দীর্ঘ খরা হলে বা শুষ্ক ও গরম হাওয়ার ফলে শারীরবৃত্তীয় কারণে অথবা মাটিতে
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও ফল ফেটে যেতে পারে । এর ব্যবস্থাপনা হল: ১. খরা মৌসুমে নিয়মিত সেচ দেওয়া ২. গুটি বাধার পরপরই ম্যাগনল ০.৫ মি.লি/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ৩. বর্ষার আগে ও পরে বছরে দুইবার গাছের বয়স অনুযায়ী সুষম সার প্রয়োগ করা। ৪. প্রতি বছর গাছ প্রতি ৫০ গ্রাম হারে ডলোচুন প্রয়োগ করা ( গাছের বয়স অনুযায়ী পরিমান বাড়াতে হবে)। ৫. পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ করা।
The fruits crack when the sun comes out after a downpour
during the wet season. It is acknowledged that this is due to high
internal pressure caused by the fruit or trees' inability to transpire
during the humid days. Pressure builds up and as a result, the fruits
crack.
Boron deficiency occurs especially in high temperature, high rainfall
and soil having high acidity that also causes cracking in mangoes from
the centre of the fruit. Apply borax @5kg/hac or 0.25% borax at 10days
interval.
নারিকেল তেলে বিদ্যমান উপাদানগুলোর ৯০%-ই সম্পৃক্ত চর্বি। মনো ও
পলি ধরনের অসম্পৃক্ত চর্বি, ভিটামিন ‘ই’ ভিটামিন’ ‘কে’ এবং আয়রন সামান্য পরিমাণে
বিদ্যমান। সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি হওয়ায় কিছুদিন আগেও এ ভুল ধারণা পোষণ করা
হতো যে, নারিকেল তেল হৃদরোগের আশংকা বাড়িয়ে তোলে। পরবর্তীতে গবেষণায় দেখা গেছে যে
নারিকেল তেল হৃৎপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকারক তো নয়ই বরং যথেষ্ট উপকারী। কারণ নারিকেল
তেলে বিদ্যমান সম্পৃক্ত চর্বির প্রায় ৫০%-ই কার্বন-১২ জাতীয় ‘লরিক এসিড’ সমৃদ্ধ।
অন্যান্য তেলের তুলনায় নারিকেল তেলে এ উপাদানটির পরিমাণ বেশি হওয়ার ফলে এর দ্বারা
হৃৎপিণ্ডের ধমনি সরু হয়ে যাওয়াজনিত সমস্যা কম হয়। উপরন্তু এটি ভালো কলস্টেরলের
(এইচডিএল) পরিমাণ বৃদ্ধি করে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য সুফল বয়ে আনে। তাছাড়া ‘লরিক
এসিড’ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও অবদান রাখে এবং রজঃনিবৃত্ত-পূর্ব সময়কালে মহিলাদের
‘লিপিড প্রোফাইল’ স্বাস্থ্য-সম্মত পর্যায়ে ধরে রাখতে সাহায্য করে যা হার্ট অ্যাটাক
হওয়ার আশংকা হ্রাস করে।
‘লরিক এসিড’ ছাড়াও নারকের তেলে আছে ‘ক্যাপরিক এসিড’, ক্যাপরিলিক এসিড’ ইত্যাদি
জীবাণুনাশক বিভিন্ন উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে মানুষের শরীর ‘লরিক এসিড’কে ‘মনোলরিন’-এ রূপান্তরিত করে ফেলে
যা ‘হারপিস, ‘ইনফ্লুয়েনজা’ এমনকি ‘এইচআইভি’-র সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের
ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দমনে কার্যকর।
নারিকেল তেল হজমশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তেলে বিদ্যমান সম্পৃক্ত চর্বির
অণুজীব এবং জীবাণুনাশক ক্ষমতা থাকায় বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া যেমন;
‘লিসটারিয়া মনোসাইটোজেনস্’, ‘হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি’ এবং ‘জিয়ারডিয়া লামব্লিয়া’
ইত্যাদির বিরুদ্ধাচরণ করে বদহজম, ‘আইবিএস’সহ পাকস্থলী এবং পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন
ধরনের অসুস্থতা দূর করতে সাহায্য করে। ‘ইস্ট’-এর অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধিজনিত রোগ
‘ক্যানডিডায়াসিস’ রোধেও এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে। রক্তের মধ্যস্থ শর্করার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
সহায়তা করে। তেলটি থাইরয়েডসহ অন্যান্য হরমোন নিঃসরণ তন্ত্রগুলোর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
করে এবং সহজপাচ্য হওয়ায় সরাসরি যকৃতে প্রবেশ করে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তির যোগান
দিতে পারে। কিডনি এবং পিত্তথলির অসুস্থতা নিয়ন্ত্রণেও এটি সাহায্য করে। তেলটি শরীর
কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, উপকারী খনিজ এবং পুষ্টি উপাদান শোষণে সাহায্য করে।
এগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়
হওয়ায় তেলটি হাড়ের জন্যও উপকারী।
গবেষণায় দেখা গেছে নারিকেল তেলে বিদ্যমান স্বল্প এবং মধ্যম শৃংখলবিশিষ্ট ফ্যাটি
এসিড শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এবং মহিলাদের পেটের মেদ কমতে সাহায্য করে।
তদুপরি এটি অগ্নাশয়ের উপরস্থ চাপ কমিয়ে এনে শরীরের বিপাকীয় হার বৃদ্ধি করে শক্তি
পোড়ানোর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং স্থূলতা রোধে সাহায্য করে। এই কারণেই
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের মধ্যে স্থূলতার প্রবণতা
কম হতে দেখা যায়।
নারিকেল তেল উৎকৃষ্ট অঙ্গসংবাহনকারক (ম্যাসাজ বা মালিশ প্রক্রিয়া) এবং শুষ্ক
ত্বকসহ যে কোনো ধরনের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার উপযোগী একটি উপাদান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টজাতীয়
বৈশিষ্ট্যের কারণে কোনো ধরনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ছাড়াই এটি ত্বকের শুষ্কতা রোধ
করে এবং ত্বকের বার্ধক্যজণিত কুঞ্চন ও ঝুলে পড়া বিলম্বিত করতে সাহায্য করে। ত্বকের
প্রদাহজনিত সমস্যা, সোরিয়াসিস এবং একজিমার ক্ষেত্রেও এটি উপকারী।
নারিকেল তেল চুলে আমিষের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া রোধে কার্যকর। এটি চুলের শুষ্কতা দূর
করতে, খুসকিমুক্ত রাখতে, নতুন চুল গজাতে এবং চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে
সাহায্য করে। তেলটির স্নিগ্ধতাজনিত বৈশিষ্ট্য মানসিক চাপ প্রশমনে ভূমিকা রাখে।
