সকল প্রশ্ন

মোট প্রশ্ন ৮৬২ টি | পৃষ্ঠা নং ৬ | সর্বমোট পাতা ৮৭

উত্তর সমূহ

  1. কল্পনা রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক, পটিয়া, চট্টগ্রাম

    রোগের নাম ঃ পাতার পোড়া ক্ষত (Leaf Scald) রোগরোগের কারণজ্যানথোমোনাস এ্যালবিলিনিয়ান্স (Xanthomonas albilineans) নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে।রোগের বিস্তারআক্রান্ত বীজ আখের মাধ্যমে প্রথমিকভাবে এ রোগ ছড়ায়। বৃষ্টি বা বন্যার পানির ও ফসল কাটার যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে।রোগের লক্ষণদীর্ঘকাল স্থায়ী লক্ষণ

    •             পাতার মধ্যশিরা বরাবর শিরা বা তার আশেপাশে খুব চিকন লম্বালম্বি সাদা দাগের উৎপত্তি হয় এবং তা লম্বালম্বিভাবে পত্রফলকের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
    •             পাতার অগ্রভাগ থেকে নিম্নদিকে ঝলসানো বা পোড়া ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
    •             পূর্ণ বয়স্ক আখে প্রত্যেকটি পর্বে পার্শ্বকুশি গজায় এবং ঐ সমস্ত পাতায় উপরোল্লি­খিত লক্ষণ দুটি প্রকাশ পায়।
    •             আক্রান্ত গাছের কান্ড চিড়লে পর্ব এবং মধ্যম মধ্যস্ত ভাসকুলার বান্ডেলে ছোট বা টানা লাল দাগ দেখা যায়।
    তীব্র লক্ষণ
    •             বাহ্যিক কোন লক্ষণ না প্রকাশ পেলেও গাছ হঠাৎ করে শুকিয়ে মারা যায়।
    •             শুধুমাত্র পর্ব বা পর্ব মধ্যস্থ স্থানে ছোট বড় টানা লাল দাগ দেখা যায়।
    রোগের প্রতিকার
    •             রোগ প্রতিরোধ শক্তিসম্পন্ন জাতের চাষ করতে হবে।
    •             ৫৪০সে তাপমাত্রায় ৪ ঘন্টাকাল আর্দ্র গরম বাতাসে অথবা গরম পানিতে ৫০০সে. তাপমাত্রায় ৩ ঘন্টাকাল বীজ শোধন করে বীজ বপন করতে হবে।
    •             ফসল কাটার যন্ত্রপাতি পুড়িয়ে রোগ-জীবাণু মুক্ত করে ব্যবহার করতে হবে।
    •             সঠিক অন্তবর্তীকালীন পরিচর্যার ব্যবস্থা নিতে হবে।
    •             জমিতে সুষম সার ব্যবহার করতে হবে এবং পানি নিস্কাশনের উত্তম ব্যবস্থা করতে হবে।
    •             ব্যাকটেরিয়া নাশক মিউপিরোসিন (ব্যাকট্রোবান) ১ লিটার পানিতে ৪ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ৩-৪ বার জমিতে স্প্রে করতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. কল্পনা রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক, পটিয়া, চট্টগ্রাম

