লক্ষণঃ১। পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা মাকড় কচি পাতায় আক্রমণ করে ও পাতার রস চুষে খায়। ২। এর ফলে পাতায় বাদামী রংয়ের মখমলের মত ইরিনিয়াম নামক এক ধরনের আবরণ তৈরী হয়।৩। পাতা ভিতরের দিকে কুঁকড়িয়ে যায় শেষে আক্রান্ত পাতা শুকাতে থাকে।
ব্যবস্থাপনাঃ১। আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে মাটিতে পুতে ফেলা । ২। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা যেমন: নিমবিসিডিন (০.৪%) হারে ব্যবহার করা। ৩। মধ্য ভাদ্র হতে কার্তিক মাস এবং মাঘের শেষ হতে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত গাছে ২-৩ বার অনুমোদিত মাকড়নাশক যেমন: থিওভিট বা কুমুলাস বা রনভিট ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
সাবধানতাঃবাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না ।
করনীয়ঃ১। ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন । ২। পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করুন । ৩। নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।
রোগের কারনঃ ফিউজারিয়াম মোনিলিফরমি (Fusarium moniliforme) নামক ছত্রাক দ্বারা হয়ে থাকে। এ ছত্রাক জিবেরিলিন নামক এক ধরনের হরমোন নিঃস্বরণ করে যা গাছের দ্রুত অঙ্গজ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বাকানি আক্রমণের ফলে ফসলে শতকরা ৩০ ভাগ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে।রোগের বিস্তারঃবীজ বাকানি রোগের অন্যতম বাহক। মাটি, পানি, বাতাসের মাধ্যমেও এ রোগের জীবাণু এক জমি হতে অন্য জমিতে ছড়ায়। মাটিতে আগে থেকেই এ রোগের জীবাণু থাকলে ধান গাছে এ রোগ হয়। অতিরিক্ত ইউরিয়া সারের প্রয়োগে এ রোগের আক্রামণ বাড়তে থাকে। উচ্চ তাপমাত্রায়ও (৩০-৩৫০ সেলসিয়াস) এ রোগের আক্রমণ বেশী হয়।রোগের লক্ষণঃ
বাকানি রোগ ধান গাছের চারা অবস্থা থেকে শুরু করে থোড় আসা পর্যন্ত যে কোন সময়ে হতে পারে। তবে চারা অবস্থায় হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে।
আক্রাস্ত ধানের চারা সাধারণ চারার চেয়ে দ্বিগুণ লম্বা হয়ে ফ্যাকাসে হয়ে যায়।
আক্রান্ত চারার পাতা হালকা সবুজ রঙের ও দুর্বল মনে হয়।
আক্রান্ত কুশি চিকন ওলিকলিকে হয়ে যায়।
কোন কোন সময় গাছের গোড়ার দিকে গিঁট হতে শিকড় বের হতে দেখা যায়।
গাছের গোড়া পঁচে যায় এবং ধীরে ধীরে আক্রান্ত গাছ শুকিয়ে মরে যায়।
চারা অবস্থায় বা রোপনের পরপরই এ রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত গাছে কোন ফলন হয় না।
তবে গর্ভাবস্থায় এ রোগ হলে চিটা এবং অপুষ্ট ধান বেশি হয় এবং শীষ অনেক ছোট হয়।
রোগের প্রতিকারঃ
রোগ সহনশীল ধানের জাত চাষ করতে হবে।
সুস্থ বীজের ব্যবহার করতে হবে।
খড়কুটা জমিতে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
বীজতলা হতে চারা তোলার সময় রোগাক্রান্ত চারা বেছে ফেলে দিতে হবে।
আক্রান্ত গাছটি ফুল আসার আগেই তুলে ফেলতে হবে।
চারা রোপনের পর এ রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে নষ্ট করে দিতে হবে।
সুষম মাত্রায় ইউরিয়া সার ব্যবহার করেও এ রোগের প্রকোপ কমানো যেতে পারে।
গোড়া পঁচা রোগ দেখা দেয়ার সাথে সাথে জমির পানি শুকিয়ে ফেলতে হবে।
কার্বেনডাজিম (অটোস্টিন, নোইন, ইভাজিম) নামক ঔষধ এক লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে শোধন করতে হবে।
০.
ফেব্রুয়ারি- মার্চ মাসের দিকে গাছের গোড়ায় আঠাযুক্ত ফিতা বা প্লাস্টিকের মসৃণ ফিতা
পেচিয়ে বা ফানেল স্থাপন করুন তাতে পোকা গাছ বেয়ে উপরে উঠতে পারবে না।১.ফল
সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের
বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা
ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিন২.
পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে
করুন৩.
নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।সুত্রঃ কৃষকের জানালা।
ফল ঝরা লিচুর সাধারণ সমস্যা। আবহাওয়া শুষ্ক হলে বা গাছে হরমোনের অভাব থাকলে ফল ঝরে পড়তে পারে।প্রতিকারঃ ফল মটর দানা এবং মার্বেল আকার অবস্থায় লেবেলে নির্দেশিত মাত্রা অনুযায়ী প্ল¬ানোফিক্স/মিরাকুলান স্প্রে করতে হবে। গুটি বাঁধার পর জিংক সালফেট ১ লিটারে ১০ গ্রাম হারে স্প্রে করতে হবে। রোগ-পোকার আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে।
Warm, dry conditions encourage fruit set, while extremes in temperature and soil moisture diminish it. Excessive rainfall and high winds are also disruptive. Excess growth vigor from training-trellis-spacing-pruning systems undersized for their sites or excess available nitrogen can diminish fruit set.
উত্তর সমূহ