সকল প্রশ্ন

মোট প্রশ্ন ৮৬২ টি | পৃষ্ঠা নং ৩৮ | সর্বমোট পাতা ৮৭

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- অকাল বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে ধানের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা পূরণে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প নেই। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির একটি উপায় হিসেবে মুড়ি ধান চাষের ওপর গুরুত্ব দেয়া জরুরি। কারণ খাদ্য নিরাপত্তায় মুড়ি ধান একটি গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বোরো-পতিত-রোপা আমন শস্য বিন্যাসে এ মুড়ি ধান চাষ করে মূল ফসলের প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব।   বোরো মৌসুমের আগাম জাতে জমির মূল ধান কাটার পর ধান গাছের নাড়া থেকে নতুন কুশি জন্মায়। এ কুশি থেকে আমরা যে ধান পাই তাকেই মুড়ি ধান বলে। আগাম জাত মুড়ি ধান চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। মুড়ি ধান উৎপাদন নতুন কোনো ধারণা নয়। আবহমান কাল থেকে আমাদের দেশের মধ্যম উঁচু অঞ্চলের কৃষক জমিতে মুড়ি/নাড়া রেখে ধান উৎপাদন করত। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ব্রাজিল, থাইল্যান্ড ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশে এ পদ্ধতির ব্যবহার রয়েছে।   বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৮৭ সাল থেকে মুড়ি ধানের ওপর গবেষণা শুরু করে। মাঠ পরীক্ষণে দেখা গেছে, বিআর১৭ জাত চাষ করে মূল ফসলে প্রতি বিঘায় ০.৮০ টন এবং মুড়ি ধান থেকে প্রতি বিঘায় ০.২০ টন ফলন পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে মুড়ি ধান উৎপাদনের জন্য জমিতে মূল ফসল কাটার ২০ দিন আগে বিঘাপ্রতি ৫ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়া ২০০৪-০৫ এবং ২০০৫-০৬ সালে ব্রি ধান৩৪, ব্রি ধান৩৭ এবং ব্রি ধান৩৮ এ মুড়ি চাষ করে দেখা গেছে, হেক্টর প্রতি সর্বোচ্চ ২.২১ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া গেছে। গত বোরো মৌসুমে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলায় মুড়ি ধানের চাষাবাদ পদ্ধতি এবং ফলন পর্যবেক্ষণ করে বিআর২৬ এবং ব্রি ধান২৮ এ মুড়ি ধানের ভালো ফলন পাওয়া গেছে। যেসব কৃষক ১২-১৮ ইঞ্চি নাড়া রেখে বোরো ধান কেটেছেন তাদের জমিতে মুড়ি ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে হেক্টরপ্রতি মুড়ি ধানের ফলন পেয়েছেন ১-১.৫ টন। কিছু কিছু কৃষক মুড়ি ধানের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করেছেন এবং আগে থেকেই গরু, ছাগল এসবের ক্ষতি থেকে মুড়ি সংরক্ষণ করেছেন। বর্তমান বাজারদরে মুড়ি ধান মাড়াই-ঝাড়াই ও শুকানো বাবদ আনুমানিক খরচ একরপ্রতি ৪ হাজার-৫ হাজার টাকা এবং উৎপাদিত ধানের মূল্য প্রতি একরে ৮ হাজার-১০ হাজার টাকা, যা বেশ লাভজনক। অন্তত ৫ হাজার টাকা লাভ হয়।