বর্ষার আগে ও পরে গাছ প্রতি ১০০ গ্রাম এমওপি সার ও ২০ গ্রাম বোরন সার
প্রয়োগ করবেন। সেক্ষেত্রে নারকেল গাছ হতে দেড়হাত দূরে গোলাকার ৬ ইঞ্চি গভীর
নালা করে সার প্রয়োগ করার পর মাটি দিয়ে চেপে দিতে হবে এবং হালকা সেচ দিয়ে
দিবেন।
এ রোগের নাম অ্যানথ্রাকনোজ। এতে পাতা, কাণ্ড,
মুকুল ও ফলে ধূসর বদামি রঙের দাগ পড়ে। কচি পাতায় অনিয়মিত দাগ দেখা যায়।
মুকুল কালো হয়ে যায়, আমের গুটি ঝরে যায়। আমের গায়ে কালচে দাগ হয় এবং আম পচে
যায়। কুয়াশা, মেঘাচ্ছন্ন ও ভেজা আবহাওয়ায় এ রোগ বেশি হয়ে থাকে, গাছের সব
মুকুল ঝরে যায়। এ রোগ থেকে বাঁচার জন্য আমের মৌসুম শেষে গাছের মরা ডালপালা
কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কাটা অংশে বর্দোপেস্ট (প্রতি লিটার পানিতে ১০০
গ্রাম তুঁতে ও ১০০ গ্রাম চুন) লাগাতে হবে। বাগান সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন
রাখতে হবে। গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে টিল্ট ২৫০ ইসি প্রতি
লিটার পানিতে ০.৫ মিলি অথবা ডাইথেন এম ৪৫, ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে
মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আমের আকার মটর দানার মতো হলে ২য় বার স্প্রে করতে
হবে। ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছ পরিষ্কার করে একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক
দিয়ে পুরো গাছ ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।
প্রযুক্তির নাম :কাঁঠালের অসমোটিক ডিহাইড্রেটেড পণ্য
বিস্তারিত বিবরণ : কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল।
কাঁঠালে প্রচুর শর্করা, আমিষ ও ভিটামিন রয়েছে। অসমোটিক ডিহাইড্রেশন
পদ্ধতিতে কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে এর অপচয় যেমন রোধ
করা যায় তেমনি সারা বছর জুড়ে এ পুষ্টিকর ফলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়।
কাঁঠালের অসমোটিক ডিহাইড্রেটেড পণ্যের জন্য প্রথমে কাঁঠালের খোসা ছাড়িয়ে
রোয়া বের করতে হয়। রোয়াগুলো থেকে বীচি আলাদা করে রোয়াগুলো লম্বলম্বিভাবে
দুই টুকরা করতে হয়। অত:পর রোয়াগুলো ১০০০ পিপিএম পটাষিয়াম মেটাবাই সালফাইট
(কেএমএস) মিশ্রিত ৪৫ ব্রিক্স চিনির সিরায় (১ লিটার পানিতে ৮১৮ গ্রাম চিনি)
আধা ঘন্টা ডুবিয়ে রাখতে হয়। অত:পর রোয়াগুলো চিনির সিরায় রেখে ৮০ ডিগ্রি
সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তাপ প্রয়োগ করতে হয়। অত:পর রোয়াগুলো
কেবিনেট ড্রায়ারের ট্রে-তে স্থানান্তর করে পর্যায়ক্রমে ৫০ ডিগ্রি
সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ২৪ ঘন্টা, ৫৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় আরও ২৪
ঘন্টা এবং শেষে ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৮ ঘন্টা পর্যন্ত শুকানো
হয়। এভাবে শুকানোর পর অসমোটিক ডিহাইড্রেটেড কাঁঠালগুলো এইচডি পলিইথিলিন
প্যাকেটে প্রায় ৮ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
কাঁঠালের অসমোটিক ডিহাইড্রেটেড পণ্য (ছবি-১)
কাঁঠালের অসমোটিক ডিহাইড্রেটেড পণ্য (ছবি-২
‘বায়োচার’ নামক এক ধরনের অর্গানিক মেটার (জৈব পদার্থ) মাটিতে প্রয়োগে
ফসলে আর্সেনিকসহ ভারী ধাতুর দূষণ কমবে শতকরা ৫০ থেকে ৬০ ভাগ। এটি জমির
উর্বরতাও বাড়িয়ে দেয়। এই জৈব সার মাটিতে ১০০ বছর পর্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা
রাখতে সক্ষম। পরিবেশবান্ধব এ জৈব পদার্থ মাটিতে প্রয়োগ করে সফল হয়েছেন
বিজ্ঞানীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা
বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান এবং তার দলের
গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকরা বলছেন, শিল্পবর্জ্য
দূষিত মাটিতে ‘বায়োচার’ প্রয়োগের ফলে শস্যে ভারী ধাতুর দূষণ অর্ধেকের বেশি
হ্রাসের পাশাপাশি মাটির কার্বনের পরিমাণ অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে
বৃদ্ধি পায় জমির উর্বরতা। গবেষক দল ফরিদপুর সদর উপজেলার আর্সেনিকযুক্ত
মাটিতে গবেষণা চালান। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী নাছির উদ্দিন
মাহমুদ বলেন, ‘বায়োচার’ প্রয়োগে ওই অঞ্চলের মসুর ডালে আর্সেনিকের মাত্রা
প্রশমিত হয়েছে।
বর্ষার আগে ও পরে গাছ প্রতি ১০০ গ্রাম এমওপি সার ও ২০ গ্রাম বোরন সার প্রয়োগ করবেন। সেক্ষেত্রে নারকেল গাছ হতে দেড়হাত দূরে গোলাকার ৬ ইঞ্চি গভীর নালা করে সার প্রয়োগ করার পর মাটি দিয়ে চেপে দিতে হবে এবং হালকা সেচ দিয়ে দিবেন।