লাল মাকড় :
আক্রান্ত পাতা শক্ত চামড়ার মতো হয় এবং পাতা বিবর্ণ হয়ে ধীরে ধীরে শুকিয়ে
যায়। লাল মাকড় আকারে অত্যন্ত ছোট হয়। এরা পাতার নিচের দিকে অবস্খান করে।
এদের আক্রমণে পাতা শক্ত চামড়ার মতো হয়ে কুঁকড়ে যায়। ব্যাপক আক্রমণের ফলে
সম্পূর্ণ পাতা হলুদ ও বাদামি রঙ ধারণ করে এবং ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। ফলে
গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং ফলন অনেক কমে যায়।
রোগের নাম : মরিচের গোড়া পচা রোগ
রোগের স্থানীয় নাম : নেই
রোগের কারণ : ছত্রাক
ক্ষতির ধরণ : আক্রান্ত গাছ হলুদ রঙ ধারণ করে, গাছের গোড়ার পচন লাগে, শিকড় নষ্ট হয়ে যায়। পরে গাছ ঢলে পরে শুকিয়ে যায়।
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায় , চারা
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কান্ডের গোঁড়ায়
ব্যবস্থাপনা : রোগের
আক্রমণ বেশি হলে কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন-এমকোজিম ২০ গ্রাম)
প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে ১২-১৫ দিন পর পর ২-৩ বার
ভালভাবে স্প্রে করতে হবে। ছত্রাকনাশক স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে
হবে।
এখন ১২ মাসি কাঁঠালের চারা যে কেউ সহজেই তার বাড়িতে বা ভবনের ছাদে রাখতে
পারেন। এর জন্য বেশি জায়গারও প্রয়োজন নেই। একটি টবের মধ্যেই এসব চারা
রাখতে পারেন, আর সারা বছর কাঁঠাল খেতে পারেন।কিশোরগঞ্জের একটি
নার্সারির টবের ছোট্ট চারায় ধরেছে ১২ মাসি কাঁঠাল। দৃশ্যটি বিরল হলেও এখন
যে কেউ শখ করে বাড়ির উঠোনে বা ভবনের ছাদে নিয়ে খুব সহজেই এসব চারা রাখতে
পারেন। সারা বছর খেতে পারেন সুস্বাদু ও উপাদেয় কাঁঠাল।
ব্রি এ পর্যন্ত পাচটি বন্যা সহনশীল ধানের জাত
উদ্ভাবন করেছে। উদ্ভাবিত জাতগুলো হলো ব্রি ধান৫১ , ব্রি ধান৫২,ব্রি ধান-৭৯, ব্রি ধান-৮০ ও ব্রি হাইব্রিড ধান-৬। জাত গুলো দুই সপ্তাহ পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে থাকলেও বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে
কাক্ষিত ফলন দিতে সক্ষম। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরে ৫ দিনের মধ্যে
আগাছা পরিষ্কার, ১০ দিন পর বিঘাপ্রতি ৬ কেজি ইউরিয়া ও ৪ কেজি পটাশ সার
প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম সার প্রয়োগের ১০ দিন পর পুনরায় একই মাত্রায় ইউরিয়া ও
পটাশ সার প্রয়োগ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
১. রোগের নাম : ঢলে পড়া বা গোড়া ও মূল পচা
রোগের বিস্তার : মাটি ও পানির মাধ্যমে রোগটি ছড়ায়ে থাকে।
রোগের লক্ষণ
১. এ রোগটি নার্সারিতে হয়ে থাকে। এটি একটি মারাত্মক রোগ। কম নিষ্কাশনযুক্ত ভিজা মাটিতে এ রোগ হয়ে থাকে।
২. বীজ বপনের পর বীজই পচে যেতে পারে অথবা চারা মাটি থেকে উঠার আগেই মারা যেতে পারে।
৩. বীজ অংকুরোদগমের পরেই কচি চারার গোড়ায় পানিভেজা দাগ পড়ে ও পরে কুঁচকে গিয়ে চারা ঢলে পড়ে ও মারা যায়।
