সকল প্রশ্ন

মোট প্রশ্ন ৮৬২ টি | পৃষ্ঠা নং ৫২ | সর্বমোট পাতা ৮৭

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    পরিপক্ক ফলগাছ থেকে কাঁদিসহ কেটে নামিয়ে পরিস্কার করতে হবে। তারপর ফলগুলোকে পাত্রের মধ্যে পানিসহ ফুটাতে হবে এতে ফলগুলো নরম হয়। এবার নরম ফলগুলোকে হাতে চেপে রস বের করতে হবে। তারপর পানি মিশ্রিত এ রসকে একটি পাত্রে রেখে চুলায় কিছুক্ষণ তাপ দিলে রসে বিদ্যমান পানি বাষ্পাকারে বের হয়ে যাবে এবং পাত্রের মধ্যে পাম তেল জমা থাকবে। এ ভাবে প্রাপ্ত তেল ছেঁকে বোতলে সংগ্রহ করে রাখলে ছয় মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

Md. MINTU MIA,   ০২-০৮-২০১৭ ইং    

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    রোগের নাম : কাণ্ড পচা/গোড়া পচা (Stem rot/Collar rot/Foot rot) রোগের কারণ : স্ক্লেরোসিয়াম রফসি (Sclerotium rolfsii) নামক ছত্রাক। রোগের বিস্তার : ছত্রাকগুলো প্রধানত মাটি বাহিত এবং অন্যান্য শস্য আক্রমণ করে। মাটিতে জৈব সার বেশি ও খড়কুটা থাকলে এবং পানি সেচের মাধ্যমে আক্রান্ত ফসলের জমি হতে সুস্থ ফসলের মাঠে বিস্তার লাভ করে।   রোগের লক্ষণ : গাছের যে কোনো বয়সে এ রোগ হতে পারে। গ্রীষ্মকালে মাটির ওপর শায়িত লতায় এ রোগ হয়। গাছের গোড়ায় আক্রমণ করে। গোড়ায় লক্ষ করলে দেখা যাবে মাটির কাছের একটি বা দুটি পর্ব মধ্য কালো বর্ণ ধারণ করেছে। উপরে লতার পাতা হলুদ হয়ে যায় ও ঝড়ে পড়ে। মাটি সংলগ্ন লতার ওপর সাদা সুতার মতো ছত্রাক মাইসেলিয়া দেখা যায়। পরে হালকা বাদামি থেকে বাদামি সরিষার ন্যায় এক প্রকার অসংখ্য দানার মতো স্কে¬রোাসিয়া দেখা যায়। মাটি সংলগ্ন ডাঁটা পচে যায় এবং গাছ ঢলে পড়ে মরে যায়।   রোগের প্রতিকার : রোগাক্রান্ত লতা-পাতা বরজ থেকে তুলে পুড়ে ফেলতে হবে। রোগ প্রতিরোধী পানের জাত ব্যবহার করতে হবে। গভীর ভাবে জমি চাষ দিয়ে রোদ্রে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। নতুন বরজ তৈরির ক্ষেত্রে সুস্থ সবল রোগমুক্ত পানের লতা সংগ্রহ করতে হবে। পানের বরজ সবসময় আগাছা মুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ট্রাইকোডারমা কম্পোস্ট সার প্রতি গাছে ৫ গ্রাম হারে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। লতা রোপণের পূর্বে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে প্রোভেক্স বা ব্যভিস্টিন দ্বারা লতা শোধন করে নিতে হবে। বরজে রোগ দেখা দিলে প্রোভেক্স বা ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় মাটিতে স্প্রে করতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে ব্রি ধান ৫৯ এর সম্ভাব্য ফলন (Potential yield) হেক্টরে ৮.৫ টন পর্যন্ত পাওয়া যায়। ৮০% ধানপাকার সাথে সাথে কাটতে হবে। এটি এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।  তবে শিষ বের হবার আগে সলুবর বোরন ও পটাশ স্প্রে করলে এ সমস্যা কম হয়।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    বারি আম -১১ বা বারমাসি  আমের  এই জাতটি এখন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর সব উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রেই চাষ হচ্ছে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    পাটের জীনম কোড আবিষ্কারের পর  এর দ্বারা রবি-১ ও রবি-২ নামক ২টি তোষা পাট এবং শশী-১ ও শশী -২ নামক ২টি দেশী পাট এর জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে    রবি-১ অবমুক্ত হয়েছে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

