মুকুল
আসার অন্তত দুই থেকে তিন মাস আগে লিচু গাছে সার প্রয়োগ ও সেচ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। এই সময় কোনও
ভাবে গাছকে বিরক্ত করা যাবে না। কারণ পরিচর্যার জেরে গাছে নতুন শাখা-প্রশাখা তৈরি হলে মুকুল আসার সম্ভাবনা কমে যায়। এই গাছগুলিতে পুরনো
শাখায় ফুল আসে। যে সব শাখা
বসন্ত বা গ্রীষ্মে জন্মায়,
তাতে পরের বছর মাঘ-ফাল্গুন মাসে ফুল আসে।তবে, ফুল আসার আগে কিছু রোগপোকার আক্রমণ হলে মুকুল ফুটে বের হতে পারে না।
থ্রিপস পোকার আক্রমন হতে পারে।পোকা চেনার উপায় : স্ত্রী পোকা সরম্ন, হলুদাভ। পুরম্নষ গাঢ় বাদামী । বাচ্চা পোকা হলুদ অথবা সাদা । এদের পিঠের উপর লম্বা দাগ দেখা যায়। ক্ষতির নমুনা : রস চুষে খায় বলে পাতা রূপালী রং ধারণ করে অথবা ক্ষুদ্রাকৃতির বাদামী দাগ বা ফোটা দেখা যায়। আক্রমণ বেশী হলে পাতা শুকিয়ে মরে যায়। কন্দ আকারে ছোট ও বিকৃত হয়। ব্যবস্থাপনা : সাদা রংয়ের আঠালো ফাঁদ ব্যবহার ক্ষেতে মাকড়সার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এ পোকা দমন করা যায়। অনুমোদিত কীটনাশক নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
ব্যবস্থাপনাঃ
# আকান্ত পাতা ও ডগা ছাটাই করে ধ্বংস করা।
# মিলিবাগ বা সাদা মাছির আক্রমণ এ রোগ ডেকে আনে তাই এদের দমনের জন্য এডমায়ার ১ মি.লি / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ।
# টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লি. পানিতে ৫ মি.লি. মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করা।
ব্যবস্থাপনাঃ
* রানীপোকাসহ উঁইপোকার ঢিবি ধ্বংস করা ।
* খাদ্য ফাঁদ ব্যবহার করা ( মাটির হাড়িতে পাট কাঠি, ধৈঞ্চা রেখে জমিতে পুতে
রেখে পরে তুলে উঁইপোকাগুলো মেরে ফেলা)
* নার্সারিতে সেচ দিয়ে কয়েকদিন পানি ধরে রাখা ।
* গাছে উঁইপোকার মাটি সরিয়ে দিয়ে পোকা মেরে ফেলা সম্ভব হলে পানি দিয়ে ধুইয়ে
গাছ পরিস্কার করে দেয়া ।
* অতি আক্রমণের ক্ষেত্রে ক্লোরপাইরিফস গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ডার্সবান ৫
মিলি./ লি হারে পানিতে মিশিয়ে কান্ডে ও গোড়ার মাটিতে স্প্রে করা ।
সাবধানতাঃ
স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে দারুচিনি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না ।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সাথে যোগাযোগ করুন।