ড্রাগন ফলের পোকা-মাকড়ঃ পোকা-মাকড়
খুব একটা চোখে পড়ে না, তবে মাঝে মাঝে এফিড ও মিলি বাগের আক্রমণ দেখা যায়।
বাচ্চা ও পূর্ণ বয়স্ক পোকা গাছের কচি শাখা ও পাতার রস চুষে খায়, ফলে
আক্রান্ত গাছের কচি শাখা ও ডগার রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় ও গাছ দূর্বল হয়ে পড়ে।এ
পোকা ডগার উপর আঠালো রসের মতো মল ত্যাগ করে ফলে শুটিমোল্ড নামক কালো
ছত্রাক রোগের সৃষ্টি হয়। এতে গাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যহত হয়। ফলে ফুল ও ফল
ধারন কমে যায়। এ পোকা দমনের জন্য যে কোন কীটনাশক যেমন
সুমিথিয়ন/ডেসিস/ম্যালাথিয়ন ইত্যাদি প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২৫ মি.লি./৫ক্যাপ
ভালভাবে মিশিয়ে স্প্রে করে সহজেই এ রোগ দমন করা যায়
সুগার
বিট গাছ একটি গোলাকার সক্রোজ জাতের এবং এটির ভিতরে ঘনত্ব খুব বেশি হয় এবং এটি
বড় আকার হলে বাণিজ্যিকভাবে চিনি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এটি বিশ্বে চিনি উৎপাদনে ব্যবহৃত ফসলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। চিনি উৎপাদন ছাড়াও এটি ওষুধের সিরাপ তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এটি বয়ো গ্যাস এবং গবাদী পশুর খাদ্য তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়।এক হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ৮৮ থেকে ১৩৩
টন সুগার বিট উৎপাদন করা সম্ভব। পাশাপাশি, জমি ব্যবহার এবং পানির সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার দিক থেকে শীতকালে গ্রীষ্মমন্ডলীয় সুগার বিট চাষ টেকসই কৃষির জন্য একটি ভালো উদাহরণ হতে পারে। দেশের ১৪টি চিনি কলের অধীনে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর
আখ চাষের জমি রয়েছে এবং যদি এই জমিতে সুগার
বিট চাষ করা হয় তবে ৪.৮ লাখ টন
সুগার বিট প্রতিবছর উৎপাদন করা সম্ভব। যার মাধ্যমে এ সকল চিনি
কল থেকে বছরে ২শ’ ৬৪ কোটি টাকার
৪৮ হাজার টন চিনি উৎপাদন
করা সম্ভব হবে।
আবহাওয়া
ও মাটির উর্বরতার মান যাচাই এবং ধানের জাত, জীবনকাল ও ফলন মাত্রার উপর
ভিত্তি করে সারের মাত্রা ঠিক করা হয়। আলোক-অসংবেদনশীল দীর্ঘ ও মধ্যম মেয়াদি
জাতের ক্ষেত্রে বিঘা প্রতি ইউরিয়া-ডিএপি/টিএসপি-এমওপি-জিপসাম যথাক্রমে
২৬-৮-১৪-৯ কেজি হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে। জমি তৈরির শেষ চাষে
সমস্ত-এমওপি-ডিএপি/টিএসপি-জিপসাম প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সমান ভাগে তিন
কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। ১ম কিস্তি চারা রোপণের ৭-১০ দিন পর, ২য় কিস্তি
চারা রোপণের ২৫-৩০ দিন পর এবং ৩য় কিস্তি কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে
প্রয়োগ করতে হবে।
আলোক-অসংবেদনশীল স্বল্পমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে
বিঘা প্রতি ইউরিয়া-ডিএপি/টিএসপি-এমওপি-জিপসাম যথাক্রমে ২০-৭-১১-৮ কেজি
হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে। জমি তৈরির শেষ চাষে ১/৩ অংশ ইউরিয়া এবং সমস্ত
ডিএপি/টিএসপি-এমওপি-জিপসাম প্রয়োগ করতে হবে। বাকি ইউরিয়া সমানভাগে দুই
কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। ১ম কিস্তি চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পর এবং ২য়
কিস্তি কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে প্রয়োগ করতে হবে।