    বারি সূর্যমুখী-২ : গাছের কান্ডের ব্যাস ২.০-২.৪ সে.মি.। পরিপক্ক পুষ্পমঞ্জুরী বা শাখার ব্যাস ১৫-১৮ সে.মি.। বীজের রং কালো। ১০০০ বীজের ওজন ৬৫-৭০ গ্রাম। প্রতি মাথায় বীজের সংখ্যা ৪৫০-৬৫০। তেলের পরিমাণ শতকরা ৪২-৪৪ ভাগ। জীবনকাল রবি মৌসুমে ৯৫-১০০ দিন এবং খরিফ মৌসুমে ৯০-৯৫ দিন।  হেক্টর প্রতি ফলন রবি মৌসুমে ২.০ হতে ২.৩ টন এবং খরিপ মৌসুমে ১.৫ হতে ১.৮ টন।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, অতিরিক্ত পরিচালক, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    পেয়ারার মাছি পোকাক্রীড়া ছিদ্র করে ফলের ভিতরে ঢুকে ফলের মাংসল অংশ খেতে থাকে এবং ফল ভেতরে পচে যায়।মাছি পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য সহজ উপায় হল ফলন্ত গাছে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ঝুলানো। পোকা দমনের জন্য ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক ( যেমন সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন ২০ মিলিলিটার) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার ভালভাবে স্প্রে করুন।কীটনাশক স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, অতিরিক্ত পরিচালক, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত কলম করার উপযুক্ত সময়। কারন এ সময় বাতাসে আদ্রতা ও গাছের কোষের কার্যকারিতা বেশী থাকে। ফলে তাড়াতাড়ি জোড়া লাগে এবং সফলতার হারও বেশী পাওয়া যায়। অন্য সময়ে করা যেতে পারে তবে আদ্রতা বজায় রাখতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, অতিরিক্ত পরিচালক, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

     কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: এমকোজিম ৫০ ডব্লিউপি ১ গ্রাম বা নোইন ৫০ ডব্লিউপি ২ গ্রাম অথবা ডাইফেনোকোনাজল যেমন স্কোর ২৫০ ইসি ০.৫ গ্রাম/প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা। রোগ বেশি মাত্রায় দেখা দিলে এজোক্সিস্ট্রোবিন (২০%) + ডাইফেনোকোনাজল (১২.৫%) যেমন এমিস্টার টপ ১.৫ এমএল/প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, অতিরিক্ত পরিচালক, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    জমি প্রস্তুতির সময় অধিকাংশ রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয়। কোন কারনে সার দেওয়া সম্ভব না হলে বিঘা প্রতি ৫ কেজি টিএসপি, ৮কেজি এমওপি ও ৫কেজি জিপসামে একত্রে কাদার সাথে মিশিয়ে দেওয়ার প্রচলন রয়েছে কিছু এলাকায়। তবে এতে খোল পোড়া রোগ এর আক্রমণ দেখা যেতে পারে।সতর্ক থাকতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, অতিরিক্ত পরিচালক, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    • গোলাপের কুঁড়ি ছিদ্রকারী পোকা
    • লক্ষণঃ এ পোকা ফুলের কুঁড়ি এবং ফুলে ছিদ্র করে ক্ষতি সাধন করে ।
    • ব্যবস্থাপনাঃ ১. পোকাসহ গাছের আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা। ২. বাগান পরিস্কার/পরিচ্ছন্ন রাখা । ৩. বেশি পোকা দেখা দিলে ইমিডাক্লোরপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, অতিরিক্ত পরিচালক, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    • গোলাপের পাতার কাল দাগ রোগ
    • লক্ষণঃ এ রোগের আক্রমণে পাতায় কাল দাগ দেখা যায়।দাগের চারপাশে হলুদ অংশ থাকে। অপরিনত পাতা ঝড়ে পড়ে।
    • ব্যবস্থাপনাঃ ১. আক্রান্ত পাতা ও ডাল অপসারণ করা। ২. বাগানে সুষম সার প্রয়োগ করা ও নিয়মিত সেচ দেওয়া।
    • সাবধানতাঃ বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না।
    • করনীয়ঃ ১. রোগ সহনশীল জাতের চাষ করুন। ২. ফুল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন। ৩. পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন। ৪. নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, অতিরিক্ত পরিচালক, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

    ১। আক্রান্ত গাছ তুলে ক্ষেত পরিস্কার করা. ২। চারা লাগানোর ১০-১৫ দিন পর থেকে কপার অক্সিক্লোরাইড বা কাবেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: চ্যাম্পিয়ন ২ গ্রাম / লি. বা ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে গাছে ও গাছের গোড়ায় ১০ দিন পরপর ৩-৪ বার স্প্রে করা ।