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    ক্স তৈরি করা : বেশির ভাগ ছাদ বাগানি ছাদের কিনারগুলো ২-৩ ফুট চওড়া ও ২-৩ ফুট উঁচু করে বক্স তৈরি করে নিয়ে সেগুলো পটিং মিডিয়া দিয়ে ভরাট করে তাতে গাছ রোপণ করে থাকে। অনেকে নিচে ৮-১২ ইঞ্চি ফাঁক রেখে ঢালাই করে নিয়ে মজবুত করে এ বক্স বানিয়ে নেয়। কেউবা বক্সের নিচের অংশ ২-৩ ইঞ্চি উঁচু করে এ অংশ ঢালাই করে তার ওপর সরাসরি ইটের পাতলা গাঁথনি দিয়ে কম খরচে অনুরূপ লম্বা বক্স বানিয়ে নেয়। বিকল্প ব্যবস্থায় টিনের/প্লাস্টিকের স্টাকচার তৈরি করে অথবা জাহাজ ভাঙা বাথটবের আকারের পাত্র সংগ্রহ করে তা বক্স/টবের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে। পটিং মিডিয়া দিয়ে বক্স/টব ভরাট করা : সাধারণত নার্সারি থেকে গোবর মেশানো ভিটে মাটি সংগ্রহ করে তা গাছ রোপণের কাজে ব্যবহার করা হয়। যেহেতু ফসলি জমির মতো ছাদ বাগানে লাগানো গাছের শিকড় ছড়ানোর সুযোগ কম, এ জন্য ভালো মানের পটিং মিডিয়া দিয়ে এবং এ নিচের অংশে পানি নিষ্কাশন ও সহজভাবে গাছের শিকড় ছড়ানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বক্সের বিভিন্ন স্তর যেভাবে উপযোগী করা যেতে পারে তা নি¤œরূপ : ক. তলার প্রথম অংশ : তৃতীয় গ্রেডের ইটের কম দামি ছোট আকারের খোয়া/টুকরা দিয়ে ৩-৪ ইঞ্চি ভরাট করা; খ. তার ওপরের স্তরে ২-৩ ইঞ্চি পুরু করে কাঠ কয়লা দিয়ে এ দ্বিতীয় স্তর ভরাট করা; গ. ৩য় স্তর ২-৩ ইঞ্চি পুরু করে নারিকেলের ছোবড়ার টুকরা অথবা নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে সাজানো; ঘ. ৪র্থ স্তর ২-৩ ইঞ্চি পুরু মোটা বালু (সিলেট স্যান্ড) বা ক্ষুদ্র পাথর কুচি/ইটের চিপস দিয়ে ভরাট করা;   ঙ. শেষের বা ওপরের অংশ ২-২.৫ ফুট ভালো মানের পটিং মিডিয়া দিয়ে ভরাট করা হলে ছাদ বাগানের গাছের জন্য বেশি উপযোগী হবে। পটিং মিডিয়া তৈরির পদ্ধতি : বিদেশে প্রধানত পিটমস, পিটসয়েল ও জৈব পদার্থ (কম্পোস্ট) দিয়ে তৈরি রেডিমেড পটিং মিডিয়া বিভিন্ন স্থানীয় নার্সারিতে পাওয়া যায়। এমন কি কোন ধরনের গাছ রোপণ করা হবে তার জন্য ভিন্নতর মিডিয়া পাওয়া যায়। ভালো মানের মিডিয়া তৈরিতে এ দেশে যা পাওয়া যায় তার একটা আনুপাতিক হার নিম্নে দেয়া হলো : ক. কোকোডাস্ট বা নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া - ২৫% খ. মোটা বালু (সিলেট স্যান্ড)                   - ১০% গ. ভিটে মাটি (যা নার্সারিতে পাওয়া যায়)    - ২৫% ঘ. আর্বজনা পচা/পচা গোবর                   - ৩০% ঙ. তৃতীয় গ্রেডের ইটের ক্ষুদ্র চিপস/খোয়া    - ১০%   এগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে বক্স/টবের অবশিষ্ট অংশ ভরাট করে তাতে গাছ লাগানো হলে গাছ দ্রুত বাড়বে, বেশি ফলন পাওয়া যাবে। মিডিয়ার সাথে কিছু পরিমাণ করাত কলের গুঁড়া, ভার্মি কম্পোস্ট অথবা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত কম্পোস্ট ব্যবহার করা এবং তার সাথে কিছু হাড়ের গুঁড়া ও খৈল মেশানো ভালো। গাছের রোপণ ও পরিচর্যা : উন্নত কাঙিক্ষত জাতের কলম করা গাছ রোপণ করে গাছে কাঠি বা খুঁটি দিয়ে সোজা করে রাখতে হবে। তাতে গাছ হেলে পড়া বা নড়ে গিয়ে দুর্বল হওয়া রোধ হবে। প্রয়োজনে গাছের অপ্রয়োজনীয় কিছু ডাল বিশেষ করে