     ফুল আসার আগে ০৮-১৫ গ্রাম (টবের আকার এর উপর নির্ভর) বোরন টবের উপরের মাটি এক/দেড় ইন্চি তুলে টবের ভিতরের মাটির সাথে ভাল করে মিশিয়ে পরে ঐ তোলা মাটি গুড়া করে সুন্দর করে ঢেকে দিতে হবে। ফল বৃদ্ধির সময় লিবরেল জিংক প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম, লিবরেল বোরন (বোরাক্স/ বরিক এসিড) প্রতি লিটারে ২ গ্রাম একত্রে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ২০-২২ দিন পর প্রথমবার এবং ৪০-৪৫ দিন পর ২য়বার সেপ্র করলে ফল ঝরে পড়া ও ফাটা উভয় সমস্যা কমে যায়

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

     ফুল আসার আগে ০৮-১৫ গ্রাম (টবের আকার এর উপর নির্ভর) বোরন টবের উপরের মাটি এক/দেড় ইন্চি তুলে টবের ভিতরের মাটির সাথে ভাল করে মিশিয়ে পরে ঐ তোলা মাটি গুড়া করে সুন্দর করে ঢেকে দিতে হবে। ফল বৃদ্ধির সময় লিবরেল জিংক প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম, লিবরেল বোরন (বোরাক্স/ বরিক এসিড) প্রতি লিটারে ২ গ্রাম একত্রে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ২০-২২ দিন পর প্রথমবার এবং ৪০-৪৫ দিন পর ২য়বার সেপ্র করলে ফল ঝরে পড়া ও ফাটা উভয় সমস্যা কমে যায়।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    ভাসমান বেড তৈরির প্রধান উপকরণ কচুরিপানা। এছাড়া টোপাপানা, শেওলা, বিভিন্ন ধরনের জলজ আগাছা, দুলালিলতা, ধানের খড় বা ফসলের অবশিষ্টাংশ, আখের ছোবড়া, সডাস্ট ব্যবহার করে ভাসমান বেড তৈরি করা যায়। পরিপক্ব গাঢ় সবুজ রঙের বড় ও লম্বা কচুরিপানা দিয়ে বেড তৈরি করলে বেডের স্থায়িত্ব বেশি হয়। যেখানে দুলালিলতা পাওয়া যায় না সেখানে দুলালিলতার পরিবর্তে পাটের তৈরি দড়ি দিয়ে বল মেডা তৈরির করা হয়। এছাড়া নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া চারা তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।   ভাসমান বীজতলার ক্ষেত্রে অন্য স্বাভাবিক বীজতলার মতোই বীজের হার প্রতি বর্গমিটারে ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম হবে। এক্ষেত্রে এক বিঘা জমি রোপণের জন্য ৩৫ বর্গমিটার বা প্রায় ১ শতক ভাসমান বীজতলার চারা ব্যবহার করা যায়। চারার বয়স ২০ থেকে ২৫ দিনের হলে চারা উঠিয়ে মাঠে রোপণ করা যেতে পারে। এতে দানের চারা উৎপাদনের জন্য আর মূল জমি ব্যবহার করতে হয় না। জমি ব্যবহার সাশ্রয়ী হয়। জেগে উঠা খালি জমিতে তাড়াতাড়ি কাক্সিক্ষত ফসল উৎপাদন করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এভাবে তৈরি চারা অন্যসব স্বাভাবিক চারার মতোই রোপণ করতে হবে এবং পরিচর্যা ও ব্যবস্থাপনা অন্য স্বাভাবিক বীজতলার চারার মতোই হবে। উৎপাদিত চারা অন্য সব স্বাভাবিক চারার  মতোই ফলন দেয়। পানিতে ভাসমান থাকার জন্য এ বীজতলায় সাধারণত সেচের দরকার হয় না, তবে মাঝে মধ্যে প্রয়োজনে ছিটিয়ে পানি দেয়া যেতে পারে।   সাধারণত বর্ষায় বন্যাকবলিত এলাকায় বীজতলা করার মতো জায়গা থাকে না। তাছাড়া বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর চারা তৈরির প্রয়োজনীয় সময় থাকে না। কচুরিপানা ও জলজ আগাছা দিয়ে তৈরিকৃত বেডে অনায়াসে আপদকালীন সময়ে আমনের অংকুরিত বীজ বপন করে চারা উৎপাদন করা যায়। তবে বীজ ছিটানোর আগে বেডের ওপর ২-৩ সেন্টিমিটার পরিমাণ পুকুরের তলার কিংবা মাটির পাতলা কাদার প্রলেপ দিয়ে ভেজা বীজতলা তৈরি করতে হবে। বন্যার পানিতে যেন ভাসমান বেড যেন ভেসে না যায় সেজন্য ভাসমান বীজতলার বেডকে দড়ির সাহায্যে খুঁটির সাথে বেঁধে রাখতে হবে। ছিটানোর পর সতর্ক থাকতে হবে যেন পাখি বা অন্য কিছু  বীজগুলো নষ্ট করতে না পারে।  ভাসমান বেডে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকে বলে সমতল ভূমির তুলনায় ঘন করে বীজ বপন বা চারা রোপণ করা যায়। আবার ভাসমান বেডে বেশি জৈব সারের কারণে জমিতে প্রচলিত চাষের তুলনায় ফসল দ্রুত বাড়ে এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রায় ৩-৫ গুণ বেশি ফলন পাওয়া যায়। বন্যার শেষে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এসব ভাসমান বেড যখন মাটির ওপর বসে যায় তখন তা ভেঙে জমিতে বিছিয়ে বা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে সফলভাবে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা যায়। এছাড়া, মৌসুম শেষে পচা কচুরিপানা ফল গাছের গোড়ায় সার হিসেবে ব্যবহার করে ফলের উৎপাদন বাড়ানো যায়। ফল গাছের গোড়ায় পচা কচুরিপানা ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো যায়

