মসলা জাতীয় ফসলের ক্ষেত্রে ৪% সুদের হারে ব্যাংক লোন পাওয়া যায়্। প্রকৃত কৃষক এ লোন পেয়ে থাকেন। লোন প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার প্রত্যয়ন প্রয়োজন।
দমন ব্যবস্থাপনা
১. বাগানে জন্মানো আগাছা ও অন্যান্য পোষক উদ্ভিদ তুলে বাগান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২. গ্রীষ্মকালে (বিশেষত সেপ্টেম্বর-অক্টেবর
মাসে) বাগান ভালো করে চাষ দিতে হবে বা পূর্ববর্তী বছরে আক্রান্ত গাছসমূহের
গোড়ার মাটি কোদাল দিয়ে আলগা ও এপিঠ-ওপিঠ করে দিতে হবে যাতে মাটির নিচে
থাকা ডিম উপরে উঠে আসে এবং পাখি ও অন্যান্য শিকারী পোকার কাছে তা উন্মুক্ত
হয়, তাছাড়া রোদে পোকার ডিম নষ্ট হয়ে যায়।
৩. যেহেতু নিম্ফগুলো গাছ বেয়ে ওপরে উঠে তাই
নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ হতেই গাছের গোড়ায় মাটি থেকে ১ মিটার উঁচুতে ৮-১০
ইঞ্চি চওড়া প্লাস্টিকের পিচ্ছিল ব্যান্ড গাছের চতুর্দিকে আবৃত করে দিলে
এরা বার বার ওঠার ব্যর্থ চেষ্টা করে পরিশ্রান্ত হয়ে মারা যায়। অনেক সময়
প্লাস্টিকের পিচ্ছিল ব্যান্ডের নিচের অংশে নিম্ফগুলো জমা হয়। এ অবস্থায়
এদের সহজেই পিটিয়ে বা একসাথে করে আগুনে পুড়িয়ে মারা সম্ভব অথবা জমাকৃত
পোকার উপর কীটনাশক ¯েপ্র করে দমন করা যায়। এসময় নিম্ফগুলোকে গাছে উঠা হতে
নিবৃত করতে পারলে এ পোকার আক্রমণ পুরোপুরিভাবে দমন করা সম্ভব।
৪. যদি কোনো কারণে নিম্ফগুলো গাছ বেয়ে উপরে উঠে যায় তবে শুধুমাত্র গাছের আক্রান্ত অংশে (Spot application) সংস্পর্শ ও পাকস্থলী (Contact and stomach) কীটনাশক
বিধি মোতাবেক প্রয়োগ করা প্রয়োজন। তবে প্রাথমিকভাবে অল্প কিছু পরিমাণ
নিম্ফ গাছ বেয়ে উপরে উঠে গেলে কেবলমাত্র গুঁড়া সাবান মিশ্রিত পানি (প্রতি
লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে) স্প্রে করে এ পোকার আক্রমণ রোধ করা সম্ভব। তবে
ব্যাপকভাবে আক্রমণের ক্ষেত্রে কীটনাশক প্রয়োগের বিকল্প নেই। যেহেতু এ
পোকাটির বহিরাবরণ ওয়াক্সি পাউডার জাতীয় পদার্থ দিয়ে সুরক্ষিত থাকে সেহেতু
পরীক্ষিত কীটনাশক ছাড়া এটি দমন করা দুরূহ। এ ক্ষেত্রে প্রথমে ক্লোরপাইরিফস
(ডারসবান ২০ ইসি বা এ জাতীয় কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ৩ মিলি. হারে) এবং
তার ৩-৪ দিন পর কার্বারাইল (সেভিন ৮৫ এসপি বা এ জাতীয় কীটনাশক প্রতি লিটার
পানিতে ২ গ্রাম হারে) আক্রান্ত অংশে ¯েপ্র করতে হবে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর
২-৩ বার এভাবে স্প্রে করলে এ পোকা সম্পূর্ণভাবে দমন করা সম্ভব।
পোকাটি হলো কুমড়ো জাতীয় ফসলের মাছি পোকা।দমন কৌশল:১। আক্রান্ত ফল বা ফুল সংগ্রহ করে ধ্বংশ করা বা পুড়ে ফেলা।
