(ক) ডালিম গাছে ফল ধরার পর থেকে গাছে ঘন ঘন পানি সেচ দিতে হবে।
(খ) মাটিতে বোরনজনিত সার যেমন বোরিক এসিড প্রতি গাছে ৪০ গ্রাম হারে মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে।
(গ) ফলের বৃদ্ধির সময় সলুবর বোরন ২ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ফলে ও গাছে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।
সর্জান পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে প্রথমে জমি থেকে মাটি কেটে দুই পাশে উঁচু আইল
ও নিচে নালা তৈরি করতে হয়। এরপর আইলের উপর জৈব সার দিয়ে পটল,ঝিঙ্গা, করলা, শসা, শিম,
বরবটি সবজি চাষ করা যায়।অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে যেখানে জলাবদ্ধতার কারণে পাট, ধৈঞ্চা, ডিপ ওয়াটার
আমন ফসল ছাড়া স্বাভাবিকভাবে কোনো ফসল আবাদ করা সম্ভব হয় না সেখানে বিভিন্ন
মাপের উঁচু বেড-বাঁধ তৈরি করে নিয়ে তাতে ফল চাষ উপযোগী করা হয়। দুইটি বেডের
মধ্যভাগের মাটি খুঁড়ে বেডের দুই ধারে উঠিয়ে দিয়ে বেডগুলোকে সরেজমিন থেকে
উঁচু করে নিয়ে বেড-বাঁধ ও নালা পদ্ধতির মাধ্যমে ফল-সবজি আবাদ করার এ পদ্ধতি
সর্জান নামে পরিচিত। জমির অবস্থান এবং সেখানে কি ফসল চাষ করা হবে,
স্থানভেদে ও এলাকার চাষির পছন্দ বিবেচনায় বেডের চওড়া ও নালার গভীরতা ঠিক
করে নেওয়া হয়। ভূমির অবস্থা অনুসারে এ বেড লম্বায় ২০ ফুট থেকে ২০০-৩০০ ফুট
পর্যন্ত করা যায়।
এলাকার অবস্থা ও জমির আকার আকৃতি বুঝে এ পদ্ধতির জন্য বেডের বা বাঁধের
উচ্চতা ও চওড়া ঠিক করা হয়। দুইটি বেডের মধ্যবর্তী নালার চওড়া ও গভীরতা
সেভাবে চূড়ান্ত করা হয়। নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে যেসব অংশে কেবল মৌসুমি
সবজি আবাদ করা হয় সেখানে ২-৩ ফুট চওড়া বেড এবং চওড়ায় ও গভীরতায় ২-৩ ফুট
দেওয়া হয়। বিশেষ করে যেসব উপকূলীয় এলাকায় যেখানে জোয়ার-ভাটার প্রভাব রয়েছে
সেখানে এ মডেলের বিভিন্ন সংস্কার অবলম্বনে ফল-সবজি চাষ অতি জনপ্রিয়। নালা
জোয়ারের পানিতে ভরে গেলে, এমনকি কয়েক ঘণ্টা তলিয়ে গেলেও আবাদকৃত নির্বাচিত
ফল-সবজির তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। বিশেষ করে নারিকেল গাছ এ ধরনের
পরিস্থিতিতে খুব সহজেই বেড়ে উঠে, প্রচুর ফল দানে সক্ষম হয়। নালায় পানি
থাকায় বেডে রোপিত গাছগুলোতে পানি সেচের প্রয়োজন হয় না। গাছগুলো নালার পানি
পরোক্ষভাবে শুষে এবং ভালোভাবে বেড়ে উঠে এবং প্রচুর ফল দানে সক্ষম হয়।
সাদা মাছিবৈজ্ঞানিক নাম : অ্যালেরোডেস এসপিপিলক্ষণপোকাগুলি
সাধারণ ভাবে ফলের মাছির মতো। গায়ের রং সাদা বা ছাই রঙা। শরীর নরম ও আধ
মিলিমিটার লম্বা হয়। স্ত্রী পোকারা পাতার নীচে গোল করে ডিম পাড়ে। কিছু
দিনের মধ্যে ডিম থেকে ছোট কীড়া বের হয়। কীড়াগুলি কিছু দিনের মধ্যে এক
জায়গায় পুত্তলি বাঁধে। পরে ওই পুত্তলিগুলি থেকেই পূর্ণাঙ্গ পোকা বেরিয়ে
আসে। পূর্ণাঙ্গ পোকাগুলি বা ছোট কীটগুলি পাতার রস চুষে খায়। ফলে পাতাগুলি
