সকল প্রশ্ন

মোট প্রশ্ন ৮৬২ টি | পৃষ্ঠা নং ৪২ | সর্বমোট পাতা ৮৭

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    রেড লেডি বিএআরআই উদ্ভাবিত কোন জাত নয়। তাইওয়নের KnownYou Company এই হাইব্রিড বীজ বাজারজাত করে। এই পেপের ব্যাপক চাহিদার কারণে অসাধু প্রতারকচক্র নিন্মমানের বীজ বাজারজাত করছে। তাই প্যাকেটের গায়ে সকল তথ্য দেখে যাচাই করে ক্রয় করতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    মাটির জৈবপদার্থ  বৃদ্ধির জন্য করণীয়:১।ফসলের অবশিষ্টাংশ বা নাড়া মাটিতে মেশানো।২। সবুজ সার হিসেবে ধৈঞ্চা চাষ করা।৩। কম্পোস্ট, খামারজাত সার, কুইক কম্পোস্ট, কেচোসার ব্যবহার করা।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    পাতার বিটল, কচ্ছপ পোকা, ঘোড়া পোকা, বিছা পোকা গিমা কলমীর পাতা খেয়ে নষ্ট করে। কীটনাশক ব্যবহার না করে পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ ও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যায়।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    ইঁদুর  দমন  ব্যবস্থাপনা ইঁদুর  একটি  অত্যন্ত  ক্ষতিকর  প্রাণী। একটি মাত্র  পদ্ধতি  দ্বারা  ইঁদুর  দমন  করা বাস্তবে  সম্ভব  নয়।  ইঁদুর  দমন  পদ্ধতি সঠিক  স্থানে,  সঠিক  সময়ে  ও  সঠিকভাবে  প্রয়োগ  করতে  হবে। ইঁদুর মারার কলাকৌশল   ইঁদুর সাধারণত দুইভাবে দমন করা যায়। ১. অরাসায়নিক দমন ব্যবস্থা ও ২. রাসায়নিক দমন ব্যবস্থা। অরাসায়নিক দমন ব্যবস্থা ১. ঘরবাড়ি ও ক্ষেতের আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা; ২. গুদামঘর পরিষ্কার রাখা এবং গুদামের দরজার ফাঁক দিয়ে যেন ইঁদুর ঢুকতে না পারে তেমন ব্যবস্থা করা। এছাড়া গুদামঘরের ছিদ্র বা ফাটল সিমেন্ট দিয়ে ভালোভাবে বন্ধ করে দেয়া; ৩. ধান, গম ইত্যাদির গোলা বা ডোল সরাসরি মাটিতে না রেখে মাচার ওপর ঘরে রাখা এবং মাচার প্রতিটি পিলার মসৃণ টিন দিয়ে এমনভাবে জড়িয়ে দেয়া যেন ইঁদুর তা বেয়ে উঠতে না পারে। গুদামের শস্য টিনের পাত্রে সংরক্ষণ করা; ০৪. নারিকেল গাছের গোড়ায় টিনের মসৃণ পাত এমনভাবে জড়িয়ে দেয়া যেন ইঁদুর তা বেয়ে উঠতে না পারে; ৫. ইঁদুর ভক্ষণকারী প্রাণীকে সংরক্ষণ করা; ৬. ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে, গর্তে পানি ঢেলে ইঁদুরকে  বের করে পিটিয়ে মারা; ৭. ইঁদুরের গর্তে মরিচ পোড়ার ধোঁয়া দিয়ে ইঁদুরকে মারার ব্যবস্থা করা; ৮.বিভিন্ন প্রকার ফাঁদ পেতে ইঁদুর মারার ব্যবস্থা নেয়া। রাসায়নিক দমন পদ্ধতি এ পদ্ধতিতে ইঁদুরকে দমনের জন্য দুই ধরনের ইঁদুরনাশক ব্যবহার করা হয়। যথাÑ ১. তীব্র বিষ (Acute poison) : তীব্র বিষ খাওয়ার সাথে সাথে ইঁদুর মারা যায়। তীব্র বিষ হচ্ছে জিংক ফসফাইড। তীব্র বিষ ব্যবহারের কিছু কিছু অসুবিধা আছে তা হচ্ছে, জিংক ফসফাইড দ্বারা তৈরিকৃত বিষটোপ ইঁদুর পরিমিত মাত্রায়  খাওয়ার আগে অল্প কিছুটা মুখে দিয়ে পরখ করে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে কিন্তু মরে না। আবার পরিমিত মাত্রায় বিষটোপ খাওয়ার পর একসাথে অনেক ইঁদুর মারা যেতে দেখে বিষটোপের প্রতি অনীহা লক্ষ করা