গলমাছি বা নলিমাছি এ পোকার আক্রামণের ফলে ধান গাছের মাঝখানের পাতাটা পিঁয়াজ পাতার মত নলাকার হয়ে যায়। এ জন্য এ পোকার ক্ষতির নমুনাকে ‘পিঁয়াজ পাতা গল’ বা ‘নল’ বলা হয়ে থাকে। এ গলের বা নলের প্রথমাবস্থায় রং হালকা উজ্জ¦ল সাদা বলে একে ‘সিলভার শুট’ বা ‘রূপালী পাতা’ বলা হয়। পেঁয়াজ পাতা গল বড় বা ছোট হতে পারে। ছোট হলে সনাক্ত করতে অনেক সময় অসুবিধা হয়। গল হলে সে গাছে আর শীষ বের হয় না। তবে গাছে কাইচ থোড় এসে গেলে গলমাছি আর গল সৃষ্টি করতে পারেনা।
দমন ব্যবস্থাপনা# আলোক ফাঁদের সাহায্যে পূর্ণবয়স্ক গলমাছি ধরে ধ্বংস করা।# শতকরা ৫ ভাগ পিঁয়াজ পাতার মতো হয়ে গেলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা।
ফসল : পেয়ারা
পোকার নাম : পেয়ারার মিলিবাগ/ছাতরা পোকা
পোকার স্থানীয় নাম : : ছাতরা পোকা
পোকা চেনার উপায় : দুধের মত সাদা বর্ণের এবং মোম জাতীয় পাউডার দ্বারা নরম দেহ আবৃত থাকে।
ক্ষতির ধরণ : এরা কচি ফল,
পাতা ও ডালের রস চুষে নেয়, ফলে গাছ দুর্বল হয়। পোকার আক্রমণে পাতা, ফল ও
ডালে সাদা সাদা তুলার মত দেখা যায়। অনেক সময় পিঁপড়া দেখা যায়। এর আক্রমণে
অনেক সময় পাতা ঝরে যায় এবং ডাল মরে যায়।
আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, চারা, পূর্ণ বয়স্ক
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কাণ্ড , পাতা , ডগা
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : লার্ভা , পূর্ণ বয়স্ক
ব্যবস্থাপনা : আক্রমণ বেশি হলে
ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার /
২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর
২/৩ বার। কীটনাশক স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অন্যান্য : সাবানযুক্ত পানি স্প্রে করা যায়
অথবা আধাভাঙ্গা নিমবীজের পানি (১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম নিমবীজ ভেঙ্গে ১২
ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিতে হবে) আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার
স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও তামাকের গুড়া (১০গ্রাম),
সাবানের গুঁড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে
ব্যবহার করা যায়। আক্রান্ত অংশ পোকাসহ তুলে ধ্বংস করতে হবে। খুব জোরে পানি
স্প্রে করেও প্রাথমিক অবস্থায় এ পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
লক্ষণঃ
পামকিন বিটলের পূর্ণবয়স্ক পোকা চারা গাছের
পাতায় ফুটো করে এবং পাতার কিনারা থেকে খাওয়া শুরু করে সম্পূর্ণ পাতা খেয়ে
ফেলে। এ পোকা ফুল ও কচি ফলেও আক্রমণ করে।
ব্যবস্থাপনাঃ
১। চারা আক্রান্ত হলে হাত দিয়ে পূর্ণবয়স্ক
পোকা ধরে মেরে হাত দিয়ে মেরে ফেলা ।
২ । ক্ষেত সব সময় পরিষ্কার রাখা ।
৩ ।কেরোসিন মিশ্রিত ছাই গাছে ছিটানো ।
৪ । ক্ষেতের আশপাশের বিকল্প পোষক অর্থাৎ কুমড়াজাতীয় সবজি নষ্ট করা ।
৫। গাছের গোড়ার মাটি কুপিয়ে কিড়া উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং ডাল পুঁতে পাখি
বসার জায়গা করে দেওয়া ।
৬ । চারা বের হওয়ার পর থেকে ২০-২৫ দিন পর্যন্ত মশারির জাল দিয়ে চারাগুলো
ঢেকে রাখলে এ পোকার আক্রমণ থেকে গাছ বেঁচে যায় ।
৭। এক কেজি মেহগনি বীজ কুচি করে কেটে ৫ লিটার পানিতে ৪-৫ দিন ভিজিয়ে রাখতে
হবে। এরপর ছেঁকে ২০ গ্রাম সাবান গুঁড়া এবং ৫ গ্রাম সোহাগা মিশিয়ে ২০ মিনিটে
ফুটিয়ে ঠাণ্ডা হলে ৫ গুণ পানি মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
1. maintain well drainage system2. prepare floating seedbed after rain.3.prepare floating bed to raise vegetable .4. after flood prepare the land for early robi crop cultivation.
সাধারণত জুন মাসের চেয়ে জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত বেশি হয়। ফলে ছত্রাক রোগে ফল
আক্রান্ত হয়ে বেশি পরিমাণে পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কাজেই মাসের প্রথম
সপ্তাহে আমগাছে ডায়থেন এম-৪৫, ২ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা
উচিত। যদি পাতায় রেড রাস্ট থাকে তবে রোগের লক্ষণ দেখে প্রতি ১৫ দিন পর পর
কপার অক্সিক্লোরাইড (০.২%), কুপ্রাভিট (০.২%) বা বর্দোমিশ্রণ (১%) স্প্রে
করলে তা দমন হয়ে যাবে। অতিরিক্ত বর্ষার কারণে যদি জুন মাসে গাছে সার প্রয়োগ
করা না হয়ে থাকে তবে আম পাড়ার পর এ মাসেও সার দেয়া যাবে। আম পাকার সময় আর্দ্রতা বেশি থাকলে ফ্রুট+ফ্লাইয়ের উপদ্রব বেড়ে যায়। কাজেই এ
সময় আমগাছে ফ্রুট ফ্লাই বা ফলের মাছি পোকা দেখা যায়। আম মাছি পোকা দ্বারা
আক্রান্ত হয়ে পচে গাছ থেকে মাটিতে পড়ে যায়। মাটিতে পড়া আম সংগ্রহ করে গর্ত
খুঁড়ে পুঁতে ফেলা উচিত। তাছাড়া মাছি পোকা দমনের জন্য বিষটোপ ব্যবহার করা
অথবা ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়েও দমন করা যায়। আর যদি গায়ে কালো দাগ দেখা দেয়
তবে সুমিথিয়ন-৫০ ইসি ২ মিলি. হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছের ডাল-পালা ও আম ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
রোগের নাম : পাতা পোড়া রোগরোগের কারণ : ছত্রাকক্ষতির ধরণ : আক্রান্ত পাতায় চোখের মতো হলদে থেকে বাদামী রঙের ছোট ছোট দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে একাধিক দাগ একত্রিত হয়ে বড় দাগ হয় পাতায় ছড়িয়ে পড়ে এবং পাতা পুড়ে যাওয়ার মত হয় ।ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায়ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতাব্যবস্থাপনা :রোগের আক্রমণ বেশি হলে টেবুকোনাজল+ট্রাইফ্লক্সিস্ট্রবিন জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন ৫ গ্রাম নাটিভো) অথবা প্রোপিকোনাজল জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন টিল্ট ৫ মিলি/ ১ মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ফসল : পেয়ারা
পোকার নাম : পেয়ারার মাছি পোকা
পোকার স্থানীয় নাম : : পেয়ারার মাছি পোকা
পোকা চেনার উপায় : লালচে বাদামি
মাছির ঘাড়ে হলুদ দাগযুক্ত রেখা আছে। পাখা স্বচ্ছ। পাখার নিচের দিকের
কিনারায় কালো দাগ আছে। পেট মোটা, স্ত্রী মাছির পেছনে সরু ও চোখা ডিম পাড়ার
সুঁইয়ের মতো নল আছে। ডিম সাদা নলের মতো এবং এক দিকে বাঁকা।
ক্ষতির ধরণ : ক্রীড়া ছিদ্র করে ফলের ভিতরে ঢুকে ফলের মাংসল অংশ খেতে থাকে এবং ফল ভেতরে পচে যায়।
আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, ফলের বাড়ন্ত পর্যায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : সব
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : কীড়া
ব্যবস্থাপনা : মাছি পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য সহজ উপায় হল ফলন্ত গাছে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ঝুলানো। পোকা
দমনের জন্য ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক ( যেমন সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন ২০
মিলিলিটার) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার ভালভাবে
স্প্রে করুন।কীটনাশক স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বন্ধ্যা বা বোবা নারিকেল
অনেক সময় নারিকেলে শাঁস বা পানি থাকে না এ সকল নারিকেল হলো বন্ধ্যা বা
বোবা নারিকেল
অসম্পূর্ণ পরাগায়ন বা গর্ভধারণ গাছে পুষ্টির অভাব হলে মাটিতে পটাশিয়াম ও বোরনের ঘাটতিতে এ সমস্যা হয়।করনীয়:১. প্রতি গাছে ২ ডালি পঁচা গোবর/জৈব সার, ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০ গ্রাম টি.
এস. পি, ৩০০ গ্রাম এম ও পি, এবং ৫০ গ্রাম বোরন সার গাছের গোড়া থেকে ১ হাত
দূরত্বে গোল করে প্রয়োগ করতে হবে।
পেঁপে গাছে বোরনের অভাবে ফলের আকার বিকৃতি হয়। পরাগায়নের ত্রুটির
কারণে পেঁপে ফলধারণে অসুবিধা ও আকারে বিকৃতি দেখা যেতে পারে। ছোট ফলে আকারে বিকৃতি দেখা গেলে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলিলিটার
হারে লিবরেল বোরন অথবা ২.৫ গ্রাম হারে বোরিক এসিড পাউডার মিশিয়ে ৭ দিন পর
পর দুইবার স্প্রে করতে হবে। এছাড়া প্রতি লিটার পানিতে ১ ফোঁটা লিটোসেন
নামক জৈবউজ্জীবক মিশিয়ে ২১ দিন পরপর ২ থেকে ৩ বার স্প্রে করতে হবে।
মিয়াজাকি আম এর চারা এখনো বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছেনা। জাপানী এই আম নোয়াল ফার্মবাজারজাত করছে।