সকল প্রশ্ন

মোট প্রশ্ন ৮৬২ টি | পৃষ্ঠা নং ৫৪ | সর্বমোট পাতা ৮৭

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    রোগের নাম : কাণ্ড পচা/গোড়া পচা (Stem rot/Collar rot/Foot rot) রোগের কারণ : স্ক্লেরোসিয়াম রফসি (Sclerotium rolfsii) নামক ছত্রাক। রোগের বিস্তার : ছত্রাকগুলো প্রধানত মাটি বাহিত এবং অন্যান্য শস্য আক্রমণ করে। মাটিতে জৈব সার বেশি ও খড়কুটা থাকলে এবং পানি সেচের মাধ্যমে আক্রান্ত ফসলের জমি হতে সুস্থ ফসলের মাঠে বিস্তার লাভ করে।   রোগের লক্ষণ : গাছের যে কোনো বয়সে এ রোগ হতে পারে। গ্রীষ্মকালে মাটির ওপর শায়িত লতায় এ রোগ হয়। গাছের গোড়ায় আক্রমণ করে। গোড়ায় লক্ষ করলে দেখা যাবে মাটির কাছের একটি বা দুটি পর্ব মধ্য কালো বর্ণ ধারণ করেছে। উপরে লতার পাতা হলুদ হয়ে যায় ও ঝড়ে পড়ে। মাটি সংলগ্ন লতার ওপর সাদা সুতার মতো ছত্রাক মাইসেলিয়া দেখা যায়। পরে হালকা বাদামি থেকে বাদামি সরিষার ন্যায় এক প্রকার অসংখ্য দানার মতো স্কে¬রোাসিয়া দেখা যায়। মাটি সংলগ্ন ডাঁটা পচে যায় এবং গাছ ঢলে পড়ে মরে যায়।   রোগের প্রতিকার : রোগাক্রান্ত লতা-পাতা বরজ থেকে তুলে পুড়ে ফেলতে হবে। রোগ প্রতিরোধী পানের জাত ব্যবহার করতে হবে। গভীর ভাবে জমি চাষ দিয়ে রোদ্রে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। নতুন বরজ তৈরির ক্ষেত্রে সুস্থ সবল রোগমুক্ত পানের লতা সংগ্রহ করতে হবে। পানের বরজ সবসময় আগাছা মুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ট্রাইকোডারমা কম্পোস্ট সার প্রতি গাছে ৫ গ্রাম হারে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। লতা রোপণের পূর্বে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে প্রোভেক্স বা ব্যভিস্টিন দ্বারা লতা শোধন করে নিতে হবে। বরজে রোগ দেখা দিলে প্রোভেক্স বা ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় মাটিতে স্প্রে করতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    মূলত মাছি পোকার আক্রমণ ঠেকাতে এবং গুণগত মান ধরে রাখার জন্য ব্যাগিং পদ্ধতিতে পেয়ারার চাষ করা হয়ে থাকে।অ্যানথ্রাকনোজ রোগ লক্ষণ ফল ও পাতায় দাগ পড়ে। তারপর কালো হয়ে শুকিয়ে যায়। রোগ দমন : এ রোগ দমনের জন্য সপ্তাহ পরপর কম্পেনিয়ন ২ গ্রাম/লিটার পানি স্প্রে করতে হবে। এছাড়া বাগান পরিষ্কার রাখতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    ১।ফলগাছে ফুল আসার আগে প্রয়োগ করলে ভাল রেজাল্ট পাওয়া যাবে, ছোট টবে আধা চা চামচ বড় টবে এক চা চামচ আর হাফড্রামে এক টেবিল চামচ| টবের উপরের মাটি এক/দেড় ইন্চি তুলে টবের ভিতরের মাটির সাথে ভাল করে মিশিয়ে পরে ঐ তোলা মাটি গুড়া করে সুন্দর করে ঢেকে দিতে হবে। ফল বৃদ্ধির সময় লিবরেল জিংক প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম, লিবরেল বোরন (বোরাক্স/ বরিক এসিড) প্রতি লিটারে ২ গ্রাম একত্রে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ২০-২২ দিন পর প্রথমবার এবং ৪০-৪৫ দিন পর ২য়বার সেপ্র করলে ফল ঝরে পড়া ও ফাটা উভয় সমস্যা কমে যায় ২। বোর্দ্দো মিক্সচার=চুন+তুতে+পানি=১০গ্রাম+১০গ্রাম+১লিটার ১০ থেকে ১৫ দিন পরপর দুইবার স্প্রে করা যেতে পারে। বা কপার অক্সিক্লোরাইড  ( ব্লাইটক্স/ অক্সিভিট/ সলুকক্স/ সানভিট/কুপ্রাভিট) ৫০ ডাব্লিউ পি ৪গ্রাম/লিটার পানিতে মিশে ১০ থেকে ১৫দিন পর পর দুইবার স্প্রে করা যেতে পারে। ফল তোলার ৭ দিন আগে কোনো স্প্রে করা উচিত নয়  

