ট্রাইকোডার্মা হচ্ছে মাটিতে মুক্তভাবে বসবাসকারি উপকারি ছত্রাক- যা
উদ্ভিদের শিকড়স্থ মাটি, পঁচা আবর্জনা ও কম্পোস্ট ইত্যাদিতে অধিক পরিমাণে
পাওয়া যায়।এটি মাটিতে বসবাসকারি উদ্ভিদের ক্ষতিকর জীবাণু যেমন- ছত্রাক,
ব্যাকটেরিয়া ও নেমাটোডকে মেরে ফেলে। ট্রাইকোডার্মা প্রকৃতি থেকে আহরিত
এমনই একটি অণুজীব যা জৈবিক পদ্ধতিতে উদ্ভিদের রোগ দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে।ফসলের ক্ষেতে রাসায়নিক কীটনাশক যেমন পরিবেশের ক্ষতি করছে অনুরূপ ক্ষতি করছে
মানব দেহের। এই ক্ষতির হাত থেকে জীবন রক্ষায় কেবল গবেষক নয় সাধারণ কৃষকও
বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছে। ট্রাইকোডার্মা মাটির গঠন ও বুনট উন্নত করে পানিধারণ
ক্ষমতা বাড়ায়। পানির অপচয় রোধ ও সেচ খরচ কম হওয়ার ফলে কৃষকের আর্থিক
সাশ্রয় হয়। এছাড়া ট্রাইকো-জৈব সার মাটিতে বসবাসকারী ট্রাইকোডার্মা ও
অন্যান্য উপকারী অনুজীবের সংখ্যা বাড়িয়ে অনুর্বর মাটিকে দ্রুত উর্বরতা দান
করে এবং ক্ষতিকর ছত্রাককে ধংস করে। এটি মাটির অম্লতা, লবনাক্ততা, বিষক্রিয়া
প্রভৃতি রাসায়নিক বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতেও সক্ষম। ট্রাইকোডার্মার ব্যবহার ও উপকারিতা: এটি
ট্রাইকো-সাসপেনশন, পাউডার এবং পেস্ট আকারে উৎপাদন সম্ভব।
নিয়মানুযায়ী স্প্রে করলেই এর কার্যকারিতা পাওয়া যায়। পঁচা আবর্জনায়
‘ট্রাইকো-সাসপেনশন’- এর জলীয় দ্রবণ মিশিয়ে দ্রুত সময়ে ট্রাইকো-কম্পোস্ট
উৎপাদন করা সম্ভব। এটি সহজলভ্য হওয়ায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের
প্রয়োজন হবে না। এর ব্যবহারে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন সম্ভব।
বীজশোধনে ও মাটিবাহিত উদ্ভিদের রোগ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও ফসল উৎপাদনে সহায়তা করে ট্রাইকোডার্মা। এর
ব্যবহারে কৃষিতে উৎপাদন ব্যয় সাশ্রয় হয়। জমিতে কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে
না। মাটির উর্বরা শক্তি বাড়ায়। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমায় ৪০%-৬০%।
বিষমুক্ত সবজী চাষ একটি বৃহৎ বিষয়, এক একটি সবজির জন্য এক এক রকম ব্যবস্থাপনা, তবে সাধারনত প্রাথমিক ভাবে যে বিষয়গুলো অব্যশই অনুসরন করতে হবে তা হল-১। বীজ বোপনের পূর্বে অব্যশই বীজ শোধন করে নিতে হবে, রসুনের কোয়া বা জাম পাতার রস বীজের গায়ে মেখে শোধন করা যায়।২। সবজী বেডে রোপন সহ পরিস্কার পরিচ্ছন চাষাবাদ অনুসরন করতে হবে।৩।লাউ, মিষ্টিকুমড়া,শসা,করলা প্রভৃতি কিউকারবেটিসি সবজি মাছি পোকা দমনে ও বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমনে সেক্স ফেরোমেন ফাদ ব্যবহার করতে হবে।৪।সবজির অন্যন্য পোকা দমনে সেমকো বা এসিআই এর আঠালো ফাদ/গোল্ডেন ট্রাপ ব্যবহার করতে হবে।৫। সীম গাছে মাঝেমধ্যে ছাই ছিটানো সহ জাব পোকা দেখা দিলে সাবান মিশ্রিত পানি স্প্রে করতে হবে। এছাড়া সীম গাছের ডগার প্যাচ খুলে দিতে হবে ও ফুল বাছাই করতে হবে।৬। বিস্তারিত আরো জানার জন্য ০১৭০০৭১৬০৭৭, উপজেলা কৃৃষি অফিসার, বোদা পঞ্চগড়ে ফোন করতে পারেন।
কেঁচো
কম্পোস্ট একটি জৈব সার যা জমির উর্বরতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয় । ১ মাসের
বাসী গোবর খেয়ে কেঁচো মল ত্যাগ করে এবং এর সাথে কেঁচোর দেহ থেকে রাসায়নিক
পদার্থ বের হয়ে যে সার তৈরি হয় তাঁকে কেঁচো কম্পোস্ট বা ভার্মি কম্পোস্ট
বলা হয়। এটি সহজ একটি পদ্ধতি ১ মাসের বাসী গোবর দিয়ে ব্যবহার উপযোগী
উৎকৃষ্ট জৈব সার তৈরি করা হয়। এ সার সব ধরণের ফসল ক্ষেতে ব্যবহার করা
