আম ফেটে যাওয়া কারন দীর্ঘ খরার পর হঠাৎ বৃষ্টি, শুষ্ক ও গরম হাওয়ার ফলে ফল ফেটে যেতে পারে। মাটিতে বোরন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও ফল ফেটে যেতে পারে। রোগ-পোকার আক্রমণ ও আগাম জাতে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিকার খরা মৌসুমে নিয়মিত সেচ দেওয়া,পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ করা। বাগান ও গাছ পরিস্কার পরিছন্ন রাখা,বৎসরে দুইবার সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করা। বর্ষার শুরুতে ও শেষে গাছের গোড়ায় ডলোচুন গাছপ্রতি ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করা। ফল মার্বেল দানার মতহলে বোরিক এসিড( লিবরেল বোরন/ সলুবোরন) ২ গ্রাম/ লিটার পানি ১৫ দিনের ব্যাবধানে ২-৩ বার স্প্রে করা। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ প্রতিহত করা।
আম ফেটে যাওয়া কারন দীর্ঘ খরার পর হঠাৎ বৃষ্টি, শুষ্ক ও গরম হাওয়ার ফলে ফল ফেটে যেতে পারে। মাটিতে বোরন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও ফল ফেটে যেতে পারে। রোগ-পোকার আক্রমণ ও আগাম জাতে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিকার খরা মৌসুমে নিয়মিত সেচ দেওয়া,পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ করা। বাগান ও গাছ পরিস্কার পরিছন্ন রাখা,বৎসরে দুইবার সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করা। বর্ষার শুরুতে ও শেষে গাছের গোড়ায় ডলোচুন গাছপ্রতি ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করা। ফল মার্বেল দানার মতহলে বোরিক এসিড( লিবরেল বোরন/ সলুবোরন) ২ গ্রাম/ লিটার পানি ১৫ দিনের ব্যাবধানে ২-৩ বার স্প্রে করা। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ প্রতিহত করা।
১. প্রতি গাছে ২ ডালি পঁচা গোবর/জৈব সার, ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০ গ্রাম
টি. এস. পি, ৩০০ গ্রাম এম ও পি, এবং ৫০ গ্রাম বোরন সার গাছের গোড়া থেকে ১
হাত দূরত্তে গোল করে প্রয়োগ করতে হবে
মিশ্র ফল বাগানে পেপেঁ ফসলের সাথে আনারসের চাষ করা যেতে পারে। মিশ্র ফল বাগান স্থাপনের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হলো আলো ও নিউট্রেন্টের জন্য যেন প্রতিযোগীতা না হয়। পেপে ও আনারস ভিন্ন স্তরের উদ্ভিদ । তাই এরূপ মিশ্র ফল বাগান স্থাপন লাভজনক।
থ্রিপস পোকা
এই পোকাকে চোষী পোকা হিসেবে বেশ পরিচিত। গাছ লাগানোর প্রায় ৭-১০ দিন পরেই এই পোকার আক্রমণ চোখে পরে।
লক্ষণ
এই পোকার আক্রমণে মরিচের পাতা কুঁকড়ে যায়।
কচি পাতার রস এই থ্রিপস পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে ফলে পাতা
উপরের দিকে কুঁকড়ে যায় এবং গাছ দূর্বল হয়ে পরে।
পাতার মধ্যশিরায় আশে-পাশে বাদামী রঙ হয়ে
যায় ও শুকিয়ে যায় নতুন বা পুরানো পাতার নিচের পিঠে অনেক ক্ষতি হয় যার ফলে
নৌকার খোলের মতো করে পাতা উপরের দিকে কুঁকড়ে যায়। আক্রান্ত পাতা দেখতে
বিকৃত দেখায়।
থ্রিপস পোকা দমন ও ব্যবস্থাপনা
১) কুঁকড়ানো পাতার পরিমাণ কম হলে ছিঁড়ে ফেলতে হবে। ক্ষেত পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২) জোরে জোরে পরিষ্কার পানি স্প্রে করতে হবে।
৩) মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ানো এড়াতে প্রাকৃতিকভাবে ফসল সুরক্ষার পণ্য