৪. মারাত্মক আকারে আক্রান্ত হলে নার্সারির সব গাছ ২-৪ দিনের মধ্যে মরে যেতে পারে।
রোগের প্রতিকার
১. সুনিষ্কাশিত উঁচু বীজতলা তৈরি করতে হবে।
২. বীজ বপনের ২ সপ্তাহ আগে ফরমালডিহাইড দ্বারা বীজতলা শোধন করতে হবে।
৩. ট্রাইগোডারমা দ্বারা বীজ শোধন করে বপন করতে হবে।
৪. প্রোভেক্স-২০০ অথবা রিডোমিল গোল্ড (প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম) দ্বারা শোধন করে বীজ বপন করতে হবে।
৫. বীজ ৫২০ঈ তাপমাত্রায় গরম পানিতে ৩০ মিনিট রেখে শোধন করে নিয়ে বপন করতে হবে।
৬. কিউপ্রাভিট অথবা ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে আক্রান্ত গাছের গোড়ার মাটিতে ্ করতে হবে।
২. রোগের নাম : ফিউজারিয়াম ঢলে পড়া
রোগের লক্ষণ
১. ছত্রাক গাছের নিচের দিকে কাণ্ডে আক্রমণ করে এবং গাঢ় বাদামি ও ডুবা ধরনের ক্যাংকার সৃষ্টি করে।
২. ক্রমে এ ক্যাংকারজনিত দাগ কাণ্ডের গোড়াকে চারদিকে হতে বেষ্টন করে ফেলে।
৩. গাছের অগ্রভাগের পাতা হলুদ হয়ে যায়, পরে সব গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করে।
৪. স্যাঁতসেঁতে মাটিতে কাণ্ডের গোড়া সাদা অথবা নীলাভ ছত্রাক স্পোর দ্বারা আবৃত হয়ে পড়ে।
৫. গাছ লম্বালম্বিভাবে ফাটালে ভাসকুলার বান্ডল বিবর্ণ দেখা যাবে।
৬. রোগের অনুকূল অবস্থায় ১০-১৫ দিনের মধ্যে গাছ সম্পূর্ণরূপে ঢলে পড়ে, কিন্তু প্রতিকূল অবস্থায় ২-৩ মাস সময় লাগতে পারে।
রোগের প্রতিকার
১. একটু উঁচু জমিতে মরিচ চাষ করতে হবে।
২. প্রতি কেজি বীজের জন্য প্রোভেক্স-২০০ অথবা ব্যভিস্টিন ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করে বপন করতে হবে।
৩. সম্ভব হলে ফরমালিন দ্বারা মাটি শোধন করতে হবে।
৪. জমিতে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
৫. জমিতে উপযুক্ত পরিমাণে পটাস সার প্রয়োগ করলে রোগ অনেক কম হয়।
৬. নীরোগ বীজতলার চারা লাগাতে হবে।
৭. রোগাক্রান্ত গাছ তুলে এবং ফসল সংগ্রহের পর পরিত্যক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
৮. শিকড় গিঁট কৃমি দমন করতে হবে কারণ এটি ছত্রাকের অনুপ্রবেশে সাহায্য করে।
৯. ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে আক্রান্ত গাছের গোড়ার মাটিতে ¯েপ্র করতে হবে
ছাদ বাগানকে কেতাবি ভাষায় যেমন কোনো সংজ্ঞায়
নির্ধারিত করা যায়নি তেমনি এর কোনো সুনির্দিষ্ট মডেল এদেশে এখন পর্যন্ত গড়ে
উঠেনি। পাকা বাড়ির খালি ছাদে অথবা বেলকনিতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ফুল, ফল,
শাকসবজির বাগান গড়ে তোলাকে ছাদে বাগান বলা হয়। বাড়ির মালিক তাদের আপন আপন
উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে আপন ভাবনায় ভঙ্গিমায় সাজিয়ে তুলেন তাদের ছাদকে।
এখানে টবে, বড় বড় ড্রাম কিংবা ট্রেতে রোপণ করা হয় নানা ফুল, ফল ও সবজি। কেউ
কেউ আবার ছাদে স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করে তাতে গাছ রোপণ করেন। ছাদের আকার ও
