জাত এর বৈশিষ্টঃ

    1. ১। উচ্চফলনশীল, গাছ খাটো, ছড়ানো ও অত্যধিক ঝোপালো। ফল গোলাকার ও মাঝারী আকৃতির।

  • চাষাবাদ পদ্ধতিঃ

    1. ১ । রোপনের সময় : সাধারণত মধ্য মে থেকে আগষ্ট মাসের মধ্যে চারা লাগানো উত্তম। তবে উপযুক্ত সেচ ব্যবস্থা থাকলে সারাবছর চারা লাগানো যায়। তবে চারা লাগানোর কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা পূর্বে ঐ গর্তে ডলোচুন প্রয়োগ করে কোদাল দিয়ে ভালোভাবে মাটির সাথে মেশাতে হবে। নাহলে মাল্টার স্বাদ টক হবে।
    2. ২ । অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা : নিয়মিত সেচ প্রদানসহ গাছের গোড়ায় যেন আগাছা না জন্মায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
    3. ৩ । রোগবালাই : ড্যাম্পিং অফ: মাল্টার নার্সারীর জন্য এটি একটি মারাত্নক রোগ। বীজ গজানোর পূর্বে বা পরে এ রোগের আক্রমন হতে পারে। লক্ষণ: চারা গোড়ার দিকে পচে যায় এবং চারা মারা যায়। বর্ষা মৌসুমে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। দমন ব্যবস্থা: বীজ বপনের আগে বীজতলা পচা খৈল সার (৬০ গ্রাম খৈল প্রতি বর্গমিটার জমিতে) দিয়ে শোধন করতে হবে। বীজ বপনের পূর্বে এগ্রোসিন দ্বারা বীজ শোধন করতে হবে। বীজতলায় অতিরিক্ত সেচ দেওয়া যাবে না এবং দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। রোগ দেখামাত্র রিডোমিল গোল্ড @ ০.২% হারে প্রয়োগ করতে হবে। গামোসিস: ফাইটোফথোরা নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়। রোগাক্রান্ত গাছের কান্ড ও ডাল বাদামী বর্ণ ধারন করে। আক্রান্ত স্থানে লম্বালম্বি ফাটল দেখা দেয় ও ফাটল দিয়ে আঠা বের হয়। আক্রান্ত ডালের পাতা হলুদ হয়ে যায় এবং ডাল উপর দিকে মরতে শুরু করে। কান্ড বা ডালের সম্পূর্ণ বাকল রিং আকারে নষ্ট হয়ে গাছ মারা যায়। মাটিতে অতিরিক্ত পানি জমে গেলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। গাছে কোন কারনে ক্ষতের সৃষ্টি হলে ক্ষতস্থান দিয়ে এ রোগের জীবাণু প্রবেশ করে। দমন ব্যবস্থা: পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করা এবং গাছকে সবল ও সতেজ রাখা। আক্রান্ত স্থান ছুড়ি দ্বারা চেছে বর্দোপেস্ট এর প্রলেপ দিতে হবে(১০০ গ্রাম তুঁতে ও ১০০ গ্রাম চুন আলাদা পাত্রে গুলিয়ে পরিমিত পানিতে মিশিয়ে বর্দোপেস্ট তৈরী করতে হবে) ।
    4. ৪ । পোকামাকড় : ফলের মাছি পোকা: পূর্ণাঙ্গ পোকা সাধারণত আধাপাকা ফলের ভিতরে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে কীড়া বের হয়ে ফলের শাঁস খেতে থাকে। পরবর্তী সময়ে আক্রান্ত ফলে ছত্রাক ও ব্যাক্টেরিয়া জন্মে ও আক্রান্ত ফল পঁচে ঝরে পড়ে। দমন ব্যবস্থা: আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে মাটির গভীরে পুতে ফেলতে হবে। সেক্স ফেরোমন ফাঁদ দ্বারা পূর্ণাঙ্গ পুরুষ পোকা দমন করা যায়। আগষ্ট মাস থেকে ফল সংগ্রহের পূর্ব পর্যন্ত বাগানে ১০ মিটার অন্তর এ ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে।