সকল প্রশ্ন

মোট প্রশ্ন ৮৬২ টি | পৃষ্ঠা নং ১৭ | সর্বমোট পাতা ৮৭

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    ব্রি লবনাক্ততা সহনশীল বোরো মৌসুমের জন্য ব্রি ধান৪৭, ব্রি ধান৬১ এবং ব্রি ধান৬৭ আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে যা চারা অবস্থায় ১২-১৪ ডিএস/মি. এবং সম্পূর্ণ জীবনচক্রে ৬-৮ ডিএস/মি. লবণাক্ততা সহনশীল। তাছাড়া, ব্রি ধান৪০, ব্রি ধান৪১, ব্রি ধান৫৩, ব্রি ধান৫৪ এবং ব্রি ধান৭৩ এই জাতগুলো আমন মৌসুমে প্রজনন পর্যায়ে ৮ ডিএস/মি. লবণাক্ততা সহনশীল।

উত্তর সমূহ

  1. তিলোক কুমার ঘোষ, উপজেলা কৃষি অফিসার, নগরকান্দা, ফরিদপুর

    ১। এ ধরনের ফলের পুষ্টি গুন ও উপকারিতা  নিয়ে জোড়দার প্রচার করতে হবে।২। বাজারে আলাদা কর্নার রাখা যেখানে এ ধরনের ফলের উপযুক্ত বাজার ও দাম নিশ্চিত করা যায়। ৩। বর্তমানে যাদের এ ধরনের ফলের গাছ রয়েছে তাদের বাজারজাত করন ও আরও এ ধরনের গাছ রোপনে উৎসাহিত করা।৪। ভাল জাতের চারা সহজ  প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা ও নতুন বাগান করা।৫। উপযুক্ত প্যাকেজিং এর মাধ্যমে দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি করা।       

উত্তর সমূহ

  1. মোঃ মাশরেফুল আলম, অতিরিক্ত পরিচালক, জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ

    জাব পোকা এক প্রকার হানি ডিউ নিঃসরণ করে । এই হানির জন্যই সেখানে পিঁপড়ার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় । এক সময় আক্রান্ত পাতা কালো হয়ে যায় সেটাও এই হানি ডিউ এর কারণ । 

উত্তর সমূহ

  1. মোঃ মাশরেফুল আলম, অতিরিক্ত পরিচালক, জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ

    এনথ্রাকনোজ : এই রোগের আক্রমণে গাছের কচি পাতা, কাণ্ড, কুঁড়ি, মুকুল ও ফলে দেখা যায়। পাতায় অসমান আকৃতির ধূসর বাদামি বা কালচে রঙের দাগ পড়ে। পাশাপাশি কয়েকটি দাগ একত্রিত হয়ে বড় দাগের সৃষ্টি করে। বেশি আক্রান্ত হলে পাতা ঝরে পড়ে। আমের মুকুল বা ফুল আক্রান্ত হলে কালো দাগ দেখা দেয়। ফুল আক্রান্ত হলে তা মারা যায় এবং ঝরে পড়ে। মুকুল আক্রান্ত হলে ফলধারণ ব্যাহত হয়। আম ছোট অবস্থায় আক্রান্ত হলে আমের গায়ে কালো দাগ দেখা দেয়। আক্রান্ত ছোট আম ঝরে পড়ে। বাড়ন্ত আমে রোগের জীবাণু আক্রমণ হলে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। পাকা আমে ধূসর বাদামি বা কালো দাগের সৃষ্টি করে। গুদামের আবহাওয়া অনুকূল হলে রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করতে পারে। আম বড় হওয়ার সময় ঘন ঘন বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করলে আমে আক্রমণ বেশি দেখা যায়।প্রতিকার : রোগাক্রান্ত বা মরা ডালপালা ছাঁটাই করে পুড়ে ফেলতে হবে। গাছের রোগাক্রান্ত ঝরা পাতা ও ঝরে পড়া আম সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে, প্রয়োজনে মাটির নিচে পুঁতে দিতে হবে। মুকুলে রোগের আক্রমণ প্রতিহত করতে হলে মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। মুকুল ১০-১৫ সেমি. লম্বা হলে প্রথম স্প্র্রে শেষ করতে হবে। আম মটর দানার মতো হলে দ্বিতীয় বার স্প্রে করতে হবে। কীটনাশকের এবং ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একত্রে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। বাড়ন্ত আমকে রোগমুক্ত রাখতে হলে আম সংগ্রহের ১৫ দিন আগ পর্যন্ত মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক বা একরোবেট এম জেড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে বা ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে ১৫ দিনের ব্যবধানে ৩/৪ বার স্প্রে করতে হবে।গাছ থেকে আম পাড়ার পরপরই গরম পানিতে (৫৫০ সে. তাপমাত্রায় ৫ মিনিট) ডুবিয়ে রাখার পর শুকিয়ে অর্থাৎ গরম পানিতে শোধন করে গুদামজাত করতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সাবাব ফারহান, অতিরিক্ত পরিচালক, রুমা, বান্দরবান

    অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে যেখানে জলাবদ্ধতার কারণে পাট, ধৈঞ্চা ও ডিপ ওয়াটার আমন ফসল ছাড়া স্বাভাবিকভাবে কোন ফসল আবাদ করা সম্ভব হয়না সেখানে বিভিন্ন মাপের উচু বেড বাধ তৈরি করে নিয়ে তাতে ফল চাষ উপযোগী করা হয়। দুটি বেডের মাঝের মাটি খুড়ে বেডের দুই ধারে উঠিয়ে দিয়ে বেডগুলোকে সরেজমিন থেকে উচু করে নিয়ে বেড বাধ ও নালা পদ্ধতির মাধ্যমে ফল সবজি আবাদ করার এ পদ্ধতি সর্জান পদ্ধতি নামে পরিচিত।