বৃত্তাকার কর্তন পদ্ধতিতে নমুনা শস্য কর্তন করলে অপেক্ষাকৃত নির্ভূল ফলন পাওয়া যায়। এ পদ্দতিতে ৮.২৭৮ফুট ব্যাসার্ধ এর বৃত্ত এর ভিতরের ফসল কর্তন করা হয়। এতে ২০ বর্গমিটার এলাকা কর্তন হবে।
বাংলাদেশে প্রায় ১০ লক্ষ ছাদ রয়েছে যেখানে ছাদ বাগান করা সম্ভাব। ১০ লক্ষ
সুষ্ঠ পরিকল্পিত ছাদ বাগান সবজি ও ফলের চাহিদা পুরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখবে।পুুষ্টি নিরাপত্তার পাশে বাড়তি আয় ও পরিবেশ সুরক্ষায় এটি বিশেষ
ভূমিকা রাখবে।
১। রোপা আমন ধান ক্ষেতে সর্বনাশা বাদমী গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা)-এর আক্রমনের
সম্ভবনা রয়েছে। আক্রমনের আগেই প্রতিকার করা দরকার । এখনই আপনার ধান ক্ষেতে
নিুের যে কোন কীটনাশক অনুমোদিত মাত্রায় ধান ক্ষেত ফাড়ি দিয়ে ধান গাছের
গোড়ায় প্রয়োগ করে এ পোকার আক্রমন থেকে ধান ফসলকে রক্ষা করা যাবে।দমন ব্যবস্থাপনাঃ·
-নিয়মিত ধান গাছের গোড়া পর্যবেক্ষন করুণ।· - আক্রান্ত জমির পানি বের
করে দিন।- জমিতে ২-৩ হাত দুরে দুরে ফাড়ি দিয়ে ধান গাছের গোড়ায়
অনুমোদিত কীটনাশক অনুমোদিত সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করূণ।- এলাকার সকল
কৃষক দলবদ্ধ ভাবে পোকা দমনের ব্যবস্তা নিন। সঠিক মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার
করি। অনুমোদিত কীটনাশকের তালিকাঃ সপসিন,প্লেনাম,জাদীদ,টিডো,এসাটাফ,এ্যাডক্লেপ,কনফিডর,গেইন,কুইনফেট,কেমোমেথ্রীন,ইমিটাফ,রেইস,প্লাটিনাম,ম্যাকজিমা,রেডিয়াস,পিলারথেন
ও বিউটি অথবা ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের যে কোন কীটনাশক।২।রোগের নাম : ব্লাস্ট রোগ (Blast)।
ধান গাছের ৩টি অংশে রোগটি আক্রমণ করে থাকে। গাছের আক্রান্ত অংশের ওপর
ভিত্তি করে এ রোগ তিনটি নামে পরিচিত যেমন- ১. পাতা ব্লাস্ট, ২. গিট ব্লাস্ট
এবং ৩. নেক/শীষ ব্লাস্ট।
রোগের কারণ
পাইরিকুলারিয়াগ্রিসিয়া (Pyricularia grisea) নামক ছত্রাক দ্বারা হয়ে থাকে।
এ রোগটি আমন ও বোরো উভয় মৌসুমেই হতে পারে। ধানের চারা অবস্থা থেকে ধান
পাকার আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় এ রোগটি হতে পারে। বীজ, বাতাস, কীটপতঙ্গ ও
আবহাওয়ার মাধ্যমে ছড়ায়। রাতে ঠাণ্ডা, দিনে গরম ও সকালে পাতলা শিশির জমা হলে
এ রোগ দ্রুত ছড়ায়। হালকা মাটি বা বেলেমাটি যার পানি ধারণক্ষমতা কম সেখানে
রোগ বেশি হতে দেখা যায়। জমিতে মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া সার এবং প্রয়োজনের
তুলনায় কম পটাশ সার দিলে এ রোগের আক্রমণ বেশি হয়। দীর্ঘদিন জমি শুকনা
অবস্থায় থাকলেও এ রোগের আক্রমণ হতে পারে।
