Insect pheromone trapsPheromone traps are often used to catch certain species of insects (mostly stored product insects), and in these traps a pheromone attractant is used to lure insects. Once attracted, a sticky board or catching bucket captures the insect.
রোগের লক্ষণ : প্রথমে পাতার অগ্রভাগ বা কিনারায় নীলাভ পানিচোষা দাগ দেখা যায়। দাগগুলো আস্তে আস্তে হালকা হলুদ রঙ ধারণ করে পাতার অগ্রভাগ থেকে নিচের দিকে বাড়তে থাকে। শেষের দিকে আংশিক বা সম্পূর্ণ পাতা ঝলসে যায় এবং ধূসর বা শুকনো খড়ের রঙ ধারণ করে। ফলে গাছটি প্রথমে নেতিয়ে পড়ে ও আস্তে আস্তে পুরো গাছটি মরে যায়। চারা ও কুশি অবস্থায় সাধারণত ক্রিসেক লক্ষণ প্রকাশ পায়। এ রোগের ফলে গাছটি প্রথমে নেতিয়ে পড়ে ও আস্তে আস্তে পুরো গাছটি মরে যায়। অনেক সময় এ রোগের লক্ষণের অগ্রভাগ দিয়ে ব্যাকটিরিয়ার কোষগুলো বেরিয়ে আসে এবং কোষগুলো একত্রে মিলিত হয়ে ভোরের দিকে হলদে পুঁতির দানার মতো গুটিকা সৃষ্টি করে এবং এগুলো শুকিয়ে শক্ত হয়ে পাতার গায়ে লেগে থাকে। পরবর্তীকালে পাতার গায়ে লেগে থাকা জলকণা গুটিকাগুলোকে গলিয়ে ফেলে, ফলে এ রোগের জীবাণু অনায়াসে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত গাছের কা- ছিড়ে চাপ দিলে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজের মতো তরল পদার্থ বের হয়। রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য বেশি (৮-১০ ডিগ্রি সে.) হলে কচি পাতায় ফ্যাকাশে হলুদ বর্ণের লক্ষণটি প্রকাশ পায়।রোগের প্রতিকাররোগ প্রতিরোধী জাত চাষ করতে হবে। রোগাক্রান্ত জমির ধান কাটার পর নাড়া ও খড় পুড়িয়ে ফেলতে হবে। চারা উঠানোর সময় যেন শিকড় কম ছিড়ে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা। সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার ও ইউরিয়া সার ৩/৪ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। কিন্তু রোগ দেখার পর ইউরিয়া সার উপরিপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। ক্রিসেক আক্রান্ত জমি শুকিয়ে ৫-১০ দিন পর আবার পানি দিতে হবে। রোগ দেখার পর বিঘাপ্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি পটাশ সার ছিপছিপে পানিতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে চিলিটেড জিংক স্প্রে করলে রোগের তীব্রতা কমে যায়।
হার্ডেনিং করা হয় চারা বীজতলা থেকে মূল জমিতে স্থানান্তরের সময়। প্রথমে চারা বীজতলা থেকে তুলে ছায়াস্থানে রেখে এবং মাঝেমাঝে রোদে উন্মুক্ত করে গাছের চারাটিকে পরিবেশের সাথে খাপখাইয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
মাজরা পোকা ধান ফসলের কান্ডের অভ্যন্তরে ভক্ষণকারী একটি ক্ষতিকর পোকা।
মাজরা পোকার কীড়া গাছের কান্ডের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে ও ভিতর থেকে কান্ডকে
কুড়ে কুড়ে খায়। অনেকের ধারণা কান্ডের মাইজ বা মধ্যখানে বা মধ্যে আক্রমন করে
বিধায় এর নাম মাজরা পোকা রাখা হয়েছে। মাজরা পোকার আক্রমণে সাধারণতঃ ১৩
থেকে ২৬ ভাগ ফলন কম হতে পারে। ব্যাপক আক্রমণ হলে ৩০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত
ফলনের ঘাটতি হতে পারে। বাংলাদেশে ধান ফসলের জন্য ক্ষতিকর তিনটি প্রজাতির
মাজরার পোকা আছে। এগুলো হলো হলুদ মাজরা, কালমাথা মাজরা এবং গোলাপী মাজরা
পোকা । এছাড়াও সাদা প্রজাতির মাজরা ইদানিং পাওয়া যাচ্ছে। পৃথিবীব্যাপী
প্রায় ৫০ প্রকারের মাজরা পোকা পাওয়া যায়। তবে হলুদ মাজরা পোকা ধান ফসলের
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে।মাজরা পোকার দমন ব্যবস্থাপনাঃমাজরা
পোকা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পোকার স্তরভিত্তিক ব্যবস্থাপনা নিলে খুব সহজেই
ইহা দমন করা যায়। শুরুতেই পুর্ণাঙ্গ মাজরা পোকা দমনে পার্চিং বা ডাল পুতে
পাখি বসার বন্দোবস্ত করে পোকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। হাতজাল ও
আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে মাজরা পোকার মথ দমন করা যায়। এতে করে পরবর্তী
পর্যায়গুলো স্বাভাবিকভাবেই মোকাবিলা করা সহজ হয়। মাজরা পোকার ডিম নষ্ট করার
ক্ষেত্রে ধানের পাতা ক্লিপিং বা কেটে নেয়া, ব্যাম্বো বুস্টার ব্যবহার করা,
পলি ব্যাগ রেয়ারিংসহ হাতে ও পায়ে পিষে ডিমগুলো নষ্ট করা যেতে পারে। মাজরা
পোকার সবচেয়ে ক্ষতিকর স্তুর কীড়া বা লার্ভা দমন করার জন্য সরাসরি কোন
পদ্ধতি ব্যবহার করার উপায় নেই। কারণ লার্ভা বা কীড়াগুলো কুশির ভিতরে থাকে।
যা সহজে দেখা যায়না তবে আক্রান্ত কুশি এবং গোছা তুলে ফেলতে হবে। মাজরা
পোকার পিউপা বা পুত্তলী অবস্থায় ধ্বংস করার জন্য ধান কাটার পর জমিতে থাকা
নাড়া পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তবে বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে, ধান কাটার সময় গোড়া
থেকে কেটে তুলে নেয়া। জমি চাষের সময় খুব ভালোভাবে মাটি চাষ করতে হবে।
সমকালীন চাষাবাদ পোকা মাকড় ও রোগ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। মাজরার ডিমযুক্ত চারা বা আক্রান্ত চারা রোপন না করা। চারার অভাব হলে
তবেই কেবল আক্রান্ত চারার মাথা কেটে ধ্বংস করতে পারেন।পোকা ও রোগ
প্রতিরোধী জাতের ব্যবহার করতে হবে। আগাম ও স্বল্প জীবনকালের ধান যেমন ব্রি
ধান৩২, ব্রি ধান৫৬, ব্রি ধান৬২ সহ বিনা ৭ ধান চাষ করতে পারেন। অতিরিক্ত
নাইট্রোজেন সার ব্যবহার পরিহার করতে হবে। এক্ষেত্রে সুষম সার ব্যবহার করতে
হবে। প্রাকৃতিকভাবেও মাজরা পোকা ধ্বংস করা যায়। লেডি বার্ড বিটল,
মিরিড বাগ, লম্বাশুড় উড়চুঙ্গা, লম্বাশুড় ঘাসফড়িং, মিরিড বাগ এসব পোকা মাজরা
পোকার ডিম খায়। এয়ার উইগ, ক্যারাবিড বিটল, মাইক্রোভেলিয়া, মেসোভেলিয়া,
ওয়াটার স্ট্রাইডার, ওয়াটার বোটম্যান, বিভিন্ন জাতের মাকড়সা যথা নেকড়ে
মাকড়সা, লিনক্স, লম্বামুখী ও অর্ব মাকড়সা মাজরা পোকার কীড়া খায়। প্রেয়িং
মেনটিড, পাখি, মাছ, ব্যাঙ, ড্যামসেল ফ্লাই, ড্রাগন ফ্লাই এসব প্রাণীরা
মাজরা পোকার মথ খেয়ে থাকে। পাখি মাজরা পোকার পুত্তলী খায়। তাছাড়া
কিছু পরজীবী পোকা রয়েছে যথা ট্রাইকোগ্রামা, টেলিনোমাস, টেট্রাটিকাস এসব
মাজরা পোকার ডিমকে আক্রান্ত করে নষ্ট করে। ক্যারপস, কোটেশিয়া এসব মাজরা
পোকার কীড়াকে বিষাক্ত করে মেরে ফেলে। জ্যান্থোপিমলা, টেমিলোসা,
স্টেনোব্রাকন এসব মাজরা পোকার পুত্তলীকে নষ্ট করে। এ ব্যাপারে কৃষক ভাইয়েরা
আপনারা সরাসরি পরজীবি পোকার কোন ব্যবস্থা নিতে না পারলেও বালাইনাশক
ব্যবহারে সচেতন হলে এসব পরজীবি প্রাণীকুল বেঁচে থেকে সহজেই উপকারে আসতে
পারে। আপনার ধান ক্ষেতে কুশি অবস্থায় যদি ১০ থেকে ১৫% কুশি
ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মরাডিগ এবং থোড়ের পর থেকে শিষ বের হওয়া পর্যন্ত সময়ে ৫%
কুশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় কেবলমাত্র তখনি কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু
মাজরা পোকার কীড়া গাছের কান্ডের ভিতরে অবস্থান করে তাই সিস্টেমিক জাতীয়
বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে। কীটনাশক হিসেবে কার্বোফুরান, এসিফেট,
কার্বোসালফান, কারটাপ এসব গ্রুপের বালাইনাশক ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া
ইদানিং থায়ামেথোস্কেম ও ক্লোরানিলিপ্রল গ্রুপের কীটনাশক পরিমিত মাত্রায়,
সঠিক সময়ে এবং সঠিক নিয়মে ব্যবহার করে কৃষকরা ভালো উপকৃত হচ্ছে।
মাছি পোকা কুমড়া ফসলের খুব ক্ষতিকর পোকা। এ পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ খুব ভালো কাজ করে । প্রতি ৪-৫ শতকে একটি ফেরোমন ফাঁদ যথেষ্ঠ । তবে ফেরোমন ফাঁদ এর পানি নিয়মিত বদল করতে হবে।মৃত পোকা পরিস্কার করতে হবে। একটা ফেরোমন লিউর ২ মাস কাজ করে। ফেরোমন ফাঁদ গাছের ক্যানপি লেভেল হতে ১ ফিট উপরে বাশের খুটি দিয়ে বাধতে হবে। সব কুমড়া ফসলের মাছি পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা যায়।
অতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতির কারন হততে পারে।