যায়।‘ভার্মি কম্পোষ্ট´ বা কেঁচোসারে মাটির পানি ধারণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি
করে এবং বায়ু চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে। কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রয়োজনীয় প্রধান উপকরণকেঁচো-২০০ টি, মাটির তৈরি নালা বা চারি অথবা ইট দিয়ে নির্মিত চৌবাচ্চা এবং ১ মাসের বাসী গোবর।কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি করার পদ্ধতি/ধাপসমুহ১। ২ মিটার লম্বা, ১ মিটার চওড়া ও ১ মিটার গভীরতা বিশিষ্ট ইট দিয়ে চৌবাচ্চা তৈরি করতে হবে। চৌবাচ্চার উপর টিনের/খড়ের চালা দিতে হবে। ২।
গর্তের মধ্যে বাসী পচা গোবর ঢেলে ভরে দিতে হবে। অতঃপর ২০০ থেকে ৩০০ কেঁচো
ছেড়ে দিতে হবে। এ কেঁচোগুলো গোবর সার মল ত্যাগ করবে। এই মলই কেঁচো সার। ৩।
কেচোর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে সার তৈরীর সময় নির্ভর করে। সংখ্যা বেশী হলে
দ্রুত কেঁচো সার তৈরি হবে। কেঁচো সার দেখতে চায়ের গুড়ার মত। ৪।
সার তৈরি হওয়ার পর চৌবাচ্চা হতে সতর্কতার সাথে কম্পোস্ট তুলে চালুনি দিয়ে
চালতে হবে। সার আলাদা করে কেঁচোগুলো পুনরায় কম্পোস্ট তৈরির কাজে ব্যবহার
করতে হবে। ৫। কেঁচো সার বাজারের চাহিদা অনুযায়ী/ নিজস্ব ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সাইজের প্যাকেট/বস্তা ভর্তি করে রাখা যেতে পারে। কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট সার কোথায় ব্যবহার করবেনসকল
প্রকারের শাক সবজি ক্ষেতে ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করে শাক সবজির ফলন
বাড়ানো যায়। ধান, গম, পাটসহ বিভিন্ন ফলবাগানে এই সার ব্যবহার করে ভাল ফলন
পাওয়া যায়। এই সার ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে মাটিতে বায়ুচলাচল
বৃদ্ধি পায়। মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ে, মাটির বিষাক্ততা দূরীভূত হয়।
মাটির অনুজৈবিক কার্যাবলী বৃদ্ধি পায় ফলে মাটি হতে গাছ্র পুষ্টি পরিশোধন
ক্ষমতা বেড়ে যায়। এই সার ব্যবহার করলে রাসায়নিক সার মাত্রার ১/২ অংশ
ব্যবহার করলেই চলে। ধানের জমিতে বিঘাপ্রতি ৫০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার
করে অর্ধেক ফলন পাওয়া যায়। এই সার পুকুরে ব্যবহার করে ফাইটোপ্লাংকটন
উৎপাদন ত্বরান্বিত করে মাছের উৎপাদন বাড়ানো যায়। চালুনীর
সময় সাবধান থাকতে হবে যেন শিশু কেঁচো মারা না যায়। শিশু কেঁচোগুলো পুনরায়
গর্তে রক্ষিত বাসী গোবরের মধ্যে কম্পোস্ট তৈরির জন্য ছেড়ে দিতে হবে।
পিপঁড়া, উইপোকা, তেলাপোকা, মুরগী, ইঁদুর, পানি ও পোকার কামড় থেকে
কেঁচোগুলোকে সাবধানে রাখতে হবে। প্রয়োজনে চৌবাচ্চার উপর মশারী ব্যবহার করতে
হবে।
বীজশোধন
৫% লবন জলে বীজ ভিজিয়ে যেগুলি হালকা তা আলাদা করে নেয়া যেতে পারে ।
রাসায়নিক
প্রোভেক্স ২০০ ডব্লিউ পি ২.৫ গ্রাম বা ব্যাভিস্টিন ২ গ্রাম
প্রতি কেজি বীজের সাথে মিশিয়ে শোধন করা হয়ে থাকে।
ফলস স্মাট সাধারণত ব্রিধান৪৯, বিআর ১১ জাতে বেশি আক্রমণ করে থাকে। তবে একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে কীটনাশকে খুব বেশি কাজ করে না। তবে আক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে কার্বোন্ডাজিম বা প্রপিকোনাজল গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
Rice is the seed of the grass species Oryza sativa (Asian rice) or Oryza glaberrima (African rice). As a cereal grain, it is the most widely consumed staple food
for a large part of the world's human population, especially in Asia.