নাবিতে রোপণকৃত আলোক-সংবেদনশীল জাতের ক্ষেত্রে বিঘা প্রতি
ইউরিয়া-ডিএপি/টিএসপি-এমওপি-জিপসাম যথাক্রমে ২৩-৯-১৩-৮ কেজি হিসেবে প্রয়োগ
করতে হবে। জমি তৈরির শেষ চাষে ২/৩ অংশ ইউরিয়া এবং সমস্ত ডিএপি-এমওপি-জিপসাম
প্রয়োগ করতে হবে। বাকি ইউরিয়া কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে প্রয়োগ করতে
হবে। ব্রি ধান৩২ এবং স্বল্প আলোক-সংবেদনশীল সুগন্ধিজাত যেমন- বিআর৫, ব্রি
ধান৩৪, ব্রি ধান৩৭ ও ব্রি ধান৩৮ ধানের ক্ষেত্রে বিঘা প্রতি
ইউরিয়া-ডিএপি/টিএসপি-এমওপি-জিপসাম যথাক্রমে ১২-৭-৮-৬ কেজি হিসেবে প্রয়োগ
করতে হবে।
* ডিএপি সার ব্যবহার করলে সবক্ষেত্রেই প্রতি
কেজি ডিএপি সারের জন্য ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া কম ব্যবহার করলেই হবে এতে গাছ শক্ত
হয়, রোগবালাই, পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়।
ক্ষতির নমুনা: মোজাইক
ভাইরাস দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে। আক্রান্ত পাতার উপর হলদে সবুজ দাগ পড়ে।
সাধারণত: কচি পাতা প্রথমে আক্রান্ত হয়। আক্রান- বীজ ও বায়ুর মাধ্যমে এ রোগ
বিস্তার লাভ করে। সাদা মাছি নামক পোকা এ রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে।
অনুকুল পরিবেশ: বিকল্প পোষক ও সাদা মাছির আধিক্য এ রোগ দ্রুত বিস্তারে সহায়ক।
ব্যবস্থাপনা: রোগ মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। সাদা মাছি দমনের জন্য অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। আক্রান- গাছ তুলে পুড়ে ফেলতে হবে। সাবানযুক্ত পানি
স্প্রে করা যায় অথবা আধাভাঙ্গা নিমবীজের পানি (১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম
নিমবীজ ভেঙ্গে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিতে হবে) আক্রান্ত গাছে ১০ দিন
পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়। এছাড়াও তামাকের গুড়া
(১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে
মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। আক্রমণ বেশি হলে
ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার /
২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর
২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পোকার নাম : লেবুর প্রজাপতি (লেমন বাটারফ্লাই)
পোকা চেনার উপায় : পাখা হালকা
কালো রঙের ও পাখা উপরি ভাগ হ্লুদ রঙে সুন্দর রুপে অলংকৃত। পাখার নিচের
ভাগ কিছুটা সাদাটে। ।শরীরে বড় বড় জোড়া দাগ আছে।
ক্ষতির ধরণ : অল্প কয়স্ক কীড়া
লেবু গাছের চকচকে হালকা হলুদাভ সবুজ কচি পাতা খেতে পছন্দ করে । কচি পাতার
কিনারা থেকে শুরু করে মধ্যশিরা পর্যন্ত খেয়ে ফেলে । কখনো কখনো পরিপক্ক পাতা
খেতে শুরু, এমনকি সম্পূর্ণ গাছের পাতা খেয়ে গাছ পাতাশূণ্য করে ফেলে।
ক্ষতির লক্ষণ : অল্প কয়স্ক
কীড়া মাল্টা গাছের চকচকে হালকা হলুদাভ সবুজ কচি পাতা খেতে পছন্দ করে । কচি
পাতার কিনারা থেকে শুরু করে মধ্যশিরা পর্যন্ত খেয়ে ফেলে । কখনো কখনো
পরিপক্ক পাতা খেতে শুরু, এমনকি সম্পূর্ণ গাছের পাতা খেয়ে গাছ পাতাশূণ্য করে
ফেলে।
আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, ফলের বাড়ন্ত পর্যায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা , কচি পাতা
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : কীড়া
ব্যবস্থাপনা : আক্রমণ বেশি হলে
ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক ( যেমন সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন ২০ মিলিলিটার ) অথবা
ক্লোরপাইরিফস জাতীয় কীটনাশক ( ্রিজেন্ট ১০-১৫মিলিলিটার) ১০ লিটার পানিতে
মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা
অবলম্বন করতে হবে। পূর্ব-প্রস্তুতি : নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
অন্যান্য : যখনই গাছে
ডিম, কীড়া ও পুত্তলি দেখা যাবে, তখনই হাত দিয়ে সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে
ফেলে বা পুড়িয়ে দিয়ে এ পোকা ধ্বংস করুন। *আক্রান্ত গাছ ঝাকি দিয়ে কীড়া
সংগ্রহ করে কেরোসিন মিশ্রিত পানিতে ডুবিয়ে মেরে এ পোকা নিয়ন্তণ করুন।।
৫-৭দিন অন্তর এ পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ
না করা;একই জমিতে পর পর বার বার বেগুন চাষ না করা;চারা রোপণের আগে জমিতে
১-৩ সপ্তাহ পানি জমা করে রাখলে ব্যাক্টেরিয়াল রোগ কম হয়;চাষের পূর্বে জমিতে
শতাংশ প্রতি ১ কেজি ডলোচুন প্রয়োগ করে জমি তৈরী করা;পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব
সার ও পরিমিত ইউরিয়া ব্যবহার করা। বীজ তলায় বীজ বপনের ২-৩ সপ্তাহ পূর্বে
বিঘা প্রতি ১০-১৫ মণ হারে মুরগির পচা বিষ্ঠা মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া। মূল
জমিতেও এভাবে মুরগির বিষ্ঠা দেয়া যেতে পারে। ৩০-৪০ কেজি/বিঘা হারে সরিষা
বা নিম খৈল এভাবে প্রয়োগ করেও সুফল পাওয়া যায়। বন বেগুন গাছের কান্ডের সাথে
কাঙ্খিত জাতের জোড় কলম করে বেগুনের চাষ করলে ঢলে পড়া রোগ সম্পূর্ণ
প্রতিরোধ করা যায় । বীজতলায় বীজ বপনের ১৫ দিন আগে শতাংশ প্রতি ৮৫ গ্রাম
হারে স্ট্যাবল ব্লিচিং পাউডার ছাই বা বালির সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিয়ে হালকা
পানি দিয়ে বা চাষ দিয়ে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিন।জমিতে চারা লাগানোর
১৫ দিন আগে শতাংশ প্রতি ৮৫ গ্রাম হারে স্ট্যাবল ব্লিচিং পাউডার ছাই বা
বালির সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিয়ে হালকা পানি দিয়ে বা চাষ দিয়ে মাটির সাথে
ভালভাবে মিশিয়ে দিন। পরিশেষে ক্ষতির মাত্রা বেশি হলে
অতিরিক্ত গুঁটি ঝরে না পড়লে আমের আকার ছোট হয় এবং আমের গুণগত মান ও ফলন
কমে যায়। প্রতিটি মুকুলে একটি করে গুঁটি থাকলে সে বছর আমের বাম্পার ফলন হয়।
তবে প্রতি মুকুলে আমের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ফুল ফোটার ১০ ও ২০ দিন পর
দুইবার ১০ লিটার পানিতে ৬ গ্রাম হারে বোরিক এসিড স্প্র্রে করলে ভালো ফলন
পাওয়া যায়। আবার, ফুল ফোটা অবস্থায় জিবেরেলিক এসিড প্রতি লিটার পানিতে ৫০
মিলিগ্রাম হারে স্প্রে করলে আমের গুঁটি ঝরা কমে যায়।মাটিতে রসের অভাব হলে
মাটিতে রসের অভাব হলেও আমের গুঁটি ঝরে যায়। আমের বৃদ্ধির প্রাথমিক
পর্যায়ে অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিল মাসে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মাটিতে রসের অভাব
দেখা দেয়। মাটিতে রসের অভাব হলে আমের বোঁটায় তাড়াতাড়ি নির্মোচন স্তর গঠিত
হয়। ফলে আমের গুঁটি ঝরে যায়।
করণীয়
মাটিতে রসের অভাবে আমের গুঁটি ঝরে গেলে গাছের চারপাশে নিয়মিত সেচ দিতে
হবে। আমের গুঁটি মটরদানার মতো হলেই প্রথমে একবার গাছের গোড়ায় পানি সেচ দিতে
হবে। প্রথম সেচ দেয়ার পর থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত ১৫ দিন পরপর সেচ
দিতে হবে। সেচের পাশাপাশি হরমোন প্রয়োগ করেও আমের গুঁটি ঝরা কমানো যায়।
