এটি গমের আলগা ঝুল রোগ। এ রোগের আক্রমণে গমের শীষে কালো বর্ণের প্রচুর পরিমাণে পাউডারের মত
বস্তু দেখা যায়। আক্রমণ বেশি হলে গমের দানাগুলো ঝড়ে যায় এবং শীষটি গমশুন্য
দন্ডে পরিনত হয়। এ রোগ প্রতিরোধে কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।
ফাইটোফথোরা প্যারাসাইটিকা (Phytophthora parasitica) নামক ছত্রাক এর আক্রমণ হয়েছে। কম ম্যাগনেসিয়াম ও বেশি লবণাক্ত মাটিতে রোগের প্রকোপ বেশি।
অবিরত বৃষ্টিপাত হলে এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় এ রোগ বিস্তার লাভ করে।
ঘন ঘন সেচ প্রয়োগ করা থেকে
বিরত থাকতে হবে। রোগ দেখা দিলে রিডোমিল গোল্ড অথবা কমপেনিয়ন প্রতি লিটার পানিতে ২
গ্রাম হারে মিশিয়ে গাছের গোড়াসহ সব গাছে ১০ দিন পর পর ২ থেকে ৩ বার স্প্রে করতে হবে।
স্ক্লেরোসিয়াম রলৃফসি (Sclerotium rolfsii) নামক ছত্রাক এর আক্রমন হতে পারে। লতা রোপণের পূর্বে প্রতি লিটার পানিতে ২
গ্রাম হারে প্রোভেক্স বা ব্যভিস্টিন দ্বারা লতা শোধন করে নিতে হবে। বরজে
রোগ দেখা দিলে প্রোভেক্স বা ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে
মিশিয়ে গাছের গোড়ায় মাটিতে স্প্রে করতে হবে।
ফিউজারিয়াম অক্সিস্পোরাম (Fusarium oxysporum) নামক ছত্রাক এর আক্রমণ হতে পারে। গাছের গোড়ায় আক্রমণ করে। গাছের উপরের পাতা হলুদ হয়ে যায়।কাণ্ডের ভাস্কুলার টিস্যু আক্রমণ করে। গোড়ার দিকে কাণ্ড লম্বালম্বিভাবে
ফাটালে ভেতরে দাগ দেখা যায়। পরে গাছ ঢলে পড়ে। আক্রমণ বেশি হলে গাছ মরে যায়। লতা রোপণের পূর্বে প্রতি লিটার পানিতে ২
গ্রাম হারে প্রোভেক্স বা ব্যভিস্টিন দ্বারা লতা শোধন করে নিতে হবে। রোগ
দেখা দিলে প্রোভেক্স বা ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে
গাছের গোড়ায় মাটিতে স্প্রে করতে হবে।
রোগের আক্রমণ বেশি হলে কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন-এমকোজিম ২০
গ্রাম) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে ১২-১৫ দিন পর পর ২-৩ বার
ভালভাবে স্প্রে করতে হবে। ছত্রাকনাশক স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে
হবে।
আমড়ার হুটেড হোপার পোকার আক্রমণ হয়েছে কিনা লক্ষ করতে হবে। এ পোকা কচি পাতা ও কাণ্ডের রস শুষে খেয়ে গাছের ক্ষতি করে।আক্রমণ দেখা দিলে প্রতিলিটার পানিতে ২ মিলি রগর, টাফগর, সানগর বা সুমিথিয়ন ২ মিলি মিপসিন বা সপসিন মিশিয়ে স্প্রে করা। পোকার আক্রমন না থাকলে -আক্রান্ত গাছে সুষম মাত্রায় জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা এবং নিয়মিত
সেচ প্রদান করতে হবে। সময়মত প্রুনিং করে, আক্রান্ত অংশ অপসারণ করে গাছ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
রাখতে হবে। কিছুটা সুস্থ অংশসহ আক্রান্ত অংশ কেটে পুরে ফেলা এবং কর্তিত অংশে বোর্দো
মিশ্রণ বা কপার অক্সিক্লোরাইট জাতীয় ছত্রাক নাশক যেমন- কুপ্রাভিট ৭ গ্রাম /
লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। নতুন পাতা বের হলে ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম / লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে ৭-১০
দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করতে হবে।
১। ঘভীর চাষ দিতে হবে (৬ ইঞ্চি)। ৮-১০দিন পর পুনরায় চাষ দিতে হবে। ঘাসের অবশিষ্টাংশ জমি থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।২। গ্লাইফসফেট জাতীয় আগাছানাশক প্রয়োগ করেও দমন করা যেতে পারে।
তেজপাতা গাছের পাতা হলুদ হয়ে পুড়ে যাওয়াকে গ্রে লিফ স্পট (Gray Leaf spot) বা পাতা পোড়া (Leaf
blight) রোগ বলে।
দমন ব্যবস্থা:
১. রোগাক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলতে হবে।
২. আবহাওয়া যখন শুষ্ক থাকে, তখন নিয়মিত সেচ
প্রদান করতে হবে। মাটিতে পর্যাপ্ত আদ্রতা থাকলে এই রোগ কম হয়।
৩. রোগের লক্ষণ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানির সাথে ১ মিলি
প্রোপিকোনাজল (টিল্ট ২৫০ ইসি) অথবা কার্বেনডাজিম (অটোস্টিন) ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে
১০-১২ দিন পর পর ৩-৪ বার সমস্ত গাছে বিকাল বেলায় স্প্রে করতে হবে
মরিচের মাকড়ের আক্রমনে এ ধরনের লক্ষন দেখা যায়। কুকড়ানো পাতার মাঝে ছোট ছোট লাল মাকড় দেখা দিলে মাকড়নাশক যেমন ওমাইট বা তামাক পাতার নির্যাস ব্যবহার করতে পারেন।
এটি গমের আলগা ঝুল রোগ। এ রোগের আক্রমণে গমের শীষে কালো বর্ণের প্রচুর পরিমাণে পাউডারের মত বস্তু দেখা যায়। আক্রমণ বেশি হলে গমের দানাগুলো ঝড়ে যায় এবং শীষটি গমশুন্য দন্ডে পরিনত হয়। এ রোগ প্রতিরোধে কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।