মাথার তালুতে আস্তে আস্তে মালিশ করলে অবসন্নতা অনেকটাই লাঘব হয়।
সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি আস্তে আস্তে জারিত হয় এবং ২৪ ডিগ্রি
সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত পচন ছাড়া সংরক্ষণ করা যায়। প্রতিদিন
১ থেকে ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত বলে গণ্য করা হয়
পচা গোবর ৮০কেজি,ইউরিয়া
৮৫০ গ্রাম ,টিএসপি
১৮৭৫ গ্রাম,
এমওপি ১৩০০ গ্রাম, জিপসাম
৩০০ গ্রাম,
দস্তা ৬০ গ্রাম, বোরন
৩০ গ্রাম.উল্লিখিত সারগুলি দুই কিস্তিতে, প্রথমবার শতকরা ৭৫ ভাগ সেপ্টেম্বর-
অক্টোবরএবং দ্বিতীয়বার শতকরা ২৫ ভাগ এপ্রিল-মে মাসে প্রয়োগ করতে হবে। গাছের
গোড়ার চতুর্পাশের মাটি কোদাল দিয়ে সামান্য কুপিয়ে অতঃপর সার ছিটিয়ে
ভালভাবেমাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
প্রতিকারঃ ফল বৃদ্ধির সময়ে নিয়মিত সেচ দেওয়া। প্রতি
মুকুলে আমের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ফুল ফোটার ১০ ও ২০ দিন পর দু’বার দশ লিটার
পানিতে ৬ গ্রাম হারে বোরিক এসিড স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। সমস্ত ফুল
ফোটা অবস্থায় জিবরেলিক এসিড প্রতি লিটার পানিতে ৫০ মিলিগ্রাম হারে স্প্রে
করলে আমের গুটি ঝরা কমানো যায়। আমের রোগ ও পোকার আক্রমণ থেকে আমের গুটি
রক্ষা করতে গুটির আকার মটর দানার মত হলে একটি কীটনাশক
(রিপকর্ড/সিমবুস/ক্যারেটে এক লিটার পানিতে ১ মিলি. হারে) ও একটি ছত্রাকনাশক
(ডায়থেন এম ৪৫/ইনডোফিল এম ৪৫ এক লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে) একত্রে মিশিয়ে
স্প্রে করতে হবে। এছাড়াও আমের গুটি মটর দানার আকার হলে প্রতি লিটার পানিতে
২০ গ্রাম ইউরিয়া সার মিশিয়ে স্প্রে করলে গুটি ঝরা কমানো যায়।
উন্নতমানসম্পন্ন ও উজ্বল পাটের আঁশ ঘরে তোলার কৌশলসমূহ।
সঠিকভাবে জাগ দেওয়ার পদ্ধতি:
ভালমানের আঁশ উৎপাদনের জন্য পাট গাছে ফুলের কুড়ি আসা মাত্রই পাট কাটতে
হবে। কাটার পর চিকন ও মোটা পাট গাছ আলাদা করে আঁটি বেধে পাতা ঝড়িয়ে গাছের
গোড়া ৩ থেকে ৪ দিন এক ফুট পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। পরে পরিস্কার পানিতে
জাক দিতে হবে।
জাক দেয়ার জন্য খুব গভীর পানির দরকার নেই।
মাঠে ঘাসের উপর এক ফুট থেকে দেড় ফুট পানি থাকলে সেখানেও জাক দেয়া যায়। তবে
পাট গাছের সংখ্যা বা পরিমাণ অধিক হলে আরও গভীর পানির দরকার হয় যাতে জাক
ডুবতে পারে।
মাঠে ঘাস থাকলে পাট গাছগুলো মাটির
সংস্পর্শে আসে না, ফলে পাটের রং ভাল থাকে। ঘাস না থাকলে কিছু খড় বিছিয়ে তার
উপরও জাক দেয়া যায়। জাকের উপর কচুরী পানা বা খড় বিছিয়ে দিলে খুব ভাল হয়,
তবে কখনই সরাসরি মাটি দিয়ে চাপা দেওয়া যাবে না।
জাক দেয়ার পর নিয়মিত গাছ পরীক্ষা করে
দেখতে হয় যাতে বেশি পঁচে না যায়। আঁশ মাটিতে বসিয়ে না নিয়ে পানিতে ভাসিয়ে
নেয়া ভাল। কেননা তাতে আঁশে মাটি, কাঁকর থাকার সম্ভাবনা কমে যায়। এরপর
পরিস্কার পানিতে ধোয়া দরকার।