ওপরের দিকে বেশি বাড়ন্ত ডাল কমিয়ে গাছকে বেশি উঁচু না করে পাশে বাড়তে সহায়তা দিতে হবে। গাছের আকার বেশি ছোট হলে অপেক্ষাকৃত ছোট টবে বা সিমেন্টের পরিত্যক্ত তৈরি ব্যাগে কিছু সময় সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে বড় হলে তা পর্যায়ক্রমে বক্স/বড় টবে রোপণ করা ভালো। টবে সংরক্ষিত গাছ সরাসরি ছাদে না রেখে নিচে এক সারি ইটের ওপর বসানো দরকার। তাতে টবের অতিরিক্ত পানি সহজে বের হবে, ছাদের জন্য ভালো হবে। ড্রামে সংরক্ষিত গাছে রোদের তাপে বেশি গরম হয়। এজন্য চট/ছালা দিয়ে ড্রামের চারধার ঢেকে দিলে তা অনেকটা রোধ হবে। গাছে পানি সেচ দেয়ার ফলে উপরিভাগের মাটি শক্ত হয়ে চট ধরে। মাঝে মাঝে নিড়ানি দিয়ে ওপরের স্তর ভেঙে দেয়া হলে তা রোধ হবে। এ ব্যবস্থায় আগাছা দমন করা যাবে ও ভেতরে বায়ু চলাচল সুবিধা হবে। খরা মৌসুমে দীর্ঘমেয়াদি বড় গাছের গোড়ার চার ধারে শুকনা কচুরিপানা বা খড়কুটা, শুকনো পাতা দিয়ে মালচিং দেয়া হলে রস সংরক্ষিত থাকবে, ঘাস গজানো রোধ হবে এবং পরে এগুলো পচে খাদ্য হিসেবে কাজে লাগবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    মাটি নির্বাচন:লেবু চাষের জন্য উঁচু দো-আঁশ এবং উর্বর মাটির প্রয়োজন। পানি জমে থাকে না এমন মাটি লেবু চাষের জন্য উপযোগী। তবে গোবর, পচন সার ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারলে যে কোন মাটিতে লেবুর চাষ করা যায়। অবশ্য মাটি কিছু ঢিলা হওয়া প্রয়োজন যাতে মাটিতে ভালোভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে। সামান্য উঁচু টিলা রকমের ভূমি লেবু চাষের জন্য উপযুক্ত স্থান।  জাত নির্বাচন:বিচিহীন কাগজি লেবুর জাতটাই ভালো এবং জনপ্রিয়। এ জাত থেকে বছরের প্রায় সবসময়ই সুন্দর বিচিবিহীন ফল পাওয়া যায়। এ জাতীয় লেবুর কাটিং যে কোন নার্সারি বা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব। সরকারের বিভিন্ন কৃষি খামারও এ জাতীয় লেবুর কাটিং বা কলম পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট পরিমাণের কাটিং সংগ্রহ করতে না পারলে ২/৩টি কাটিং সংগ্রহ করে মাতৃগাছ হিসেবে রোপণ করতে পারলেই হয়। পরবর্তী পর্যায়ে এ মাতৃগাছ থেকে কাটিং তৈরি করে অন্যত্র রোপণ করা যায়। এ জাতীয় লেবুর কাটিং মাটির টবে রৌদ্র পড়ে, বাতাস চলাচল  করে এমন স্থানে রেখেও চাষ করা যায়। আজকাল দেশের বিভিন্ন শহরে বাড়ির ছাদে এ জাতীয় লেবুর প্রচুর চাষ করতে দেখা যায়। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও পাড়া প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনদের বিলানে যায়। রোপণ পদ্ধতি:কাগজি লেবুর ডাল কাটিং সংগ্রহ করে নির্বাচিত জমিকে ভালো করে চাষ করে মই দিয়ে সমান করে নিতে হয়। তারপর রোপণের জন্য গর্ত করতে হয়। এক গর্ত করতে হবে অন্য গর্ত থেকে ৩ মিটিার দূরে। প্রতিটি গর্তের আকার হবে ০.৫ মিটার ঢ ০.৫ মিটার ঢ ০.