প্রতিকার ব্যবস্থা পরিচর্যা আক্রান্ত গাছ ও পাতা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে দিতে হবে, পরিস্কার পরিছন্ন চাষবাস জরুরী।যান্ত্রিক একর প্রতি ১-২ টি আলোক ফাঁদ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ পোকার মথ আকৃষ্ট করতে হবে এবং সংগ্রহ করে মেরে ফেলা হয়ে থাকে।রাসায়নিক নোভালিউরণ ১০ % ই. সি. @ ১ মিলি /লিটার বা ডাইফ্লুবেঞ্জইউরন ২৫ % ডবলু্. পি @ ১ গ্রাম / ২ লিটার বা কার্বারিল ৫০% ডবলু্. পি ২.৫ গ্রাম /লিটার বা ম্যালাথিয়ন ৫০ % ই.সি @ ২ মিলি /লিটার জলে গুলে স্প্রে করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
1. Land should be properly leveled to prevent accumulation of water in the low-lying patches with shallow ground water tables.2. Storing of excess rainwater for irrigation3. Introduction of crop in rabi (winter) season.(salt tollerent)4.subsurface drainage.
কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ নিতান্ত কম। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশংকা কম।
কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্যে কাঁঠালে উচ্চ রক্ত চাপের উপশম হয়।
কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
কাঁঠালের অন্যতম উপযোগিতা হল ভিটামিন সি। প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহে ভিটামিন “সি” তৈরি হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে ভিটামিন “সি”।
কাঁঠালে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।
কাঁঠালে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও আমাদেরকে সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকরী।
বদহজম রোধ করে কাঁঠাল।
কাঁঠাল গাছের শেকড় হাঁপানী উপশম করে। শেকড় সেদ্ধ করলে যে উৎকৃষ্ট পুষ্টি উপাদান নিষ্কাশিত হয় তা হাঁপানীর প্রকোম নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
চর্মরোগের সমস্যা সমাধানেও কাঁঠালের শেকড় কার্যকরী। জ্বর এবং ডায়রিয়া নিরাময় করে কাঁঠালের শেকড়।
কাঁঠালে আছে বিপুল পরিমাণে খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কাঁঠালে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মত হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালী করণে ভূমিকা পালন করে।
কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি৬ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
কাঁঠালে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম কেবল হাড়ের জন্য উপকারী নয় রক্ত সংকোচন প্রক্রিয়া সমাধানেও ভূমিকা রাখে।
ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়। অন্যদিকে তার প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।
চিকিৎৎসা শাস্ত্র মতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়।
গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থসন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।
দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
এই ফল আঁশালো বিধায় কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করে।
কাঁঠালে রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন যা দেহের রক্তাল্পতা দূর করে
কাঁঠাল (Jackfruit)প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স) পুষ্টিগত মানশক্তি৩৯৭ কিজু (৯৫ kcal)শর্করা চিনি19.08 gখাদ্যে ফাইবার1.5 gস্নেহ পদার্থ0.64 gপ্রোটিন1.72 gভিটামিনসমূহভিটামিন এ সমতুল্যবেটা ক্যারোটিনলুটিন জিজানথেন(1%)5 μg(1%)61 μg157 μgথায়ামিন (বি১)(9%)0.105 mgরিবোফ্লাভিন (বি২)(5%)0.055 mgন্যায়েসেন (বি৪)(6%)0.92 mgপ্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫)(5%)0.235 mgভিটামিন বি৬(25%)0.329 mgফোলেট (বি৯)(6%)24 μgভিটামিন সি(17%)13.8 mgভিটামিন ই(2%)0.34 mgচিহ্ন ধাতুসমুহক্যালসিয়াম(2%)24 mgলোহা(2%)0.23 mgম্যাগনেসিয়াম(8%)29 mgম্যাঙ্গানিজ(2%)0.043 mgফসফরাস(3%)21 mgপটাশিয়াম(10%)448 mgসোডিয়াম(0%)2 mgদস্তা(1%)0.13 mgবাংলাদেশের সব জেলাতেই কাঠালের চাষ হয় তবে ঢাকার উচু অঞ্চল, সাভার, ভালুকা, ভাওয়াল ও মধুপুরের গড়, বৃহত্তম সিলেট জেলার পাহাড়ি এলাকা, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি এলাকায় সর্বাধিক পরিমানে কাঠাল উৎপন্ন হয় ।
যে কোন ভালো মানের মাটি যেমন -বেলে মাটি, বেলে-দোয়াশ মাটি, দোয়াশ মাটি, লক্ষ্যনীয় বিষয় মাটি অবশ্যই ঝুরঝুরে হতে হবে যাতে তলদেশ পর্যন্ত সেঁচের ব্যবস্থা হয়, মাটির উপরের অংশে কোনভাবেই পানি জমতে দেয়া যাবে না। তাই বাংলাদেশের চরাঞ্চলে চাষ হয়।
রিং বা ড্রিপ পদ্ধতিতে সেচ প্রদান করা হয়।