পানির অভাব হলে কি করতে হবে: পানির অভাব দেখা দিলে অথবা জাক দেয়ার জায়গা না থাকলে পাট গাছ না পঁচিয়ে পাট গাছের ছাল পঁচানো যায় এবং এতে পঁচন তাড়াতাড়ি শেষ হয়।
এ জন্য বাঁশের খুটির মাথায় ইংরেজি অক্ষর ইউ এর মত করে কেটে তার মাঝে পাট গাছ রেখে অতি সহজে গাছ থেকে ছাল ছড়ানো সম্ভব।
এরপর চাড়িতে বা চারকোণা গর্ত করে পাটের
ছাল জাক দেয়া যায়। পঁচানোর সময় পঁচন পানিতে যদি ছালের ওজনের আনুমানিক ৩৭
কেজি ওজনের জন্য ৫ গ্রাম ইউরিয়া সার মিশিয়ে দেয়া যায় তবে পঁচন আরো তাড়াতাড়ি
হয়।
গোড়ার দিকের কালো অংশ বা কাটিংস দূর করার উপায়:
সঠিক পদ্ধতিতে পাট না পঁচানোর জন্য অথবা পঁচন পানির অভাবজনিত কারণে পাট
আঁশ ছালযুক্ত ও নীচু মানের হলে পাট আঁশের ওজন প্রতি ৩৭ কেজিতে ৫ গ্রাম
ইউরিয়া পানিতে মিশিয়ে আঁশের গোড়ায় ছালযুক্ত স্থানে ছিটিয়ে দিয়ে এক সপ্তাহ
পলিথিন বা ছালা দিয়ে ঢেকে রেখে গোড়ার দিকটা পুনরায় ধুয়ে নিলেই আঁশ ছালমুক্ত
হয় এবং আঁশের মানও ভাল হয়।
ধোয়া আঁশ কখনই মাটির উপর বিছিয়ে শুকাতে
নেই। বাঁশের আড়, রেলিং, ঘরের চাল ইত্যাদিতে বিছিয়ে শুকানো ভাল। মনে রাখবেন
উন্নতমানের আঁশের দাম সর্বোচ্চ এবং সব সময় এর গ্রাহক থাকে। পক্ষান্তরে
নিম্নমানের অতিরিক্ত পঁচানো, কম পঁচানো, রঙ জলা, কালচে, বাকল, কাঠি লেগে
থাকা আঁশের বাজার মূল্য সব সময়ই কম হয়ে থাকে।
উজ্জ্বল বর্ণের পাট পেতে:
ইতোমধ্যে পাট পচে গেলে তা আঁশ ছাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাটের আঁশ
ছাড়িয়ে ভালো করে ধোয়ার পর ৪০ লিটার পানিতে এককেজি তেঁতুল গুলে তাতে আঁশ
৫-১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে, এতে উজ্জ্বল বর্ণের পাট পাওয়া যায়।
যেসব জায়গায় জাগ দেয়ার পানির অভাব সেখানে
রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচাতে পারেন। এতে আঁশের মান ভালো হয় এবং পচন সময়
কমে যায়। তবে মনে রাখতে হবে পাট কাটার সঙ্গে সঙ্গে ছালকরণ করতে হবে, তা না
হলে পরবর্তীতে রৌদ্রে পাটগাছ শুকিয়ে গেলে ছালকরণে সমস্যা হবে।
বন্যার কারণে অনেক সময় সরাসরি পাটগাছ থেকে
বীজ উৎপাদন সম্ভব হয় না। তাই পাটের ডগা বা কা- কেটে উঁচু জায়গায় লাগিয়ে তা
থেকে খুব সহজেই বীজ উৎপাদন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
দীর্ঘ খরা হলে বা শুষ্ক ও গরম হাওয়ার ফলে শারীরবৃত্তীয় কারণে অথবা মাটিতে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও ফল ফেটে যেতে পারে । এর ব্যবস্থাপনা হল: ১. খরা মৌসুমে নিয়মিত সেচ দেওয়া ২. গুটি বাধার পরপরই ম্যাগনল ০.৫ মি.লি/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা ৩. বর্ষার আগে ও পরে বছরে দুইবার গাছের বয়স অনুযায়ী সুষম সার প্রয়োগ করা। ৪. প্রতি বছর গাছ প্রতি ৫০ গ্রাম হারে ডলোচুন প্রয়োগ করা ( গাছের বয়স অনুযায়ী পরিমান বাড়াতে হবে)। ৫. পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ করা।