হলুদ স্টিক ট্র্যাপের জুড়ি নেই। চাইলে এই ট্র্যাপ ব্যবহার করে পোকা দমন
করা যায়।
৪) বালাইনাশক হিসেবে ১ কেজি আধা ভাঙ্গা নিম বীজ ২০ লিটার পানিতে ২৪
ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে উক্ত পানি (ছেঁকে নেওয়ার পর) পাতার উপরের দিকে স্প্রে
করা।
৫) আন্তঃ ফসল হিসাবে মরিচের সঙ্গে গাজর চাষ করা যেতে পারে।
৬) আক্রমণ বেশি হলে ফিপ্রোনিল (রিজেন্ট/এসেন্ড/গুলি/অন্য নামের) বা
ডাইমেথয়েট (বিস্টারথোয়েট/টাফগর/অন্য নামে) ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলি হারে বা
সাকসেস ১০ লিটার পানিতে ১২ মিলি হারে স্প্রে করে এদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৭) বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
৮) চারা রোপনের ১০-৩০ দিনের মধ্যে তিন বার ১০ দিন অন্তর অন্তর এই পোকা
দমনের জন্য প্রতি ১০ লিটার পারিতে ৫মিলি এ্যাডমায়ার/টিডো/গেইন ঔষধ প্রতি ৫
শতক জমিতে স্প্রে করতে হয়।
এমপি সার বা পটাশ সারের পটাশিয়াম পাতার ক্লোরফিল তৈরির অবিচ্ছেদ্য অংশ,
শর্করা প্রস্তুতিতে সহায়তা এবং সেগুলির দেহাভ্যন্তরে চলাচলের পথ সুগম করে,
নাইট্রোজেনের কার্যকারিতার পরিপূরক, পোকামাকড় ও রোগবালাই থেকে গাছকে রক্ষা
করে, খরা সহিঞ্চুতা বাড়ায়, গাছকে মজবুত করে। তাই কাইচ থোড় এর আগে এমওপি সার প্রয়োগ করলে দানা পুষ্ট হয়, চিটার পরিমান কম হয়, রোগ প্রতিরোধ করে ও গাছকে শক্ত করে।
পাতাপোড়াচারা অবস্থায় পাতাপোড়া রোগ হলে সম্পূর্ণ গোছা পচে যায় ও
ঢলে পড়ে। রোগের এ অবস্থাকে কৃসেক বলে। এ অবস্থায় অয়াক্রান্ত কাণ্ড ছিঁড়ে
চাপ দিলে পুজের মতো আঠালো ও দুর্গন্ধযুক্ত রস বের হয়। এ ছাড়া কখনও কখনও
রোগাক্রান্ত গাছের উপর দিকের কচিপাতা ফ্যাকাশে হলদে রং ধারণ করে আস্তে
আস্তে মারা যেতে পারে। এ অবস্থাকে ফ্যাকাশে হলদে লক্ষণ বলে। ধানগাছে থোড়
অবস্থা থেকে প্রধানত পাতাপোড়া রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। প্রথমে পাতার অগ্রভাগ
বা কিনারা থেকে লক্ষণ শুরু হয়। আক্রান্ত অংশ থেকে পাতার দুই বা এক ধার থেকে
পাতাটা শুকনো খড়ের রং ধারন করে মরতে থাকে এবং ক্রমশ সম্পূর্ণ পাতাটাই মরে
শুকিয়ে যায়। রোগ বেড়ে গেলে গাছের সব পাতাই এভাবে মরে সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হতে
পারে। অনবরত বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া এ রোগ বিস্তারে সাহায্য করে। পামরী পোকা
বা অন্যান্য পাতা নষ্টকারী পোকার আক্রমণ ও বাতাসে পাতায় পাতায় ঘর্ষণের ফলে
সৃষ্ট ক্ষত দিয়েও রোগজীবাণু পাতার ভেতর ঢুকে এ রোগ বিস্তার করতে পারে। এ
রগের জীবানু বাতাস ও বৃষ্টির সাহায্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়ায়।
বাতাসে জলীয় বাষ্প কম এবং প্রচুর সূর্যের আলো থাকলে পাতাপোড়া রোগ কম
বিস্তার লাভ করে। রোগের অনুকূল অবস্থায় ২-৩ দিনের মধ্যেই এ রোগ সার মাঠে
ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাতাপোড়া রোগ নিয়ন্ত্রণের উপায়১। সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করুন এবং ইউরিয়া সার তিন কিস্তিতে প্রয়োগ করুন।২। ঝড়-বৃষ্টির পর ইউরিয়া সার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।৩। রোগ দেখা দেওয়ার পর ইউরিয়া সারের উপরি-প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।৪। কৃসেক হলে আক্রান্ত জমির পানি শুকিয়ে ৭-১০ দিন পর আবার সেচ দিন। ৫। চারা উঠানোর আগে সেচ দিয়ে বীজতলা ভালভাবে ভিজিয়ে সাবধানে চারা তুলতে হবে যেন শিকড় কম ছিড়ে।৬। রোগাক্রান্ত জমির ফসল কাঁটার পরে নাড়া জমিতে পুড়িয়ে ফেলুন।৭।
রোগ প্রতিরোধশীল ও মধ্যম প্রতিরোধশীল জাত ব্রিশাইল (বিআর৪), প্রগতি
(বিআর১০), গাজী (বিআর১৪), মঙ্গল (বিআর১৯), নিয়ামত (বিআর২১), নয়াপাজাম
(বিআর২৫), ব্রি ধান২৭, ব্রি ধান৩১, ব্রি ধান৩২, ব্রি ধান৩৭, ও ব্রি ধান ৩৮
এর চাষ করুন।
রোগের নামঃ দাদ বা স্ক্যাব (Scab) রোগ
রোগের কারণঃ এলসিনোই ফসেটি (Elsinoe fawcetti) নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে।
রোগের বিস্তারঃ লেবুগাছের মৃত অংশে এস্কোস্পোর থাকে।
উপযুক্ত আবহাওয়ায় (তাপমাত্রা ১৬-২৩ ডিগ্রি সেঃ ও ৬৬-১০০% আর্দ্রতা)
এস্কোস্পোর অংকুরোদগমের মাধ্যমে কনিডিয়া উৎপন্ন করে। বৃষ্টির ঝাপটায়
কনিডিয়া গাছের পাতা, ডাল ও ফলে ছড়িয়ে পড়ে এবং আর্দ্র স্থানে আক্রমণ করে।
আক্রমণের জন্য উপযোগী তাপমাত্রা ১৬-২৩ ডিগ্রি সেঃ। অতিরিক্ত শিশির, কুয়াশা
এবং আর্দ্রতা রোগ বিস্তারের জন্য খুবই অনুকূল।
রোগের লক্ষণঃ পাতায়, কচি ডালে ও ফলে এ রোগ হয়।
কচি পাতার উপর ছোট ছোট ফিকে কমলা রংগের দাগ পড়ে।
রোগ বৃদ্ধির সাথে সাথে দাগ আঁচিলের ন্যায় উঁচু হয়ে উঠে।
আঁচিলের নীচে পাতার উল্টো দিকে কিছুটা ডেবে যায়।
আঁচিলের উপর ফিকে হলদে কমলা রঙের মামড়ি পড়তে দেখা যায় এবং ক্রমে তার রং ধূসর হয়ে যায়।
রোগের ব্যাপক প্রসার ঘটলে ফলে কর্কের ন্যায় খসখসে হয়ে বিশ্রী দেখায়।
রোগের শেষের দিকে আঁচিল ফেটে যেতে পারে।
মারাত্মকভাবে আক্রান্ত ফল শক্ত হয় ও পরিপক্ক হওয়ার আগেই ঝরে পড়ে।
রোগের প্রতিকার
নীরোগ বীজতলার চারা ব্যবহার করতে হবে।
গাছ থেকে পাতা, ডালপালা ও ফল সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলতে হবে।
গাছে রোগ দেখা দেয়ার সাথে সাথে কপার অক্সিক্লোরাইড গ্রুপের
ছত্রাকনাশক (যেমন-কুপ্রাভিট ৫০ ডব্লিউপি) প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে
অথবা কার্বেন্ডাজিম + মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-কমপেনিয়ন ৭৫
ডব্লিউপি) ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ৩-৪ বার গাছে স্প্রে করতে
হবে।
রোগের নামঃ আগা মরা বা এনথ্রাকনোজ (Die back or Anthracnose) রোগ
রোগের কারণঃ কোলেটোট্রিকাম গ্লোওস্পোরোয়ডিস (Colletotrichum gloeosporioides) নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে।
রোগের বিস্তারঃ এ রোগের ছত্রাক মাটিতে ও গাছের
পরিত্যক্ত অংশে বেঁচে থাকে। বসন্তকালে বৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে কালো
বিন্দুগুলো ফেটে কনিডিয়াম বের হয়। বৃষ্টির ছিটা ও বাতাসের সাহয্যে আক্রান্ত
গাছ থেকে কনিডিয়াম ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্য গাছকে আক্রমণ করে।
রোগের লক্ষণ
পুরাতন পাতায় ঈষৎ সবুজ রংগের দাগ পড়ে।
ক্রমে দাগ বাদামী হয়ে যায়।
রোগ পাতার আগায় ও কিনারায় বেশী হয়।
ডালও আক্রান্ত হয়ে আগা থেকে শুরু করে নীচের দিকে ধীরে ধীরে শুকাতে থাকে।
ডাল শুকানোর সাথে সাথে পাতা ঝরে পড়ে।