যায়। ২. দীর্ঘস্থায়ী বিষ (Chronic poison) দীর্ঘস্থায়ী বিষ খাওয়ার সাথে সাথে ইঁদুর মারা যায় না, ইঁদুর মারা যেতে ৫ থেকে ১৩ দিন সময় লাগে। দীর্ঘস্থায়ী বিষ দিয়ে তৈরিকৃত বিষটোপ ইঁদুর খাওয়ার পর ইঁদুরের রক্ত জমাট বাঁধার  ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায়, ফলে ইঁদুরের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে ও ক্রমেই ইঁদুর দুর্বল হতে থাকে এবং ৫-১৩ দিনের মধ্যে ইঁদুর মারা যায়। দীর্ঘস্থায়ী বিষ প্রয়োগ করে অনেক ইঁদুর মারা সম্ভব। ৯০-১০০ শতাংশ ইঁদুর মারা যাবে (খুবই কার্যকর)। দমন খরচ বেশি। কারণ বেশি দিন বিষটোপ প্রয়োগ করতে হয়। ৩. ইঁদুরের গর্তে বিষবাষ্প প্রয়োগ করেও ইঁদুরকে মারা যায়। যথা- সাইনোগ্যাস, ফসটক্সসিন ট্যাবলেট। বিষটোপ প্রয়োগ ১.ঘরে অথবা গুদামে অথবা দোকানে যদি গর্ত থাকে তবে নতুন গর্তের সম্মুখে পাত্রে বিষটোপ প্রয়োগ করতে হবে। যদি গর্ত না থাকে তবে ইঁদুরের সম্ভাব্য উপস্থিতির স্থানগেুলোতে বিষটোপ প্রয়োগ করতে হবে; ২.বিষটোপ একই পাত্রে একই স্থানে কমপেক্ষ ৩-৪ রাত্র রাখতে হবে; ৩. গুদামে অথবা ঘরে ১০ হাত পরপর নতুন গর্তের মুখে একটি বিষটোপ পাত্র রাখতে হবে; ৪. বিষটোপ পাত্র হিসেবে নারিকেলের খোলস, কলাগাছের খোলস, মাটির ছোট ছোট পাত্র, বাঁশ অথবা পাইপ ব্যবহার করা যেতে পারে; ৫. প্রতিটি পাত্রে ৫০-১০০ গ্রাম বিষটোপ প্রয়োগ করতে হবে; ৬. বহুমাত্রা বিষটোপের ক্ষেত্রে যতদিন ইঁদুর খাওয়া বন্ধ না করে ততদিন পাত্রে বিষটোপ রাখতে হবে; ৭. ঘরবাড়ি, গুদাম অথবা দোকানে কমপক্ষে ২০-৩০ দিন পরপর বিষটোপ প্রয়োগ করতে হবে। ৮. জিংক ফসফাইড বিষটোপ ঘন ঘন ব্যবহার করা উচিত না; ৯. গুদামে অথবা শিল্পকারখানায় ইঁদুরের উপদ্রব থাকলে স্থায়ী কয়েকটি বিষটোপ পাত্র রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বহুমাত্রা বিষটোপ প্রয়োগ করতে হবে; ১০.আনারস বাগানে ফল ধরার সময় ১২টি বিষটোপ পাত্র প্রতি একরে স্থাপন করতে হবে। প্রতি পাত্রে দীর্ঘমেয়াদি  ৫০ গ্রাম করে বিষটোপ প্রয়োগ করতে হবে। বিষ পাত্র ফল তোলার আগে পর্যন্ত আনারস বাগানে রাখতে হবে; ১১.নারিকেল গাছের মাথায় বিষটোপ ছোট পলিথিনে করে সুঁতা দিয়ে মুখ বেঁধে রাখতে হবে। নারিকেল বাগান হলে প্রত্যেক গাছে বিষটোপ প্রয়োগ না করে প্রতি ১০টি নারিকেল গাছের জন্য একটি গাছে বিষটোপ মাসে একবার প্রয়োগ করতে হবে। সঠিক স্থানে এবং সঠিক পদ্ধতিতে বিষটোপ প্রয়োগ না করলে দমন ব্যবস্থা ততটা কার্যকর হয় না। বিষটোপ ও ফাঁদ দ্বারা ইঁদুর দমন ব্যবস্থা ব্যর্থ হওয়ার কারণ ১. বিষটোপ পাত্র একই স্থানে কম দিন রাখলে। ইদুর যতদিন খায় তত দিন খাওয়াতে হবে; ২. অতি অল্পসংখ্যক বিষটোপ পাত্র প্রয়োগ করলে এবং বিষপাত্র বিষটোপবিহীন রাখলে; ৩. নতুন স্থান থেকে ইঁদুরের আগমন ঘটলে; ৪. বিষটোপ পাত্র সঠিক স্থানে না রাখলে; ৫. টোপ যদি পুরনো, খারাপ ও মোল্ডযুক্ত হয়; ৬. ফসলের থোড় ও পাকা অবস্থায় দমন ব্যবস্থা করা হলে এ সময় মাঠে প্রাকৃতিক খাদ্য বেশি থাকে; ৯. ফাঁদের সংখ্যা কম হলে; ১০.ফাদে ইঁদুর পড়ার পর তাড়াতাড়ি না সরালে; ১১. একটি দমন ব্যবস্থা বারবার প্রয়োগ করলে; ১২. একমাত্রা বিষটোপ বারবার প্রয়োগ করলে। জৈবিক পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন শিয়াল, বেজি, বনবিড়াল, গুঁইসাপ, পেঁচা ইত্যাদি প্রাণী ইঁদুর মেরে থাকে। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এদের সংরক্ষণ ও বংশবিস্তারের সুযোগ করে দিয়ে প্রাকৃতিকভাবেই ইঁদুর দমন করতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    ¯^í †gqv`x RvZ ( weª avb 33, weª avb 39, weª avb 62, weª avb,66, weª avb 71, weª avb 75) A_ev ga¨ †gqv`x RvZ (weª avb37, weª avb 38, weª avb 49, weª avb 52, weª avb 70, weª avb 72, weª avb 79, weª avb 80) wbe©vPb Kiv †h‡Z cv‡i| eb¨vi cvwb †b‡g hvIqvi ci bvex‡Z †ivc‡bi Rb¨ Av‡jvK ms‡e`bkxj Ddkx RvZ †hgb- weAvi 22, weAvi 23, weª avb 46 webvkvBj Ges bvBRvikvBjmn ¯’vbxq RvZmg~n wbe©vPb Kiv †h‡Z cv‡i| bvex‡Z †ivc‡Yi †ÿ‡Î cÖwZ †MvQvq Pvivi msL¨v n‡e 4-5 wU Ges †ivcY `~iZ¡ n‡e 20×15 †m.wg. | Av‡jvK Ams‡e`bkxj I ¯^í‡gqv`x RvZ ( webv avb 7, webv avb 16, webv avb 17) Gi exR mivmwi ecb Kiv †h‡Z cv‡i|cybivq eb¨vq AvµvšÍ nIqvi Avk¼vhy³ wbPz Rwg‡Z RjgMœZv mwnòz RvZ †hgb- weª avb 51, weª avb 52, weª avb 79, webv avb 11  I webv avb 12 wbe©vPb Kiv †h‡Z cv‡i |

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    যেসব জমির বন্যার পানি সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের আগেই নেমে যাবে, সেসব জমিতে দ্বিতীয়বার চারা রোপণ  উঁচু জমির ধানের কুশি উঠিয়ে প্রতি গোছায় ২-৩টি কুশি রোপণ করা যেতে পারে। যদি কুশির বয়স ১০-১২ দিনের মধ্যে হয় তা হলে মূল গোছার তেমন ক্ষতি হবে না। লক্ষ রাখতে হবে যে মূল জমির ধানের যে গোছায় কমপক্ষে ৬-৭টি কুশি আছে সেখান থেকে ২টি কুশি তোলা যেতে পারে। এসব কুশি লাগানো গেলে তা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে নতুন কুশির জন্ম দেবে এবং কৃষক কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। যদি বন্যার পানি সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরও স্থায়ী হয় তা হলে এসব জমিতে কোনোক্রমেই আমন ধান লাগানো ঠিক হবে না।  মাসকলাই কিংবা পাতা জাতীয় স্বল্পমেয়াদি জাতের সবজি চাষ করা যেতে পারে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি অবশ্যই সঠিক সময়ে অর্থাৎ নভেম্বর মাসের প্রথমেই রবি ফসল যেমনÑ গম, ভুট্টা, আলু, ডালজাতীয় ফসল ইত্যাদি চাষ করার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। 

Argana Begum,   ০৯-০৮-২০১৭ ইং    

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    রোগের নাম : নেতিয়ে পড়া বা ধ্বসা রোগ রোগের স্থানীয় নাম : নেই রোগের কারণ : ব্যাকটেরিয়া ক্ষতির লক্ষণ : গাছের যেকোন বয়সে এ রোগ দেখা যায়। আক্রান্ত গাছ ঝিমিয়ে ঢলে পড়ে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গাছের কচি পাতা প্রথমে ঢলে পড়ে কিংবা নীচের বয়স্ক পাতা বিবর্ণ হয়ে যয়। ব্যাকটেরিয়া জীবাণু আক্রমণ করলে গাছ হঠাৎ ঢলে পড়ে। আক্রান্ত গাছেল ডাল কেটে পানিতে রাখলে সাদা কষের মতো তরল পদার্থ বের হতে দেখা যায়। আবার ছত্রাক জীবাণু দিয়ে আক্রমণ হলে প্রথমে গাছের অংশ বিশেষ এবং পরে সমস্ত গাছ ঢলে পড়ে। আক্রান্ত গাছের কাণ্ডের ভেতরের অংশ বাদামী রঙের হয়ে যায়। ক্ষতির ধরণ : কান্ডের মাটি বরাবর গোড়া পানসে দাগ দেখা দেয় পড়ে তা গাঢ রঙ ধারণ করে। গাছ দুপুরের দিকে পাতা ঝিমিয়ে আসে। আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ গাছ ঢলে পড়ে ও শেষে মারা যায়। আক্রান্ত গাছের গোড়ার প্রায় ২ ইঞ্চি ডাল কেটে পানিতে ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ব্যাকটেরিয়া হতে সাদা কষের মত তরল পদার্থ(ব্যাক্টেরিয়াল উজ)বেরিয়ে আসে, যাতে পানির রং সাদা হয়ে যায়।আক্রান্ত গাছ সকালে সুস্থ দেখালেও বিকেলে ঢলে পড়ে৷ ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায় , চারা ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : গোঁড়া ব্যবস্থাপনা : ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ হলে ক্ষেতের মাটিতে বিঘাপ্রতি ২ কেজি হারে ব্লিচিং পাউডার ছিটাতে হবে। পূর্ব-প্রস্তুতি : রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার। মাটি ও বীজ শোধন। পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ। বন বেগুনের সাথে জোড় কলমকরে চারা রোপন করুন। চারা লাগানোর আগে প্রতি লিটার পানিতে ৩ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: নোইন অথবা ৪ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিরিডি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে চারা শোধন করে নিন।

Argana Begum,   ০৯-০৮-২০১৭ ইং    

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    গাছের বয়স : নারিকেল গাছের বয়স পাঁচ-ছয় বছর হলেই তাতে ফল ধরে। তবেছোট অবস্থাতেই ফল ঝরে যায়। কম বয়সী গাছে ফুল এলেও তা থেকে ফল না নিয়ে সাত-আট বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। উপযোগী জাত : কোন এলাকায় কোন জাতের নারিকেল ভালো হতে পারে তার উপযোগিতা যাচাই করেই নারিকেল গাছ রোপণ করা উচিত। মাটির ধরন : উর্বর মাটিবা কম চুনযুক্ত (১০-১৪ শতাংশ)মাটি নারিকেল চাষেবেশি উপযোগী।পোকার আক্রমণ :- রোগ বা পোকার আক্রমণ হলে ওষুধ প্রয়োগ করে এর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নারকেলের ফুল বা ফল খাওয়া পোকায় আক্রমণ করলে ২ মিলি রগর এক লিটার পানিতে মিশিয়ে ফুলের উপর ভালভাবে স্প্রে করতে হবে। গাছের কুঁড়ি বা পচা রোগের জন্য ১ শতাংশ শক্তিযুক্ত বর্দো মিশ্রণ গাছের অগ্রভাগে বিশেষ করে পাতার গোড়ায় ভাল করে প্রয়োগ করতে হবে।পরাগায়নের প্রভাবে : নারিকেল ফুলে পরাগায়ন সংঘটিত হয় পোকা বিশেষ করে মৌমাছি অথবা বাতাসের মাধ্যমে। এজন্য একই এলাকায় একাধিক নারিকেল গাছ থাকা দরকার,এতে পরাগায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ফুল থাকে।এ ছাড়া নারিকেল ফুল ফোটার পর বাতাস প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হলে পরাগায়নও বাধাগ্রস্ত হয়।এতে নারিকেল কুঁড়ি অবস্থাতেই ঝরে পড়ে। অনেক সময় সুষম সার প্রয়োগ না করায় পুষ্টির অভাবে বা অপূর্ণতায় ফুলসুষ্ঠু ভাবে পরিণত না হওয়ায় পরাগায়ন হওয়ার পরও ফল ঝরে যায়। মৌমাছি যাতে নারিকেল গাছের এলাকায় ঘোরাফেরা করে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়। নারিকেলের ফুল ফোটার আগে অপ্রয়োজনে কোনো বালাইনাশক স্প্রে করা ঠিক নয়। মাটির রসের কারণে :-নারিকেল গাছের গোড়ায় যদি রস বেশি বা সব সময় স্যাঁতস্যাঁতে থাকে অথবা একেবারে শুকনো থাকে তাহলে গাছের ভেতরের অবস্থা ও ক্রমবর্ধিষ্ণু ফলের কুঁড়ির মধ্যকার আর্দ্রতার অসাম্যতা দেখা দেয়। এতে ফলের কুঁড়ির বোঁটা অতিরিক্ত নরম বা শুকনো হয়ে যায় এবং ফল ঝরে পড়ে। আবহাওয়ায় আর্দ্রতার কম-বেশিও ফল ঝরার কারণ হতে পারে। এ জন্য নারিকেল গাছের গোড়ার মাটিতে যেন সব সময় জো অবস্থা থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে হয়। গ্রীষ্মে অতিরিক্ত গরমের সময় রাতে ও শীতে অতিরিক্ত ঠাণ্ডার সময় দিনে নারিকেলের পাতায় শুধু পানি সেপ্র করে গাছের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করলে ওই সময়ের অস্বাভাবিক অবস্থায় ফল ঝরে পড়ে না বা ফল নষ্ট হয় না। সাধারণত মাটিতে সারের অভাব হলে কচি অবস্থায় নারকেল বেশি করে ঝরে পড়ে। নারকেল গাছে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ সারের সঙ্গে সুহাগা প্রয়োগের বিশেষ প্রয়োজন। পটাশ সারের অভাব হলে নারকেলের শাঁস গঠনে ব্যাঘাত হয় ও নারকেল ঝরে পড়ে। সেজন্য গোবর সার বা পচন সারের সঙ্গে অনুমোদিত রাসায়নিক সার মিশিয়ে দুভাগ করে এক অংশ বর্ষার আগে (চৈত্র-বৈশাখ) এবং অন্য অংশ বর্ষার পরে (অশ্বিন-কার্তিক) মাসে প্রয়োগ করতে হবে।অতিরিক্ত ফল ধারণ : অনেক সময় গাছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফল ধরে এবং প্রতিটি ফল পরিমিত পরিমাণ পুষ্টির অভাবে সঠিকভাবে বাড়তে না পারায় বেশির ভাগই ঝরে পড়ে। এ জন্য দু’টি ছড়ি বের হওয়ার মধ্যে সময়ের পার্থক্য কম হলে ছড়িগুলো থেকে ফলসংখ্যা ছাঁটাই করে ফেলা দরকার। এতে বাকিগুলো ঠিকভাবে বাড়তে পারে ও ফলঝরা কমে। ত্রুটিপূর্ণ ছাঁটাই:- নারিকেল গাছের সবুজ পাতা ছাঁটাই করা কোনো ক্রমেই উচিত নয়। যেসব পাতা শুকিয়ে যায় সেগুলোর গাছের সাথে লেগে থাকা মোটা বোঁটাটি না শুকানো পর্যন্ত কাটা উচিত নয়। সবুজ পাতা কাটলে গাছেখাদ্য তৈরি কমে যায়। এতে ফল ঝরে পড়তে পারে।জৈব বা অজৈব সার প্রয়োগ ও পরিমাণ :- খরার সময় জমিতে পানির পরিমাণ কমে গেলে বা খরার পর ভারী বৃষ্টিপাত হলে গাছে পানির পরিমাণ বেড়ে গেলে ছোট ছোট নারকেলগুলো ঝরে পড়ে। সেজন্য খরার সময় নারকেল গাছের গোড়ায় ১৫-২০ দিন পর পানি দেয়ার প্রয়োজন। জমিতে পানির অভাব হলে বা প্রতিকূল অবস্থায় ফল এবং ডাটার গোড়ায় এবসাইজিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ফল ঝরে পড়ে। এমন অবস্থায় ৬০ পিপিএম শক্তির ২-৪-ডি মিশ্রণ ফুলের ডাটায় ৭ দিন পর পর ৪ বার প্রয়োগ করলে ঝরে পড়া বন্ধ হয়। প্লেনোফিক্স জাতীয় হরমোনের ১০ পিপিএম মিশ্রণ নারকেলের ফুলে এবং পরে ২০ পিপিএম নারকেলের ডাটায় প্রয়োগ করলেও নারকেল ঝরে পড়া বন্ধ হয়। সুস্থ্য এবং রোগ, পোকার আক্রমণ না থাকা গাছের নারকেল হরমোনের জন্য সাধারণত ঝরে পড়ে।