২. প্রথম ফুল আসা মাত্র কুমড়া জাতীয় ফসলের ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা। প্রতি ১০ শতাংশের জন্য ৩ টি হারে ।
৩.আম বা খেজুরের রসে সামান্য বিষ মিশিয়ে তা বোতলে রেখে জানালা কেটে দিয়ে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।
৪. পাকা মিষ্টি কুমড়া বা কুমড়া জাতীয় ফল ১০০ গ্রাম কুচি কুচি করে কেটে তাতে
সামান্য বিষ ( যেমন- সপসিন ০.২৫ গ্রাম ) মিশিয়ে তা দিয়ে বিষটোপ তৈরী করে
মাটির পাত্রে করে ক্ষেতের মাঝে মাঝে স্থাপন করা।
৫. সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।
বিটি বেগুন বিষাক্ত- এই কথা শুধুমাত্র লেপিডপ্তেরা গোত্র ভুক্ত নির্দিষ্ট কিছু কিট পতঙ্গের জন্য প্রযোজ্য, স্তন্যপায়ীদের জন্য নয়।Bt অথবা Bacillus thuringiensis হচ্ছে একধরনের ব্যাক্টেরিয়া যারা
বায়ো-পেস্টিসাইড হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এই
জীবাণু একধরনের ক্রিস্টাল প্রোটিন প্রস্তুত করে যা বেশকিছু পোকামাকড়ের জন্য
বিষাক্ত।কিছু নির্দিষ্ট পোকার জন্য প্রাণঘাতী এই বিষ মানুষের জন্য ও বিষাক্ত কিনা
সেটা বুঝতে হলে এই বিষের কাজ করার প্রক্রিয়া টা বোঝা দরকার। বিটি’র ওই
ক্রিস্টাল প্রোটিন যখন লেদা পোকার অন্ত্রে প্রবেশ করে তখন অন্ত্রের ক্ষারীয়
পরিবেশে এক ধরনের জৈব রসের (protease enzyme) উপস্থিতিতে ক্রিস্টাল
প্রোটিন টি ভেঙ্গে গিয়ে ডেল্টা -এন্ডোটক্সিন প্রস্তুত হয় যেটা লেদাপকার জম।
এই ডেল্টা -এন্ডোটক্সিন কে গ্রহন করার জন্য লেদাপোকার অন্ত্রের কোষে এক
ধরনের গ্রাহক রস (receptor) থাকে। ডেল্টা -এন্ডোটক্সিন যখন ঐ গ্রাহক এর
সাথে যুক্ত হয় তখন লেদাপোকার অন্ত্রে ছিদ্র তৈরি হয়। এক পর্যায়ে পোকার
মৃত্যু হয়।মানুষের অন্ত্রের পরিবেশ হচ্ছে অম্লীয়, লেদাপোকার মতো ক্ষারীয় নয়। যে কারনে
ক্রিস্টাল প্রোটিন ভেঙ্গে ডেল্টা -এন্ডোটক্সিন তৈরি হবেনা, বরং অন্ত্রের
গ্যাস্ট্রিক রসের উপস্থিতিতে ঐ প্রোটিন এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে। আর
যদি কোনভাবে ডেল্টা -এন্ডোটক্সিন নিজেই মানুষের অন্ত্রে প্রবেশ করে তাহলে ও
ভয়ের কিছু নাই কারন মনুষ্য অন্ত্রে ডেল্টা -এন্ডোটক্সিন গ্রহন করার কোন
গ্রাহক (receptor) নাই। এই বিটি টক্সিন যে মানুষ সহ অন্য স্তন্যপায়ীর জন্য
ক্ষতিকর নয়।
খামার যান্ত্রিকীকরনের জন্য কৃষক পর্যায়ে ৫০% ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হয় খামার যান্ত্রিককীকরণ এর মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে সংগঠন এর আবেদন কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় । এনএটিপি প্রকল্প এর আওতায় সি আই জি কৃষক সংগঠন গুলোর কার্ক্রমের উপর ভিত্তি করে যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়।