It is the agricultural commodity with the third-highest worldwide
production (rice, 741.5 million tonnes in 2014), after sugarcane (1.9 billion tonnes) and maize (1.0 billion tonnes).[1]
Oryza sativa with small wind-pollinated flowers
Since sizable portions of sugarcane and maize crops are used for
purposes other than human consumption, rice is the most important grain
with regard to human nutrition and caloric intake, providing more than
one-fifth of the calories consumed worldwide by humans.[2] There are many varieties of rice and culinary preferences tend to vary regionally.
Cooked brown rice from Bhutan
Rice can come in many shapes, colors and sizes.
Rice, a monocot, is normally grown as an annual plant, although in tropical areas it can survive as a perennial and can produce a ratoon crop for up to 30 years.[3]
Rice cultivation is well-suited to countries and regions with low labor
costs and high rainfall, as it is labor-intensive to cultivate and
requires ample water. However, rice can be grown practically anywhere,
even on a steep hill or mountain area with the use of water-controlling
terrace systems. Although its parent species are native to Asia and
certain parts of Africa, centuries of trade and exportation have made it
commonplace in many cultures worldwide.
Oryza sativa, commonly known as Asian rice
The traditional method for cultivating rice is flooding the fields
while, or after, setting the young seedlings. This simple method
requires sound planning and servicing of the water damming and
channeling, but reduces the growth of less robust weed and pest plants
that have no submerged growth state, and deters vermin. While flooding is not mandatory for the cultivation of rice, all other methods of irrigation require higher effort in weed and pest control during growth periods and a different approach for fertilizing the soil.
১. এগ্রো-মেট্রোলজিকেল ডাটাবেইস প্রস্ত্ততকরণ, একটি কমপ্রিহেন্সিভ ওয়েবসাইট সেট করা, এগ্রো-মেট্রোলজিকেল পরামর্শ সেবা প্রদান, ৬৪ জেলায় ৪৮৭টি উপজেলার আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবা সংক্রামত্ম কৃষকের চাহিদা নিরম্নপন, ৪০৫১টি ইউনিয়ন স্বয়ংক্রিয় রেইন গেজ ও এগ্রো-মেট্রোলজিকেল ডিসপেস্ন বোর্ড স্থাপন, ৪৮৭টি উপজেলায় এগ্রো-মেট্রোলজিকেল কিওস্ক স্থাপন। ২. কৃষক প্রশিক্ষণ, এসএএও প্রশিক্ষণ, কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ, জাতীয় কর্মশালা, জাতীয় সেমিনার, মসলা ফসলের প্রদর্শনী, লতা জাতীয় সবজির প্রদর্শনী, লতাবিহীন সবজির প্রদর্শনী,’ মাঠ দিবস, কৃষদের উদ্ধুদ্ধকরণ ভ্রমণ, বীজের পাত্র, পানির ঝাঝরি, ফোরোমোন ফাঁদ, কালেকটিং বাস্কেট। ৩. সবুজ বেষ্টনী, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র, ভবন নির্মান, সোলার সিষ্টেম, সাইট ডেভেলপমেন্ট, অভ্যমত্মরীণ সড়ক ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ।