সকল প্রশ্ন

মোট প্রশ্ন ৮৬২ টি | পৃষ্ঠা নং ৫৩ | সর্বমোট পাতা ৮৭

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    • রোগের নামঃ আখের লাল পঁচা রোগ
    • লক্ষণঃ ১। পাতার মধ্যশিরায় লাল দাগের সৃষ্টি হয় এ অবস্থায় একে মধ্যশিরার রেড রট বলে । ২। পত্রফলকে ছোপ লাল দাগ দেখা যায় তখন একে ল্যামিনা রেড রট বলা হয় । ৩। পরিপক্ক বয়সে আক্রমণে ৩য় বা ৪র্থ পাতা প্রথমে হলুদাভ রং ধারণ করে । ৪। পরবর্তীতে অন্যান্য পাতাও হলদে হয়ে শুকিয়ে যায় । ৫। আক্রান্ত ইক্ষু লম্বালম্বি চিড়লে কান্ডের অভ্যন্তরে লম্বালম্বি লাল দাগ দেখা যায় এবং দাগের মাঝে মাঝে আড়াআড়িভাবে সাদা দাগ দৃশ্যমান হয় । এই দাগই এ রোগের বৈশিষ্ট্য সুচক চিহ্ন । আক্রান্ত গাছ থেকে এক ধরনের মদের ন্যায় গন্ধ বের হয় । ৬। পরবর্তীতে আক্রান্ত আখ অভ্যন্তরে ফাঁপা হয় । ৭। লাল পচা রোগা্ক্রান্ত আখ কিছু দিনের মধ্যে মারা যায় ও শুকিয়ে যায় ।
    • ব্যবস্থাপনাঃ ১। রোগাক্রান্ত গাছ দেখা গেলে তুলে মাটিতে পুতে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে । ২। জমিতে পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা নিতে হবে ।
    • সাবধানতাঃ ১। রোগাক্রান্ত জমিতে মুড়ি ইক্ষুর চাষ বন্ধ করতে হবে।
    • করনীয়ঃ ১। রোগমুক্ত অনূমোদিত বীজ ব্যবহার করতে হবে। ২। আগাম চাষ করা আগাম চাষ অনুসরণ করা । ৩। ৫৪ সেঃ তাপমাত্রায় আর্দ্র গরম বাতাসে ৪ ঘন্টাকাল বীজ শোধন করে লাগাতে হবে ।। ৪। আখ কাটার পর পরিত্যক্ত অংশ ঐ জমিতেই পুড়িয়ে ফেলতে হবে ।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    ফসল : বেগুন রোগের নাম : ঢলেপড়া রোগ রোগের কারণ : ছত্রাক,ব্যাক্টেরিয়া ক্ষতির ধরণ : কান্ডের মাটি বরাবর গোড়া পানসে দাগ দেখা দেয় পড়ে তা গাঢ রঙ ধারণ করে। আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ গাছ ঢলে পড়ে ও শেষে মারা যায়। আক্রান্ত গাছের গোড়ার প্রায় ২ ইঞ্চি ডাল কেটে পানিতে ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ব্যাকটেরিয়া হতে সাদা কষের মত তরল পদার্থ (ব্যাক্টেরিয়াল উজ) বেরিয়ে আসে, যাতে পানির রং সাদা হয়ে যায়।আক্রান্ত গাছ সকালে সুস্থ দেখালেও বিকেলে ঢলে পড়ে৷ ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায় , চারা ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : কান্ডের গোঁড়ায় ব্যবস্থাপনা : ছত্রাকের আক্রমণ হলে ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন(রিডোমিল গোল্ড ২০ গ্রাম ) অথবা কার্বান্ডিজম জাতীয় ছত্রানাশক যেমন (এমকোজিম ৫০ ; অথবা গোল্ডাজিম ৫০০ ইসি ১০ মিলি / ২ মুখ ) ১০ লি পানিতে মিশিয়ে ৭ দিন পরপর ৩ বার গাছের গোড়ায় ও মাটিতে স্প্রে করুন । ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    পাটের বিছাপোকা:ক্ষতির ধরণ: কচি ও বয়স্ক সব পাতা খেয়ে ফেলে।দমন পদ্ধতি:

    • আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়া সহ পাতাগুলো সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলা।
    • ডায়াজিনন ৬০% তরল/ নুভক্রিন ৪০% তরল/ ইকালাক্স ২৫% তরল বা অনুমোদিত অন্য কীটনাশক হেক্টরপ্রতি ৩০ লিটার পানির সাথে ৪৫ গ্রাম বা চা চামচের ৯ চামচ ওষুধ মিশিয়ে ক্ষেতে স্প্রে করলে বিছাপোকা দমন হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    ফসল : বেগুন রোগের নাম : গুচ্ছ পাতা/ খুদে পাতা / ছোট পাতা রোগ রোগের কারণ : মাইকো প্লাজমা ক্ষতির ধরণ : বেগুনের ক্ষুদে পাতা রোগ হলে গাছে তুলসি পাতার মত অসংখ্য ছোট ছোট পাতা দেখা দেয়। ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায় ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা ব্যবস্থাপনা : জাব পোকা ও জ্যাসিড এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    বারি মুগ-৫ (তাইওয়ানি): গাছের পাতা, ফল ও বীজ আকারে বেশি বড়। বীজের রঙ গাঢ় সবুজ। হাজার বীজের ওজন ৪০-৪২ গ্রাম। জাতটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো ফল একসাথে পাকে।বিনামুগ-৬: মুগের হলদে মোজাইক ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন।আগাম জাত (৬৮দিন)ফল একসাথে পাকে। বিনামুগ-৭: ফল একসাথে পাকে। মুগের হলদে মোজাইক ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন।বিনামুগ-৮:বীজের রঙ উজ্জ্বল সবুজ। দানা মাজারী আকারের।আগাম জাত (৬৭দিন) । ফল একসাথে পাকে।