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    বন্যাপ্রবণ এলাকার জন্য উপযোগী জাতগুলো হলো- ব্রি ধান৫১, ব্রি ধান৫২, ব্রি ধান৭৯। এছাড়া বিআর২২, বিআর২৩, ব্রি ধান৪৬ জাতগুলোর নাবি গুণ থাকার জন্য এদের বীজ ২০-৩০ শ্রাবণে বপন করে ৩০-৪০ দিনের চারা সর্বশেষ ৩১ ভাদ্র পর্যন্ত বন্যা প্রবণ এলাকায় রোপণ করা যায়। যেসব জমির বন্যার পানি সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের আগেই নেমে যাবে, সেসব জমিতে দ্বিতীয়বার চারা রোপণ  উঁচু জমির ধানের কুশি উঠিয়ে প্রতি গোছায় ২-৩টি কুশি রোপণ করা যেতে পারে। যদি কুশির বয়স ১০-১২ দিনের মধ্যে হয় তা হলে মূল গোছার তেমন ক্ষতি হবে না। লক্ষ রাখতে হবে যে মূল জমির ধানের যে গোছায় কমপক্ষে ৬-৭টি কুশি আছে সেখান থেকে ২টি কুশি তোলা যেতে পারে। এসব কুশি লাগানো গেলে তা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে নতুন কুশির জন্ম দেবে এবং কৃষক কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    রিপারের মাধ্যমে কিছুটা হেলে পড়া ধান বা গম কাটা গেলেও সম্পূর্ণ হেলে যাওয়া ধান কাটা যায় না। সে ক্ষেত্রে শ্রমিক দ্বারা ধান কর্তন করতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    রোগ ব্যপক আকারে দেখা দিলে ‘ডাইথেন-এম ৪৫’ প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১৮.৫৬ গ্রাম গুলিয়ে ৩-৪ দিন অন্তর ২-৩ বার জমিতে ছিটাতে হবে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    নিমের তেল রুট এফিড দমন করে।পাইরিথ্রাম ২% ই সি  @ ১.৫ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করার সুপারিশ করা যেতে পারে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    ড্রাগন ফলের ১০০ গ্রামের মধ্যে ৫৫ গ্রাম থাকে ভক্ষণযোগ্য। প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে থাকে পানি ৮০ থেকে ৯০ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৯ থেকে ১৪ গ্রাম, প্রোটিন ০.১৫ থেকে ০.৫ গ্রাম, চর্বি ০.১ থেকে ০.৬ গ্রাম, আঁশ ০.৩ থেকে ০.৯ গ্রাম, অ্যাশ ০.৪ থেকে ০.৭ গ্রাম ও ক্যালরি ৩৫ থেকে ৫০। এ ছাড়া খনিজ ও ভিটামিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো­ ক্যালসিয়াম ৬-১০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৩-০.৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৬-৩৬ মিলিগ্রাম, নায়াসিন ০.২-০.৪৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪-২৫ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ও রিবোফ্লাভিন থাকে খুব অল্প। লাল শাঁসের ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি থাকে বেশি। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভাতের পরিবর্তে এ ফল উত্তম। তাইওয়ানের ডাক্তাররা ডায়াবেটিক রোগীদের ভাতের বদলে এ ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এমনকি এ ফল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ফলের শাঁস পিচ্ছিল হওয়ায় তা কেষ্ঠ্যকাঠিন্যও দূর করে।