রোগের লক্ষণ
পাতা ব্লাস্ট
পাতায় প্রথমে ডিম্বাকৃতির ছোট ছোট ধূসর বা সাদা বর্ণের দাগ দেখা যায়।
দাগগুলোর চারদিক গাঢ় বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এ দাগ ধীরে ধীরে বড়
হয়ে চোখের আকৃতি ধারণ করে। অনেক দাগ একত্রে মিশে পুরো পাতাটাই মেরে ফেলতে
পারে। এ রোগে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হলে জমিতে মাঝে মাঝে পুড়ে যাওয়ার মতো মনে
হয়। অনেক ক্ষেত্রে খোল ও পাতার সংযোগস্থলে কাল দাগের সৃষ্টি হয়। যা
পরবর্তীতে পচে যায় এবং পাতা ভেঙে পড়ে ফলন বিনষ্ট হয়।।
গিঁট বা নোড ব্লাস্ট
ধান গাছের থোড় বের হওয়ার পর থেকে এ রোগ দেখা যায়। গিঁটে কালো রঙের দাগ
সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে এ দাগ বেড়ে গিঁট পচে যায়, ফলে ধান গাছ গিঁট বরাবর
ভেঙে পড়ে।
নেক বা শীষ ব্লাস্ট
এ রোগ হলে শীষের গোড়া অথবা শীষের শাখা প্রশাখার গোড়ায় কাল দাগ হয়ে পচে যায়। শীষ অথবা শীষের শাখা প্রশাখা ভেঙে পড়ে। ধান চিটা হয়।
রোগের প্রতিকার
রোগ প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করতে হবে।
মাটিতে জৈব সারসহ সুষম মাত্রায় সব ধরনের সার ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত
জমির খড়কুটা পুড়িয়ে ফেলতে হবে এবং ছাই জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। সুস্থ গাছ
হতে বীজ সংগ্রহ করতে হবে, দাগি বা অপুষ্ট বীজ বেছে ফেলে দিয়ে সুস্থ বীজ
ব্যবহার করতে হবে। রোগের আক্রমণ হলে জমিতে ইউরিয়া সারের উপরিপ্রয়োগ বন্ধ
রাখতে হবে। জমিতে সব সময় পানি রাখতে হবে। রোগের শুরুতে হেক্টরপ্রতি ৪০ কেজি
(বিঘাপ্রতি ৫ কেজি পটাশ সার উপরিপ্রয়োগ করতে হবে। ট্রাইসাইক্লাজল (ট্রুপার
৭৫ ডব্লিউপি) বা টেবুকোনাজল + ট্রাইফ্লক্সিস্ট্রবিন (নাটিভো৭৫ ডব্লিউপি)
প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে
করতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে একটি আদর্শ
ভার্মিকম্পোস্ট ১.৫৭% নাইট্রোজেন, ১.২৬% ফসফরাস, ২.৬০% পটাশ, ০.৭৪% সালফার,
০.৬৬% ম্যাগনেশিয়াম, ০.০৬% বোরণ রয়েছে। এছাড়া কেচোঁ কম্পোস্টে অন্যান্য
কম্পোস্টের চেয়ে প্রায় ৭-১০ ভাগ পুষ্টিমান বেশি থাকে। সুতরাং আদর্শ
ভার্মিকম্পোস্ট এ ১৫.৭ গ্রাম নাইট্রোজেন, ১.২৬ গ্রাম ফসফরাস, ২৬.০ গ্রাম পটাশ, ৭.৪গ্রাম সালফার, ৬.৬ গ্রাম ম্যাগনেশিয়াম, ০.৬ গ্রাম বোরণ রয়েছে। এছাড়া কেচোঁ কম্পোস্টে অন্যান্য
কম্পোস্টের চেয়ে প্রায় ৭-১০ ভাগ পুষ্টিমান বেশি থাকে।কেঁচো ৩০-৪৫ সে.মি. গভীর গভীরতায় প্রবেশ করতে পারে।
মানুষ বাঁচার জন্য খায়।