আগামরা রোগ : এ রোগ দেখা
দিলে পুরো গাছ বা গাছের ডাল আগা থেকে শুরু করে ক্রমে নিচের দিকে মরে যায়।
রোগটি ছত্রাকের আক্রমণে হয়। প্রতিকার হিসেবে কিছুটা সুস্থ অংশসহ আক্রান্ত
স্থান কেটে পুড়ে ফেলা এবং কর্তিত অংশে বোর্দোমিশ্রণ বা নোইন (ছত্রাকনাশক) ২
গ্রাম/লিটার অথবা কুপ্রাভিট ৭ গ্রাম/ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে
করতে হবে।
গ্রিনিং রোগ : এ রোগে পাতার মধ্যশিরা হলদে হয়ে যায় এবং
শেষ পর্যায়ে হলুদাভ রঙ ধারণ করে। শিরা উপশিরাগুলো ক্রমশ গাঢ় সবুজ হতে থাকে,
শিরা দুর্বল ও পাতা কুঁকড়ে যায়। এটি ভাইরাসজনিত রোগ। সাইলিড পোকা এর বাহক।
তাই পোকা দমন (ব্যবস্থাপনা আগে দেয়া আছে) করতে হবে। আক্রান্ত হলে অন্য
গাছে রোগ যেন না ছড়ায় সেজন্য গাছ উঠিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
আনারস ও দুধ একসাথে খেলে বিষক্রিয়া হয়ে কেউ মারা যায় এই ধারণা ভুল। এগুলো
এক ধরনের ফুড ট্যাবু বা খাদ্য কুসংস্কার।’ ‘আনারস একটি এসিডিক এবং টক জাতীয়
ফল। দুধের মধ্যে যেকোনো টক জাতীয় জিনিস দিলে দুধ ছানা হয়ে যেতে পারে বা
ফেটে যেতে পারে। এটা কমলা ও দুধের বেলায় বা লেবু ও দুধের বেলাতেও ঘটে। ফেটে
যাওয়া দুধ খেলে খুব বেশি হলে বদ হজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ– এ ধরনের
সমস্যা হতে পারে,তবে বিষক্রিয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। যাদের গ্যাসট্রিকের
সমস্যা রয়েছে খালি পেটে আনারস খেলে তাদের এই সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে এক গ্লাস পানি খাওয়ার পর ফল খাওয়া উচিত। তবে
সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন- আঙ্গুর, কমলা,বাতাবীলেবু এগুলো খেলে অ্যাসিডিটি
বেড়ে যেতে পারে। অন্যান্য ফল যেমন- আপেল, কলা, নাশপাতি, জাম ইত্যাদি খালি
পেটে খেলে তা শরীরের কার্যক্রমে সহায়তা করে, শরীরে শক্তি জোগায় এবং ওজন
কমাতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার এবং সন্ধা বেলায় কিছু
খাওয়ার আগে ফল খাওয়া উচিত, খাওয়ার পরে নয়। খাওয়ার অন্তত আধঘণ্টা আগে ফল
খেলে বেশি খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। মূল খাবার খাওয়ার আগে ফল খেলে
পাকস্থলীতে কম ক্যালরি জমা হয়।
এছাড়া খাওয়ার আগে ফল খেলে খাবারে বেশি পরিমাণ ফাইবার যোগ হয়। এ জাতীয়
খাবার খেলে পেট তুলনামূলক ভরা লাগে এবং তা হজমেও সহায়তা করে। রাতে ঘুমাতে
যাওয়ার আগে ফল না খাওয়াই ভাল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ফলের শর্করা
শরীর সক্রিয় করে এবং ঘুমোতে বাধা দেয়। এজন্য ঘুমোনোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে
ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
পোকার নাম : পাতার গল মাছি
পোকা চেনার উপায় : পূর্ণাঙ্গ পোকা দেখতে লম্বা, কাল মাথা ও ঘাড়, পেটের রঙ হাল্কা বাদামি, দুজোড়া পাখাই স্বচ্ছ।পূর্ণাঙ্গ পোকা দেখতে মাছির মত
ক্ষতির ধরণ : স্ত্রী পোকা
আমের কচি পাতার নীচের দিকে ছিদ্র করে ডিম পাড়ে। ৩-৪ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে
বাচ্চা পোকা বের হয়। পরে পাতার কোষ এবং টিস্যু সমুহে প্রবেশ করে রস খাওয়ার
কারণে পাতায় গলের সৃষ্টি হয়। অনেক সময় গাছের পাতা শুকিয়ে মারা যেতে পারে।
আক্রমণের পর্যায় : কুশি
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কচি পাতা
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : কীড়া
ব্যবস্থাপনা : ডাইমিথয়েট জাতীয়
কীটনাশক (রগর বা টাফগর ২০ মিলিলিটার) প্রতি ১০ লিটার পানিতে দিয়ে স্প্রে
করলে আমের পাতায় গল মাছি দমন করা যায়। অথবা ডেল্টামেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক
(যেমন: ডেসিস ২.৫ ইসি ১০ মিলিলিটার ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পর
পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পূর্ব-প্রস্তুতি : গাছের অতিরিক্ত ডালপালা ছাটাই করে প্রচুর পরিমান আলো বাতাস এর বাবস্থা করতে হবে।
অন্যান্য : আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে
আগামরা রোগ : এ রোগ দেখা দিলে পুরো গাছ বা গাছের ডাল আগা থেকে শুরু করে ক্রমে নিচের দিকে মরে যায়। রোগটি ছত্রাকের আক্রমণে হয়। প্রতিকার হিসেবে কিছুটা সুস্থ অংশসহ আক্রান্ত স্থান কেটে পুড়ে ফেলা এবং কর্তিত অংশে বোর্দোমিশ্রণ বা নোইন (ছত্রাকনাশক) ২ গ্রাম/লিটার অথবা কুপ্রাভিট ৭ গ্রাম/ লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। গ্রিনিং রোগ : এ রোগে পাতার মধ্যশিরা হলদে হয়ে যায় এবং শেষ পর্যায়ে হলুদাভ রঙ ধারণ করে। শিরা উপশিরাগুলো ক্রমশ গাঢ় সবুজ হতে থাকে, শিরা দুর্বল ও পাতা কুঁকড়ে যায়। এটি ভাইরাসজনিত রোগ। সাইলিড পোকা এর বাহক। তাই পোকা দমন (ব্যবস্থাপনা আগে দেয়া আছে) করতে হবে। আক্রান্ত হলে অন্য গাছে রোগ যেন না ছড়ায় সেজন্য গাছ উঠিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।