উত্তর সমূহ

  1. সৈয়দা সিফাত জাহান, পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার

    ফসল : পাট পোকার নাম : বিছা পোকা/ শুয়ো পোকা পোকার স্থানীয় নাম : : নেই পোকা চেনার উপায় : পূর্ণবয়স্ক পোকা একটি মাঝারী আকারের হালকা বাদামী রং এর মথ। এদের পাখায় কালো ফোঁটা আছে। স্ত্রী মথ পাটের পাতার উল্টো দিকে গুচ্ছকারে ডিম পাড়ে। প্রথমে ডিমের রঙ সবুজ ক্রমশঃ বাদামি ও পরে কালো রঙ ধারণ করে। বাচ্চা কীড়া হালকা সবুজ বা হলুদ বর্ণের হয় এবং পূর্ণবয়স্ক কীড়া কমলা বা গাঢ় হলুদ রঙের হয়। লম্বায় ৪-৫সেমিঃ ও চওড়া ০.৮ সেমিঃ । ক্ষতির ধরণ : ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার পর থেকে এরা পাতার নিচে থাকে ও পাতার সবুজ অংশ খেয়ে পর্দার মতো করে ফেলে। দলবদ্ধভাবে ৬-৭ দিন থাকার পর এরা গাছের সব পাতায় ছড়িয়ে পড়ে ও সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। এ অবস্থায় আক্রান্ত পাতা অনেক দূর থেকে সহজেই চেনা যায়। বড় হবার সাথে সাথে এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। আক্রমণ বেশি হলে এরা কচি ডগা পর্যন্ত খেয়ে গাছকে পাতাশূন্য বা ডাটাসার করে ফেলে ।ফলে গাছের বৃদ্ধি কমে যায় ও আঁশের ফলন কম হয়।এ পোকা পাটের মুখ্য পোকা হিসেবে চিহ্নিত আক্রমণের পর্যায় : চারা, পূর্ণ বয়স্ক পোকামাকড় জীবনকাল : লার্ভা, কীড়া ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : লার্ভা , কীড়া ব্যবস্থাপনা : ডিমের গাদাসহ পাতা এবং দলবদ্ধ কীড়া সহ পাতা সংগ্রহ করে পা দ্বারা চেপে মেরে ফেলা অথবা গর্তকরে মাটিতে পুঁতে ফেলা। পাটের বিছা পোকা দমনের জন্য হেয়াজিনন বা ডায়াজিনন ৬০% ইসি, নূভাক্রন ৪০% ইসি, ইকালাক্স ২৫% ইসি ১.৫ মিলি ঔষধ ১ লিটার পানিতে বা ১৮ মিলি ঔষধ ১২ লিটার পানিতে মিশিয়ে অথবা রিপকর্ড ১০% বা সিমবুশ ১০% ইসি অথবা কারাতে ১.৫ ইসি ৬ মিলি ঔষধ ১২ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। পূর্ব-প্রস্তুতি : পাট ক্ষেতের আশে পাশে আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করুন । অন্যান্য : পাট কাটার পর গভীরভাবে চাষ করলে পুত্তলীগুলো উপরে উঠে আসে এবং প্রাকৃতিক শত্রু দ্বারা ধ্বংস হয়।