যেমন, আমের গুঁটি মটরদানার মতো হলে প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া সার
অথবা প্রতি ৪.৫ লিটার পানিতে দুই মিলিলিটার হারে প্লানোফিক্স হরমোন পানিতে
মিশিয়ে আমের গুঁটিতে স্প্র্রে করলে গুটি ঝরা কমে যায়
এককভাবে এলাকার এক-দুইজন মাকড় দমন করলে
যথাযথভাবে কার্যকর হবে না। মাকড় আক্রান্ত নারিকেল গাছে ৫ ধাপে দমন
ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হয়। তবেই ভালো ফল পাওয়া যায়।
প্রথম ধাপ : শীত শুরু হওয়ার আগে আশ্বিন-কার্তিক (মধ্য
অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর) মাসে আক্রান্ত নারিকেল গাছের বিকৃত ২ থেকে ৬
মাস বয়সের সব নারিকেল কেটে গাছতলাতেই আগুনে পুড়িয়ে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে
হবে যাতে সেসব অবর্জনা অন্য গাছে মাকড় ছড়াতে না পারে।
দ্বিতীয় ধাপ : আশ্বিন-কার্তিক (মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য
নভেম্বর) মাসে গাছের মাথা পরিষ্কার করার পর কাঁদি সংলগ্ন জায়গাতে ১.৫-২.০
মিলিলিটার হারে মাকড়নাশক ওমাইট/সুমাইট/ রনভিট/ডেনিটল/ ভার্টিমেট অনুমোদিত
মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। এ সাথে আশপাশে কম বয়সি গাছের কচিপাতায় একইভাবে
মাকড়নাশক স্প্রে করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ : ফাল্গুন-চৈত্র (মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে মধ্য
মার্চ) মাসে প্রথমবার মাকড়নাশক প্রয়োগের পর গাছে নতুন ফুল আসলে তাতে ফল
ধরবে, ফলের বয়স ২ মাসে মুষ্টির আকার হলে একই মাত্রায় দ্বিতীয়বার মাকড়নাশক
প্রয়োগ করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ : তৃতীয়বার চৈত্র-বৈশাখ (মধ্য এপ্রিল থেকে
মধ্য মে) মাসের পর স্প্রে করার আগে কাটার মতো ডাব ও নারিকেল সংগ্রহের পর
আগের মতো একই মাত্রায় মাকড়নাশক স্প্রে করতে হবে।
পঞ্চম ধাপ : চতুর্থ ধাপের মতো জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় (মধ্য মে থেকে
মধ্য জুন) মাসে পাশের ছোট গাছসহ নির্দিষ্ট গাছগুলোতে শেষবারের মতো
মাকড়নাশক স্প্রে করতে হবে। এভাবে ৫টি ধাপে মাকড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা
নিশ্চিত করতে হবে
জমির
অধিকাংশ গাছে ৪ টি ডিমওয়ালা পুর্ণ বয়ষ্ক স্ত্রী পোকা বা ১০ টি বাচ্চা
বাদামিগাছ ফড়িং বা উভয়ই দেখা গেলে বাদামী গাছ ফড়িং দমনে আইসোপ্রোকার্ব
জাতীয় কীটনাশক (যেমন মিপসিন বা সপসিন ৩০ গ্রাম) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০
দিন পর পর ২-৩ বার বিকালে স্প্রে করুন।
ড্রাগন ফলের পোকা-মাকড়ঃ পোকা-মাকড় খুব একটা চোখে পড়ে না, তবে মাঝে মাঝে এফিড ও মিলি বাগের আক্রমণ দেখা যায়। বাচ্চা ও পূর্ণ বয়স্ক পোকা গাছের কচি শাখা ও পাতার রস চুষে খায়, ফলে আক্রান্ত গাছের কচি শাখা ও ডগার রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় ও গাছ দূর্বল হয়ে পড়ে।এ পোকা ডগার উপর আঠালো রসের মতো মল ত্যাগ করে ফলে শুটিমোল্ড নামক কালো ছত্রাক রোগের সৃষ্টি হয়। এতে গাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যহত হয়। ফলে ফুল ও ফল ধারন কমে যায়। এ পোকা দমনের জন্য যে কোন কীটনাশক যেমন সুমিথিয়ন/ডেসিস/ম্যালাথিয়ন ইত্যাদি প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২৫ মি.লি./৫ক্যাপ ভালভাবে মিশিয়ে স্প্রে করে সহজেই এ রোগ দমন করা যায়