সহনশীলতার দিকে লক্ষ্য রেখে নানা কাঠামোর ওপর স্থাপন করেন টব, মাচা। তবে
এলোমেলো ও অপরিকল্পিত ছাদ বাগান কেবল সময়, অর্থ অপচয় করায় না। সেই সাথে
ভবনেরও নানা ক্ষতি করে। তাই কিছু মৌলিক বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ছাদ বাগান
গড়ে তোলা প্রয়োজন।
ছাদে বাগান করার সময় প্রথমেই ছাদের আয়তন অনুসারে কাগজে কলমে খসড়া ম্যাপ করে
বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনের কলামগুলো চিহ্নিত করে নিতে হবে। এটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ কারণ চাহিদা ও রুচি অনুসারে সাজানো না হলে এর পুনর্বিন্যাস
অত্যন্ত শ্রম সাধ্য একটি কাজ। বড় বা ভারি গাছ গুলো ছাদের বিম বা কলামের
নিকটবর্তী স্থান বরাবর স্থাপন করতে হবে। ছাদ যেন ড্যাম্প বা স্যাঁতসেঁতে
হতে না পারে সে জন্য রিং বা ইটের ওপর ড্রাম অথবা টবগুলো স্থাপন করলে নিচ
দিয়ে আলো বাতাস চলাচল করবে এবং ছাদও ড্যাম্প হতে রক্ষা পাবে। নেট
ফিনিশিংয়ের মাধ্যমেও ছাদকে ড্যাম্প প্রতিরোধ করা যায়।
চাহিদা অনুসারে হাফ ড্রাম, সিমেন্ট বা মাটির টব, স্টিল বা প্লাস্টিক ট্রে
সংগ্রহ করতে হবে। অনেক সময় বসতবাড়ির ভাঙা চোরা বালতি, অব্যবহৃত তেলের বোতলও
ছোটখাটো গাছ রোপণের জন্য ব্যবহার করা হয়। ঠিকমতো উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে এসব
অব্যবহৃত জিনিস বাগানে ব্যবহার করা গেলে এও হতে পারে এক নতুন নান্দনিকতা।
ছাদের সুবিধা মতো স্থানে স্থায়ী বেড (ছাদ ও বেডে মাঝে ফাঁকা রাখতে হবে)
স্থাপন করা যেতে পারে। এসব বেডে মূলত সবজি, শাক চাষ করা যায়। চাইলে লাগানো
যায় ফুলগাছ। স্থায়ী বেড বানাতে না চাইলে পুরনো চৌবাচ্চা বা জাহাজের লাইফ
বোট রাখার বয়ার খোলও অনেক জায়গায় বেড হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
যেহেতু ছাদ বাগান স্বল্প পরিসরে গড়ে তোলা হয় কাজেই এর যতœ আত্তির দিকে সব
সময় নজর রাখা আবশ্যক। সে জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রথমেই সংগ্রহ করে
নিতে হবে। এসব যন্ত্রপাতির মধ্যে আছেন সিকেচার, কোদাল, কাচি, ঝরনা, বালতি,
করাত, খুরপি, স্প্রে মেশিন এসব। চারা রোপণের আগে চারার উচ্চতা, শিকড়ের
প্রকৃতি, সহিষ্ণুতা এসব জিনিসের প্রতি নজর রাখতে হবে। সব চারা ও গাছ ছাদ
বাগানের জন্য উপযুক্ত না।
থাইল্যান্ডভিত্তিক
এই আম স্বাদে ও গন্ধে বেশ মনকাড়া। দেখতে কলার মতো লম্বা, পাকার সময় দুধে
আলতা মেশানোর মতো হলুদ থেকে গোলাপি রঙের, আঠি চোকা পাতলা, রয়েছে প্রকৃত
আমের স্বাদ। মিষ্টতা ১৯ /২০ টিএসএস এবং ৮৩% ই ভক্ষণযোগ্য। প্রচলিত জাতের
চেয়ে এ আমে ফলন দ্বিগুণের বেশি।
ব্যানানা
ম্যাংগো বা কলা আম স্বাদে, গন্ধে যেমন অনন্য, তেমনি এর চাষের পদ্ধতিও সহজ।
সাধারণত জুন মাসের পর থেকে দেশের বাজারে ভালো জাতের আমের প্রাপ্যতা যখন
কমে আসে, তখন বাজারে আসে এই আম।
প্রায় ৪ শতাংশ জমিতে লাগানো যাবে।