এটি কিছু জাতের বৈশিষ্ট্য। একে অল্টারনেট বিয়ারিং বলে।আমের অনিয়মিত ফল ধারনকে নিয়মিত করার কৌশল:১। বর্ষার আগে ও পরে পর্যাপ্ত সার ওসেচ প্রদান করতে হবে।২।ফুল আসার ৪ মাস আগে অর্থাৎ ভাদ্র মাসে আমগাছের মূল কান্ডের ১ ইঞ্চি পরিমান করে বাকল রিং করে তুলে ফেলতে হবে।এতে C:N বৃদ্ধি পায় ও ফুল ধারণ করে।৩। হরমোন প্রয়োগ।
আক্রান্ত ক্ষেতের খড়কুটো আগুনে পুড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।
সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগের মাধ্যমে ব্লাষ্ট রোগপ্রতিরোধ করা যায়।
ধান ক্ষেত বেশি পরিমাণে আক্রন্ত হলে
ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। বিঘা প্রতি ৫-৭ কেজি এমওপি সার
উপরি প্রয়োগ করতে হবে অথবা ৩০ গ্রাম কুইক পটাশ ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে
স্প্রে করতে হবে।
রাসায়নিক দমন ব্যবস্থাঃ
ট্রাইসাইক্লাজোল( ট্রুপার ৭৫ ডব্লিউপি) ০.৭৫ গ্রাম/ লিটার অথবা জিল/
সেলটিমা/ মেকটিভো/ টেবুকোনাজল + টাইফ্লক্সিস্টবিন ( ব্লাস্টিন ) ০.৬
গ্রাম/লিটার অথবা ট্রাইসাইক্লাজোল + প্রোপিকোনাজল ( ফিলিয়া ৫২৫ এসই)
২মিলি/ লিটার অথবা থায়োপেনেট মিথাইল ( টপসিন এম ৭০ ডব্লিউপি) ২ গ্রাম/
লিটার/অথবা টেবুকোনাজল+ ট্রাইফ্লক্সিস্ট্রবিন ( নাটিভো) ০. ৫০ গ্রাম/
লিটার, অথবা এজোক্সিস্ট্রবিন+ ডাইফেনোকোনাজল ( এমিস্টার টপ) ১ মিলি/লিটার
পানিতে মিশিয়ে ধানের কাইচ থোর এবং শীষ বের হওয়ার আগে ৭ দিন পর পর মোট ২ বার
স্প্রে করা যেতে পারে। তবে উল্লিখিত ছত্রাকনাশকের সাথে কার্বেন্ডাজিম
গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন- আটোস্টিন/ নোইন/ এমকোজিম প্রভৃতি ব্যবহার করলে
ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
লিফ মাইনার "মাল্টার অন্যতম ক্ষতিকর পোকা। প্রাথমিক অবন্থায় লার্ভাসহ
আক্রমন পাতা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে, আঠালো হলুদ ফাদ ব্যবহার করতে
হবে, হলুদ রঙের বয়ামের বাইরের অংশে পোড়া মবিলের প্রলেপ দিয়ে ফাদ তৈরি করতে
হবে। লিফ মাইনারের ক্ষেত্রে
ডাইমেথোয়েট (টাফগর) বা সবিক্রন ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতি
লিটার পানিতে তিন মিলি হারে ৭ দিন পরপর মোট ২ বার টাফগর বা সবিক্রন স্প্রে
করতে হবে শেষ বিকেলে। গাছে নতুনভাবে পাতা আসলে সপ্তাহে একবার হলেও বিষ
স্প্রে করুন। কিন্তু গাছে ফল থাকা অবস্থায় স্প্রে করা যাবে না।
মসলা জাতীয় ফসলের ক্ষেত্রে ৪% সুদের হারে ব্যাংক লোন পাওয়া যায়্। প্রকৃত কৃষক এ লোন পেয়ে থাকেন। লোন প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার প্রত্যয়ন প্রয়োজন।