৫ মিটার। গর্ত প্রস্তুত করার পর  গর্তে আবার দো-আঁশ মাটি পচন সার ইত্যাদির মিশ্রণ (১:১) দিয়ে ভর্তি করে দিতে পারলে ভালো হয়। এরপর ১৫/২০ দিন পর কাটিং রোপণ করতে হয়। কাগজি লেবুর ফলন রোপণের উপযুক্ত সময় হচ্ছে মে-জুন মাস। রোপণের জন্য ৬ মাস বয়সের কাটিং নির্বাচন করতে হয়। কাটিংগুলো রোগ-পোকা থেকে মুক্ত হওয়া উচিত। সার প্রয়োগ:লেবু গাছের বয়স অনুযায়ী সার প্রয়োগের পরিমাণ আলাদা হয়। নিম্নের ছকে এর  মান উল্লেখ করা হল- উল্লেখ্য লেবু গাছের গোড়ায় বছরে ২ বার সার প্রয়োগ করতে হয়। প্রথমে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস আর পরবর্তী পর্যায়ে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে। সার প্রয়োগ করার সময় গাছের গোড়া থেকে ১৫-৪৫ সেন্টিমিটার দূরত্ব পর্যন্ত জমি বাদ দিয়ে বাকি গাছের সব ডাল পাতা আবৃত করে রাখা জমিতে পাতলা কোদাল দিয়ে মাটি সরিয়ে সার প্রয়োগ করতে হয়। সার প্রয়োগ করার পর আবার পাতলা করে কোদাল দিয়ে সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। সার প্রয়োগের সময় মাটিতে রস থাকা দরকার। সার প্রয়োগের পর তার ওপর আবার হালকা করে মাটি দিয়ে দিলে ভালো হয়। গাছে নতুন করে পাতা আসার সময় অর্থাৎ বসন্ত ঋতুতে মাইক্রনিউট্রিয়েন্ট-২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে স্প্রে করতে হয়। পরিচর্যা:লেবু গাছের গোড়া সব সময় আগাছা মুক্ত রাখতে হয়। অন্যথায় রোগ পোকার আক্রমণ বেশি হয়। বর্ষার সময় গাছের গোড়ায় পানি যাতে জমে না থাকে সেদিকে বেশি করে লক্ষ রাখতে হয়। এজন্য প্রয়োজনে নালা করে পানি সরে যাওয়ার পথ করে দিতে হবে। সেপ্টেম্বর-অক্টেম্বর মাসে লেবু গাছের শুকনো এবং রোগাক্রান্ত ডালগুলো কেটে ফেলতে হয়। গাছের বয়স দুই বছর হওয়ার পর লেবু গাছের ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে ২/৩টি ডাল রেখে বাকি সবগুলো ডাল কেটে দেয়া দরকার। এ ডালগুলো এমনভাবে রাখতে হবে যাতে নতুন কুঁড়ি দিয়ে চারদিকে বিস্তার লাভ করতে পারে। নিয়মিত পরিচর্যা সার ও পানি প্রয়োগ করার ফলে লেবু গাছ থেকে সারা বছরই ফল পাওয়া যায়। চাষি ভাইয়েরা পরিকল্পিত উপায়ে লেবু চাষ করে আর্থিক উপার্জন বৃদ্ধি করতে পারবেন। বেকারত্ব দূরীকরণে লেবু চাষ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে, সন্দেহ নেই। লেবুজাতীয় ফলের ঝরে পড়া সমস্যা ও প্রতিকার অপরিপক্ব অবস্থায় লেবুজাতীয় ফল ঝরে পড়া এক জটিল সমস্যা। এক সমীক্ষা মতে, ফল তোলার ৩-৪ মাস আগ থেকে লাল মাল্টার ৫৭.২ শতাংশ এবং মোসম্বিতে ৫৪.৯ শতাংশ ফল ঝরে পড়ে। এছাড়াও কমলালেবুর অনেক ফল আমাদের এ অঞ্চলে ঝরে পড়তে দেখা যায়।  লেবুজাতীয় গাছের ফল অনেক কারণে ঝরে পড়তে পারে। এর মধ্যে হরমোনজনিত, খাদ্যজনিত, রোগজনিত এবং পোকাজনিত কারণই প্রধান। গাছের বৃদ্ধি, ফুল-ফল দেয়া, ফলের বৃদ্ধি এবং পরিপক্ব অবস্থা পাওয়া এসব নানা ধরনের হরমোনের ওপর নির্ভর করে। গাছের বৃদ্ধির কোন অবস্থায় এ হরমোনের তারতম্য ঘটলে গাছের বৃদ্ধি, ফুল দেয়া এসব কার্য ব্যাহত হয় এবং ফল ঝরে পড়ে।  আমাদের বৃদ্ধি ও উৎকর্ষের জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন তেমনি গাছের  বৃদ্ধি এবং ফল-ফুল দেয়ার  জন্য সুসম হারে খাদ্যের প্রয়োজন। গাছের প্রধান খাদ্য যেমন- নাইট্রোজেন জাতীয়, ফসফেট জাতীয় ও পটাশ জাতীয় খাদ্য ছাড়াও গাছের নানা ধরনের অনু খাদ্যের প্রয়োজন।  এ অনু খাদ্য খুব কম পরিমাণে দরকার যদিও সময়মতো এসব প্রয়োগ না করার ফলে বা গাছ অনু খাদ্য না পাওয়ার জন্য অপরিপক্ব অবস্থায় অনেক ফল ঝরে পড়ে। নানা ধরনের রোগের আক্রণের  ফলে লেবুজাতীয় গাছের ফল অপরিপক্ব অবস্থায় ঝরে যায়। লেবুজাতীয় গাছে নানা ধরনের রোগ যেমন ক্যান্সার, গামোসিস, এ্যানথ্রাকনোজ, গ্রিনিং এবং শ্লো ডিক্লাইন বা ধীরে ধীরে গাছ মরে যাওয়া রোগ হয়। গাছে এসব রোগ হলে ফুল-ফল কম ধরে এবং ফুল-ফল শুকিয়ে ঝরে পড়ে।  লেবুজাতীয় গাছের অপরিপক্ব অবস্থায় ফল ঝরে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল পোকার আক্রমণ। নানাবিধ পোকার মধ্যে ডাল ও কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, সাইলা, মিলিবাগ, লিফমাইনার, ফল ছিদ্রকারী পোকা এবং ফল শোষক পোকার আক্রমণের ফলে ফল ঝরে পড়ে। লেবুর ডাল ও কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা ডাল এবং কাণ্ডের ভেতরে প্রবেশ করে ভেতরের অংশ কুড়ে কুড়ে খায়। এদের আক্রমণের ফলে শাখা বা গাছ ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায় এবং যে ডালে এর আক্রমণ হয় সে ডালটিতে হওয়া ফুল এবং ফল ঝরে পড়ে। লেবুর পাতা ছিদ্রকারী পোকা বা লিফমাইনার পোকার শূঁককীট পাতায় ঢুকে ওপরের ও নিচের ত্বকের মধ্যে থাকা সবুজ অংশ খেয়ে নেয়। পাতার ওপরের ত্বকে সাদা রূপালী আঁকাবাঁকা রেখা দেখা যায়। আক্রান্ত পাতা কুঁকড়ে যায় এবং এ ধরনের গাছে হওয়া ফল ঝরে পড়ে।  সাইলা পোকা লেবুজাতীয় গাছের কঁচি ডাল এবং পাতাতে আক্রমণ করে এবং রস শোষে খায়। রস শোষার সময় এ পোকা গাছে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ ঢুকিয়ে দেয়। এর আক্রমণের ফলে ডালগুলো শুকিয়ে যায়। সে ডালগুলোর ফুল এবং ফল ঝরে পড়ে।  মিলিবাগ পোকার প্রাপ্তবয়স্ক মাতৃপোকা মাটিতে ডিম পাড়ে এবং সে ডিম থেকে বের হওয়া শূঁককীট ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত গাছে উঠে। গাছে উঠে পোকাগুলো কচি ডালের রস চোষে খায় এবং ফল হওয়ার সময় সেগুলো বা ফলধারক ডালটির রস খায়। ফলে ফল ঝরে পড়ে। এ পোকা পাতার ওপর এক ধরনের মিষ্টিরস নিঃসরণ করে এবং এ রসের ওপর এক প্রকার ছত্রাক জন্মে থাকে। তাই পাতার ওপরে এক কালো আস্তরন পড়ে এবং গাছের খাদ্য প্রস্তুত করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ফল ঝরে পড়ে এবং যেগুলো ফল গাছে থাকে তা পুষ্ট হয় না। ফল চোষক পোকা লেবুজাতীয় ফলের রস চুষে খায়। রস চোষার সময় তার মুখ থেকে নির্গত পদার্থ ফলের ভেতরে প্রবেশ করে। এর ফলে ২-৩ দিনের মধ্যে ফল ঝরে পড়ে। রস চোষা অংশে বাদামি রঙের দাগ দেখা যায়। প্রতিরোধ ব্যবস্থা লেবুজাতীয় গাছের অপরিপক্ব অবস্থায় ফল ঝরে পড়া বন্ধ করার জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।  ১. গাছে সুষম হারে সার প্রয়োগ করতে হবে। ২. গাছে অনু খাদ্যের অভাবের লক্ষণ দেখা দিলে অনু খাদ্যের মিশ্রণ প্রয়োগ করা দরকার। বাজারে পাওয়া তৈরি অনু খাদ্য যেমন মাল্টিপ্লেকস, এগ্রোমীণ, ট্রেসেল-২, প্লাই এইড, এগ্রোমর বা প্লান্টফিড প্রভৃতির যে কোন একটি পরিমাণমতো প্রয়োগ করতে হবে।  ৩. হরমোন জাতীয় কারণে ফল ঝরে পড়লে গাছে হরমোন স্প্রে করা দরকার। এর জন্য ২, ৪-ডি নামক হরমোন ১০ পিপিএম গাছে ২ বার স্প্রে করতে হবে। প্রথমবার আগস্ট মাসের এবং পরের বার অক্টোবর মাসে স্প্রে করা দরকার। এ ওষুধ বাজারে পাওয়া না গেলে ১০-২০ পিপিএম শক্তি যুক্ত প্লেনোফিকস হরমোন ফুলে আসার সময় এবং একবার একমাস পরে স্প্রে করতে হবে। ৪. বিভিন্ন ধরনের রোগের জন্য সময়মতো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া দরকার। গাছের গোড়ায় যাতে পানি জমে না তা দেখতে হবে। গাছের গোড়ায় আঠা নিঃসরণ হতে দেখলে অর্থাৎ গামোসিস রোগ হলে সে অংশ পরিষ্কার করে তাতে বর্ডোমলম লাগাতে হবে। ক্যাঙ্কার এবং এ্যানথ্রাকনোজ রোগ হলে আক্রান্ত কচি ডালপালা, পাতা ছেটে ফেলে দূরে নিয়ে ধ্বংস করতে হবে। পরে গাছে তাম্রঘটিত ওষুধ যেমন-ব্লাইটকস/ফাইটোলান (৪ গ্রাম/লিটার পানি) অথবা ইন্দোফিল এম-৪৫ (২.৫ গ্রাম/লিটার পানিতে) স্প্রে করতে হবে।  ৫. গাছে ডাল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হলে আক্রান্ত ডালগুলো কেটে ধ্বংস করতে হবে। কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকার প্রাপ্তবয়স্ক পোকা এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বের হয়ে গাছে বসে। সে সময় এগুলো ধরে মেরে ফেলা উচিত। কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকার গর্তে পেট্রোল বা কেরোসিন ডুবানো কার্পাস তুলো ঢুকিয়ে তা কাদামাটি দিয়ে ঢেকে দিলে পোকা ভেতরে মরে যাবে। ৬. আমাদের দেশে লেবু গাছের পাতায় সাধারণত দুই ধরনের পোকার আক্রমণ দেখা যায়। এক হলো পাতা মোড়ানো পোকা এবং অপরটি হলো লিফ মাইনার। এ পোকাগুলো দমনের জন্য পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ করতে হবে। পোকার কীড়া সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া প্রতি লিটার পানিতে ০.২৫ মিলি এডমায়ার ২০০ এসএল বা ২ মিলি কিনালাক্স ২৫ ইসি বা ১ গ্রাম একতারা ২৫ ডব্লিওজি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর ৩-৪ বার পাতায় স্প্রে করে এ পোকার আক্রমণ রোধ করা যায়। এই ব্যবস্থাগুলো নিলে পিপড়ার আক্রমণও কমে যাবে। অথবা-(১) লীফ মাইনর দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১ মিঃ লিঃ হারে প্রোক্লেম অথবা ডেসিস নামক কীটনাশক ৭ দিন পর পর দুইবার স্প্রে করতে হবে।(২) লেবু গাছের পাতা খেকো পোকা দমনে প্রতি লিটার পানিতে ১ মিঃ লিঃ ক্যারাটে নামক কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন। ফল খাওয়া পোকা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ফল মার্বেলের মতো সাইজ হওয়ার সময় এন্ডাসালফান ওষুধ ০.