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    বোরো মৌসুমের আগাম জাতে জমির মূল ধান কাটার পর ধান গাছের নাড়া থেকে নতুন কুশি জন্মায়। এ কুশি থেকে আমরা যে ধান পাই তাকেই মুড়ি ধান বলে। আগাম জাত মুড়ি ধান চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। মুড়ি ধান উৎপাদন নতুন কোনো ধারণা নয়। আবহমান কাল থেকে আমাদের দেশের মধ্যম উঁচু অঞ্চলের কৃষক জমিতে মুড়ি/নাড়া রেখে ধান উৎপাদন করত। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ব্রাজিল, থাইল্যান্ড ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশে এ পদ্ধতির ব্যবহার রয়েছে।   বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৮৭ সাল থেকে মুড়ি ধানের ওপর গবেষণা শুরু করে। মাঠ পরীক্ষণে দেখা গেছে, বিআর১৭ জাত চাষ করে মূল ফসলে প্রতি বিঘায় ০.৮০ টন এবং মুড়ি ধান থেকে প্রতি বিঘায় ০.২০ টন ফলন পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে মুড়ি ধান উৎপাদনের জন্য জমিতে মূল ফসল কাটার ২০ দিন আগে বিঘাপ্রতি ৫ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়া ২০০৪-০৫ এবং ২০০৫-০৬ সালে ব্রি ধান৩৪, ব্রি ধান৩৭ এবং ব্রি ধান৩৮ এ মুড়ি চাষ করে দেখা গেছে, হেক্টর প্রতি সর্বোচ্চ ২.২১ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া গেছে। গত বোরো মৌসুমে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলায় মুড়ি ধানের চাষাবাদ পদ্ধতি এবং ফলন পর্যবেক্ষণ করে বিআর২৬ এবং ব্রি ধান২৮ এ মুড়ি ধানের ভালো ফলন পাওয়া গেছে। যেসব কৃষক ১২-১৮ ইঞ্চি নাড়া রেখে বোরো ধান কেটেছেন তাদের জমিতে মুড়ি ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে হেক্টরপ্রতি মুড়ি ধানের ফলন পেয়েছেন ১-১.৫ টন। কিছু কিছু কৃষক মুড়ি ধানের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করেছেন এবং আগে থেকেই গরু, ছাগল এসবের ক্ষতি থেকে মুড়ি সংরক্ষণ করেছেন। বর্তমান বাজারদরে মুড়ি ধান মাড়াই-ঝাড়াই ও শুকানো বাবদ আনুমানিক খরচ একরপ্রতি ৪ হাজার-৫ হাজার টাকা এবং উৎপাদিত ধানের মূল্য প্রতি একরে ৮ হাজার-১০ হাজার টাকা, যা বেশ লাভজনক। অন্তত ৫ হাজার টাকা লাভ হয়।