বর্ষার আগে ও পরে গাছ প্রতি ১০০ গ্রাম এমওপি সার ও ২০ গ্রাম বোরন সার
প্রয়োগ করবেন। সেক্ষেত্রে নারকেল গাছ হতে দেড়হাত দূরে গোলাকার ৬ ইঞ্চি গভীর
নালা করে সার প্রয়োগ করার পর মাটি দিয়ে চেপে দিতে হবে এবং হালকা সেচ দিয়ে
দিবেন। ফুল আসার আগে ও পরে ৫০-১০০ গ্রাম বোরন দিতে পারলে ভালো হয়।
রোগের নাম : কন্দ পচা
রোগের কারণ : পিথিয়াম এফানিডারমেটাম নামক ছত্রাক এবং ব্যাক্টিরিয়া ও রাইজোম ফ্লাইও আদা পচার সাথে জড়িত।
রোগের বিস্তার : আক্রান্ত রাইজোম, মাটি, পানি ও ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে রোগের বিস্তার ঘটে।
রোগের লক্ষণ
১. গাছের গোড়ায় কন্দতে প্রথমে পানি ভেজা দাগ দেখা যায়।
২. পরে ওই স্থানে পরম পচন দেখা যায়।
৩. ক্রমান্বয়ে কন্দের বেশি বেশি অংশ পচে যায়।
৪. আক্রান্ত গাছের শিকড়ও পচতে শুরু করে এবং গাছ টান দিলে সহজেই উঠে আসে।
৫. আক্রান্ত কন্দ থেকে এক ধরনের গন্ধ বের হয়। এ গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে রাইজোম ফ্লাই নামক পোকা আদায় আক্রমণ করে।
৬. গাছের ওপরের অংশে পাতা হলুদ হয়ে যায়। পাতায় কোনো দাগ থাকে না।
৭. পরে গাছ ঢলে পড়ে ও শুকিয়ে মারা যায়।
৮. রাইজোম পচে যাওয়ার ফলে ফলন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
রোগের প্রতিকার
১. আক্রান্ত গাছ মাটিসহ উঠিয়ে গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হবে।
২. আক্রান্ত গাছ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
৩. রোগবিহীন কন্দ সংগ্রহ করে বীজ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
৪. আক্রান্ত জমিতে শস্য পর্যায় অনুসরণ করতে হবে।
৫. মাঠে যথাযথ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৬. স্টেবল বিচিং পাউডার প্রতি হেক্টরে ২০ কেজি হারে শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
৭. রিডোমিল গোল্ড বা ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে
মিশিয়ে ওই দ্রবণের মধ্যে বীজ আদা আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে শোধন করে উঠিয়ে
ছায়ায় শুকিয়ে নিয়ে জমিতে রোপণ করতে হবে।
৮. অর্ধকাঁচা মুরগির বিষ্ঠা (৩-৫ টন/হে.) আদা বপনের ২১ দিন আগে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
৯. রোগ দেখা দেয়া মাত্রই রিডোমিল গোল্ড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম
হারে (০.২%) অথবা সিক্যুয়র প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১২
দিন পর পর গাছের গোড়ার মাটিতে স্প্রে করতে হবে।
ফসল : আলু রোগের নাম : গোল আলুর স্ক্যাব রোগ
রোগের কারণ : ব্যাকটেরিয়া
ক্ষতির ধরণ : এ রোগের আক্রমণে আলুর গা এবড়ো থেবড়ো হয়ে যায়, দাগ পড়ে এবং আলুর গায়ে গর্তের সৃষ্টি হয়।
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : আলূ
ব্যবস্থাপনা : জমিতে
অতিরিক্ত ইউরিয়া ব্যবহার না করা। জমিতে শতাংশ প্রতি ১৮০ গ্রাম জিপসাম
প্রয়োগ করা। রোগ সহনশীল জাত যেমন বারি আলু ২৫, বারি আলু ২৮, বারি আলু ৩১,
বারি আলু ৩৪, বারি আলু ৪১ চাষ করা যেতে পারে । জমিতে হেক্টর প্রতি ১২০ কেজি
জিপসাম সার ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় সেচের তারতম্যের কারনে দাদ রোগ হতে
পারে। সেজন্য আলু লাগানোর ৩০-৩৫ দিন পর্যন্ত কোন অবস্থাতে যেন মাটির রসের
ঘাটতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আলু উত্তোলনের সময় মাটিতে রস বেশি
থাকলে দাদ রোগ হতে পারে। গাছের বয়স ৭০ দিন হলে সেচ দেয়া বন্ধ করতে হবে।
পূর্ব-প্রস্তুতি : পরিমিত ও সময় মত সার ব্যবহার করা।
বর্ষার আগে ও পরে গাছ প্রতি ১০০ গ্রাম এমওপি সার ও ২০ গ্রাম বোরন সার প্রয়োগ করবেন। সেক্ষেত্রে নারকেল গাছ হতে দেড়হাত দূরে গোলাকার ৬ ইঞ্চি গভীর নালা করে সার প্রয়োগ করার পর মাটি দিয়ে চেপে দিতে হবে এবং হালকা সেচ দিয়ে দিবেন। ফুল আসার আগে ও পরে ৫০-১০০ গ্রাম বোরন দিতে পারলে ভালো হয়।