নিস্তেজ হয়ে বিবর্ণ হয়ে যায়। যে সব পাতায় ডিম পাড়ে সেই পাতাগুলি দেখতে
বিশ্রী হয়, ফলে পাতার দাম কমে যায়।প্রতিকারতামাক পাতার পানি
দু-তিন দিন অথবা নিম তেল স্প্রে করা যেতে পারে। ম্যালাথিয়ন ২.০ মিলি প্রতি লিটার পানিতে গুলে স্প্রে
করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে ১ সপ্তাহ পাতা তোলা বন্ধ রাখতে হবে।তামাক পাতার জলের নির্যাস পদ্ধতি১০০
গ্রাম তামাকের ডাঁটা এক লিটার পানিতে সারা রাত্রি ভিজিয়ে রাখতে হবে। ৫০ গ্রাম
বার সাবান এক লিটার পানিতে আধ ঘণ্টা ফুটিয়ে ঠান্ডা করতে হবে। ঠান্ডা হলে
তামাকের পানি ছেঁকে নিয়ে সাবান গোলা পানির সাথে মেশাতে হবে। ওই মিশ্রণের সাথে
আরও ৮ লিটার পানি মিশিয়ে স্প্রে করার জন্য তৈরি হবে।
প্রচলিত তোষা পাটের জিন কাঠামোয়
সামান্য পরিবর্তন ঘটিয়ে পাটের নতুন জাত রবি-১ উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি তোষা পাটের চেয়ে
মানে ও গুণে ভালো। এই জাতের গাছের উচ্চতা সাধারণ পাটের চেয়ে কমপক্ষে ২০ সে.মি. বেশি।
আঁশের পরিমান প্রায় ২০ শতাংশ বেশি এবং আশের উজ্জ্বলতাও বেশি। যেখানে সাধারণ তোষা পাট
১২০ দিন পর কাটতে হয় সেখানে এই জাত ১০০ দিনে কাটা যাবে। ২০ দিন পূর্বে কাটায় একই জমিতে
কৃষক আমন চাষে সুবিধা পাবেন। সাধারণ পাটের আগা চিকন ও গোড়া মোটা হয় কিন্তু এই জাতের
আগা গোড়া সমান। দেশি তোষা ও ভারতীয় জাতের পাটগাছের তুলনায় রবি-১ পাটগাছ বেশি সতেজ ও
তাজা। তোষা ও ভারতীয় পাটের চেয়ে রবি-১ পাটের ফলন প্রায় ২০-৩০% বেশি।
টবে বা বাগানে যাতে পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে মশা তাড়াতে বিজ্ঞানীরা আরেকটি সহজ ও কার্যকরী উপায় বাতলেছেন।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের ইনস্টিটিউট অব
টেকনোলজি ট্রান্সফার এন্ড ইনোভেশন এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন,
”আপনি যদি বারান্দায় বা ছাদে লেবু গাছ লাগান তাহলে মশা এমনিতেই দূরে থাকবে।
কারণ লেবুর সাইট্রিক এসিডের গন্ধ মশার পছন্দ নয়। ফলে আপনার বারন্দা বা ছাদ
বাগানকে মশা তার বাসাবাড়ি বানানোর সুযোগ পাবে না।” এ ক্ষেত্রে তাঁর
পরামর্শ প্রতি ৮/১০ টি টবের একটিতে লেবু গাছ লাগাতে হবে।
১. আক্রান্ত গাছ গোড়া সহ উঠিয়ে পুড়ে ফেলতে হবে। ২. আক্রান্ত গাছের তেউর চারা হিসেবে ব্যাবহার করা যাবে না। ৩. জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিকাশের ব্যবস্হা করতে হবে।
ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হতে খুবই কার্যকর হতে পারে পেঁপে পাতার রস। এতে আছে
কাইমোপ্যাপিন ও প্যাপাইন রয়েছে যা রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা ও রক্ত চলাচল
স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। ফলে ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
সাধারণত এক বিঘা বা ৩৩ শতক জমিতে ২৩-২৪ কেজি ইউরিয়া, ৫-৬ কেজি টিএসপি, ৬-৭ কেজি এমওপি, ৪-৫ কেজি জিপসাম এবং ৬০০-৭০০ গ্রাম দস্তা সারের প্রয়োজন হয়।