এ জন্য গাছে অনেক পত্রবিহীন মরা, অর্ধমৃত অথবা রোগাটে ডাল দেখতে পাওয়া যায়।
আক্রান্ত ফলের খোসায় শক্ত কুঁচকানো বাদামী দাগ দেখা যায়।
আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করলে তাতে পঁচন দেখা যায়।
রোগের প্রতিকার
নীরোগ বীজতলার চারা ব্যবহার করতে হবে।
গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতি ঘন ডাল পালা ছাঁটাই করে পরিস্কার করে দিতে হবে।
আক্রান্ত অংশ ছাটার সময় দাগের নীচেও কিছুটা সুস্থ অংশ কেটে ফেলতে হবে
এবং কাটা অংশে বর্দোপেষ্ট (প্রতি লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম তুঁতে ও ১০০
গ্রাম চুন) লাগাতে হবে।
গাছের নিচে ঝড়ে পড়া পাতা ও ফল সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলতে হবে।
গাছকে সতেজ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সুষম সার শিকড়ের চারপাশে দিয়ে পানি সেচ দিতে হবে।
প্রোপিকোনাজোল গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন-টিল্ট ২৫০ ইসি) প্রতি লিটার
পানিতে ০.৫ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে গাছে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার গাছে স্প্রে
করতে হবে
লেবু পাতার ছোট সুড়ঙ্গকারী পোকা :
লিফ মাইনার বা সুড়ঙ্গকারী পোকার কীড়াগুলো পাতার উপত্বকের ঠিক নিচের সবুজ
অংশ খেয়ে আকা-বাঁকা সুড়ঙ্গের মতো সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে গাছের পাতার
কিনারার দিক মুড়ে পুত্তলিতে পরিণত হয়। আক্রমণের মাত্রা তীব্র হলে গাছের
পাতা কুঁকড়ে যায় ও বিবর্ণ হয়ে শুকিয়ে ঝরে পড়ে। আগস্ট ও অক্টোবর মাসে এ
পোকার আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। প্রতিকার হিসেবে পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ করতে হবে।
সম্ভব হলে ডিম ও কীড়াসহ পাতা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। গ্রীষ্ম ও
শরৎকালে নতুন পাতা গজানোর সময় কচি পাতায় স্পর্শ ও পাকস্থলী বিষ
(সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি, ফেনিট্রোথিয়ন ৫০ ইসি) অথবা অন্তর্বাহী বা প্রবাহমান
বিষ (ডাইমেথয়েট ৪০ ইসি, কার্বোসালফান ২০ ইসি) জাতীয় কীটনাশক ২ মিলি/লিটার
পানি বা ১ গ্রাম/লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পরপর ৩-৪ বার গাছে
ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।
আম ফেটে যাওয়া কারন দীর্ঘ খরার পর হঠাৎ বৃষ্টি, শুষ্ক ও গরম হাওয়ার ফলে ফল ফেটে যেতে পারে। মাটিতে বোরন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও ফল ফেটে যেতে পারে। রোগ-পোকার আক্রমণ ও আগাম জাতে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিকার খরা মৌসুমে নিয়মিত সেচ দেওয়া,পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ করা। বাগান ও গাছ পরিস্কার পরিছন্ন রাখা,বৎসরে দুইবার সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করা। বর্ষার শুরুতে ও শেষে গাছের গোড়ায় ডলোচুন গাছপ্রতি ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করা। ফল মার্বেল দানার মতহলে বোরিক এসিড( লিবরেল বোরন/ সলুবোরন) ২ গ্রাম/ লিটার পানি ১৫ দিনের ব্যাবধানে ২-৩ বার স্প্রে করা। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ প্রতিহত করা।