০৭ শতাংশ স্প্রে করে প্রথম স্প্রে করার ৭ দিন পরপর ফলের বৃদ্ধির সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত স্প্রে করতে হবে। ফলের মাছি এবং ফল চোষা পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে সেখানে কিছু কমলা লেবুর রস মিশিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পোকা এ গুড় মিশ্রিত রস খেয়ে মরে যাবে। পোকা আক্রান্ত ফলগুলো সংগ্রহ করে গর্তে পুঁতে রাখলে পরবর্তী ফসলে পোকার আক্রমণ কম হবে। এ ব্যবস্থাগুলো নিয়ে লেবুর ফল ঝরে পড়ে যাওয়া সমস্যা অনেকাংশে বন্ধ করা যাবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    বেডের আকার একেকটি ভাসমান ধাপ বেড কান্দি ৫০ থেকে ৬০ মিটার (১৫০ থেকে ১৮০ ফুট) লম্বা ও দেড় মিটার (৫ থেকে ৬ ফুট) প্রশস্ত এবং ১ মিটারের কাছাকাছি (২ থেকে ৩ ফুট) পুরু বা উঁচু বীজতলা ধাপ তৈরি করে তার উপর কচুরিপানা এবং পর্যায়ক্রমে শ্যাওলা, দুলালীলতা, টেপাপানা, কুটিপানা, কলমিলতা, জলজলতা স্তরে স্তরে সাজিয়ে নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া ও ক্ষুদ্রাকৃতির বিভিন্ন ধরনের জলজ উদ্ভিদ পচিয়ে বীজতলার উপর ছড়িয়ে দেয়। সেখানেই বীজ বপন করে উৎপাদন করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির শাক আর দৌলা বা মেদা সাজানো চারা, এমনকি অল্প জীবনকাল সম্পন্ন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি।ভাসমান বা ধাপ পদ্ধতিতে সরাসরি বীজ বপন সম্ভব না হওয়ায় কৃষকরা প্রতিটি বীজের জন্য এক ধরনের আধার তৈরি করেন। তারা এর নাম দিয়েছেন দৌলা বা মেদা। একমুঠো আধা পচা টেপাপানা বা ছোট কচুরিপানা, দুলালীলতা দিয়ে পেচিয়ে বলের মতো করে তার মধ্যে মধ্যে নারিকেল ছোবড়ার গুঁড়া দিয়ে তৈরি করা হয় দৌলা। সাধারণত নারীরা দৌলা তৈরির কাজ করেন। এ দৌলার মধ্যে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে গর্ত করে বিভিন্ন সবজির অঙ্কুরিত বীজ পুঁতে মাচানে বা রাস্তার পাশে শুকনো জায়গায় রাখা হয়। এর আগে ভেজা জায়গায় বীজ অঙ্কুরিত করে নেয়া হয়। দৌলাগুলো এভাবে ৩ থেকে ৭ দিন লাইন করে রাখা হয়। ৭ থেকে ১০ দিন পর গজানো চারাগুলো ভালোভাবে বেরিয়ে আসলে ধাপে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ধাপে স্থানান্তর করেনধাপ তৈরির পর ধাপে জৈব উপকরণ দ্রুত পচাতে ব্যবহার করা হয় সামান্য পরিমাণ ইউরিয়া সার। এ ধাপ চাষের উপযোগী করতে সাত থেকে ১০ দিন প্রক্রিয়াধীন রাখতে হয়। একটি ধাপের মেয়াদকাল কম বেশি সাধারণত ৩ মাস। ধাপে অঙ্কুরিত চারা পরিপক্ব চারায় পরিণত হয় মাত্র ২০ থেকে ২২ দিনে। যে কারণে পুনরায় ব্যবহার করার জন্য ধাপগুলোর সামান্য পরিবর্তন করতে হয়। এরপর ৫ থেকে ৬ দিন পরপর ভাসমান ধাপের নিচ থেকে টেনে এনে নরম কচুরিপানার মূল বা শ্যাওলা টেনে এনে দৌলার গোড়ায় বিছিয়ে দেয়া হয়। এতে দৌলাগুলো একে অপরের সাথে গায়ে গায়ে লেগে থাকে, আর জীবনের সঞ্জিবনী শক্তি পায় এখান থেকে। এ যেন পরম মমতায় উদ্ভিদের যান্ত্রিক শক্তি প্রদানের ব্যবস্থা। এরপর শুধু চারাগুলোর বেড়ে উঠার গল্প। কিন্তু এযে তরতর করে চারাগুলোর বেড়ে উঠা, এজন্য করতে হয় নিয়মিত পরিচর্যা আর যত্নআত্তি। এর মধ্যে পড়ে প্রতিদিন ধাপে হালকা করে পানি সেচ দেয়া। যাতে করে চারার গোড়া শুকিয়ে না যায়, সজীব থাকে। আর অল্প পরিমাণ ইউরিয়া সার