লক্ষণঃ
১। পাতার মধ্যশিরায় লাল দাগের সৃষ্টি হয় এ
অবস্থায় একে মধ্যশিরার রেড রট বলে ।
২। পত্রফলকে ছোপ লাল দাগ দেখা যায় তখন একে ল্যামিনা রেড রট বলা হয় ।
৩। পরিপক্ক বয়সে আক্রমণে ৩য় বা ৪র্থ পাতা প্রথমে হলুদাভ রং ধারণ করে ।
৪। পরবর্তীতে অন্যান্য পাতাও হলদে হয়ে শুকিয়ে যায় ।
৫। আক্রান্ত ইক্ষু লম্বালম্বি চিড়লে কান্ডের অভ্যন্তরে লম্বালম্বি লাল দাগ
দেখা যায় এবং দাগের মাঝে মাঝে আড়াআড়িভাবে সাদা দাগ দৃশ্যমান হয় । এই দাগই এ
রোগের বৈশিষ্ট্য সুচক চিহ্ন । আক্রান্ত গাছ থেকে এক ধরনের মদের ন্যায় গন্ধ
বের হয় ।
৬। পরবর্তীতে আক্রান্ত আখ অভ্যন্তরে ফাঁপা হয় ।
৭। লাল পচা রোগা্ক্রান্ত আখ কিছু দিনের মধ্যে মারা যায় ও শুকিয়ে যায় ।
ব্যবস্থাপনাঃ
১। রোগাক্রান্ত গাছ দেখা গেলে তুলে মাটিতে পুতে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে ।
২। জমিতে পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা নিতে হবে ।
সাবধানতাঃ
১। রোগাক্রান্ত জমিতে মুড়ি ইক্ষুর চাষ বন্ধ করতে হবে।
করনীয়ঃ
১। রোগমুক্ত অনূমোদিত বীজ ব্যবহার করতে হবে।
২। আগাম চাষ করা আগাম চাষ অনুসরণ করা ।
৩। ৫৪ সেঃ তাপমাত্রায় আর্দ্র গরম বাতাসে ৪ ঘন্টাকাল বীজ শোধন করে লাগাতে হবে ।।
৪। আখ কাটার পর পরিত্যক্ত অংশ ঐ জমিতেই পুড়িয়ে ফেলতে হবে ।
ফসল : বেগুন রোগের নাম : ঢলেপড়া রোগ
রোগের কারণ : ছত্রাক,ব্যাক্টেরিয়া
ক্ষতির ধরণ : কান্ডের
মাটি বরাবর গোড়া পানসে দাগ দেখা দেয় পড়ে তা গাঢ রঙ ধারণ করে। আস্তে
আস্তে সম্পূর্ণ গাছ ঢলে পড়ে ও শেষে মারা যায়। আক্রান্ত গাছের গোড়ার প্রায় ২
ইঞ্চি ডাল কেটে পানিতে ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ব্যাকটেরিয়া হতে সাদা কষের
মত তরল পদার্থ (ব্যাক্টেরিয়াল উজ) বেরিয়ে আসে, যাতে পানির রং সাদা হয়ে
যায়।আক্রান্ত গাছ সকালে সুস্থ দেখালেও বিকেলে ঢলে পড়ে৷
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায় , চারা
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কান্ডের গোঁড়ায়
ব্যবস্থাপনা : ছত্রাকের
আক্রমণ হলে ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন(রিডোমিল গোল্ড ২০ গ্রাম )
অথবা কার্বান্ডিজম জাতীয় ছত্রানাশক যেমন (এমকোজিম ৫০ ; অথবা গোল্ডাজিম ৫০০
ইসি ১০ মিলি / ২ মুখ ) ১০ লি পানিতে মিশিয়ে ৭ দিন পরপর ৩ বার গাছের গোড়ায় ও
মাটিতে স্প্রে করুন । ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পাটের বিছাপোকা:ক্ষতির ধরণ: কচি ও বয়স্ক সব পাতা খেয়ে ফেলে।দমন পদ্ধতি:
আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়া সহ পাতাগুলো সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলা।
ডায়াজিনন
৬০% তরল/ নুভক্রিন ৪০% তরল/ ইকালাক্স ২৫% তরল বা অনুমোদিত অন্য কীটনাশক
হেক্টরপ্রতি ৩০ লিটার পানির সাথে ৪৫ গ্রাম বা চা চামচের ৯ চামচ ওষুধ মিশিয়ে
ক্ষেতে স্প্রে করলে বিছাপোকা দমন হবে।
ফসল : বেগুন রোগের নাম : গুচ্ছ পাতা/ খুদে পাতা / ছোট পাতা রোগ
রোগের কারণ : মাইকো প্লাজমা
ক্ষতির ধরণ : বেগুনের ক্ষুদে পাতা রোগ হলে গাছে তুলসি পাতার মত অসংখ্য ছোট ছোট পাতা দেখা দেয়।
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা
ব্যবস্থাপনা : জাব পোকা ও
জ্যাসিড এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক
(যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে
প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায়
সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
উত্তর সমূহ
কোন উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় নি।