ছিটানো। এভাবে মাসাধিক কাল যত্ন শেষে বিক্রির জন্য তৈরি হয়। বীজতলার মালিকরা অপেক্ষা করেণ মহাজন ফড়িয়ার জন্য। এভাবেই বীজ থেকে চারা উৎপাদন করা হয়। একটি অঙ্কুরিত বীজ বীজতলায় রোপণ করার ২০ থেকে ২২ দিনের মাথায় পূর্ণবয়স্ক চারায় রূপান্তরিত হয়। ১ সপ্তাহের মধ্যে কৃষক বা চারার পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যান এসব চারা। জৈবসারে উৎপাদিত এসব চারার উৎপাদন খরচ পড়ে ১ থেকে দেড় টাকা। ১ হাজার চারা আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। শাকসবজি বড় হলে চাষিরা ধাপ থেকে তুলে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন। পুরনো ধাপ কিনে কৃষকরা এর স্বল্প জীবনকালীন বিভিন্ন শাকসবজির আবাদ করেন। তাছাড়া পানি কমে গেলে এসব ধাপ মাটির সাথে মিশে জৈবসার হিসেবে কাজে লাগে মাটির উর্বরা শক্তি বাড়ায়

Md. Shahadul Islam,   ১৩-১০-২০১৮ ইং    

উত্তর সমূহ

  1. মোঃ ওবায়েদুল হক রেজা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, গাজীপুর সদর, গাজীপুর

    রেজিস্টার্ড কৃষকের কল সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিসে পৌছে যাচ্ছে।  রেজিস্ট্রেশনবিহীন কৃষকের কল সেন্ট্রাল বাতায়ন টিমের কাছে চলে আসে। যাদেরকে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিসের সাথে কল সংযোগ এর ব্যবস্থা করা হয়।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    How to manage

    • Use clean seeds to minimize the occurrence of the disease
    • Use salt water to separate lightweight, infected seeds during soaking
    • Use fungicides as seed treatmentsBecause the disease is commonly spread through spores on the surface of the seed, applying a fungicide containing benomyl or benomyl-t (at 1-2% of seed weight) for dry seed coating to treat infested seed can be effective. Soaking seed in a fungicide solution of 1:1000 for one hour or 1:2000 for five hours has also been shown to be useful. Avoid repeated applications of benomyl since the fungus can develop resistance to this treatment.In cases where resistance to benomyl occurs, use a fungicide that contains triflumizole, propiconazole, prochloraz or a combination of thiram + benomyl

উত্তর সমূহ

  1. কে. এম. রাফিউল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, শিবগঞ্জ, বগুড়া

    ১. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা ২. জাপ পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: এডমায়ার ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    ১. গোড়ায় Metalaxyl + mancozeb ২.৫ গ্রাম প্রতি লি. পানিতে ভালোকরে গুলে স্প্রে করে মাটি সহ গোড়ার অংশে ভিজিয়ে দিতে হবে . ২. (টেবুকোনাজোল ৫০ % ট্রাইফ্লক্সিস্ট্রোবিন ২৫ %) ডব্লু. জি. ১ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে গুলে স্প্রে করতে হবে .